Thikana News
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সমাজে নারীর অবস্থান এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ

সমাজে নারীর অবস্থান এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ
আদনান সৈয়দ : আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে আমাদের বঙ্গীয় নারীদের অবস্থা কেমন ছিল? ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক রক্ষণশীলতার অন্ধকারে নিমজ্জিত বঙ্গীয় নারীদের জীবনগাথার কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় কৈলাসবাসিনী দেবীর ‘হিন্দু মহিলার হীনাবস্থা’ এবং রাসসুন্দরী দেবীর ‘আমার জীবন’ এই দুটি গ্রন্থে। রাসসুন্দরী দেবী তার আত্মস্মৃতি গ্রন্থ ‘আমার জীবন’ এ লিখেছেন, ‘সেকালে মেয়েছেলেদিগের স্বাধীনতা মোটেই ছিল না… সম্পূর্নরুপে পরাধীন হইয়া কালযাপন করিতে হইত।’ এখন সময় অনেক বদলে গেছে। চিন্তায়, মননে, শিক্ষায়, পোশাকে, সামাজিকতায়, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় এবং ধর্মেও আমাদের বাঙালি নারীরা এখন অনেক দূর পথ হেঁটে এসেছেন। কিন্তু তার পরও এখনো যেন সেই রাসসুন্দরী দেবীর কথাই নতুন করে শুনতে পাই। প্রশ্ন থেকে যায়, রাসসুন্দরী দেবী অথবা কৈলাসবাসিনী দেবীদের যুগ থেকে বের হয়ে এই একবিংশ শতাব্দীর যুগে এসে আমাদের নারীরা সত্যিই কি পুরুষের থাবা থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্ত হতে পেরেছেন? নারী কি এই যুগেও পুরুষনির্মিত সমাজ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছে? স্বাধীন হতে পেরেছে?

কথা হলো, পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক জগতে নারীর স্থান কোথায়? পুরুষশাসিত এই সমাজে একটি শিশু জৈবিকভাবে তার জন্মলগ্নের শুরু থেকেই লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে। জন্মের পরপরই লিঙ্গভেদে এ শিশুটির বেড়ে ওঠার প্রতিটি পদচিহ্নে চাপিয়ে দেওয়া হয় সমাজের নানা রকম আইনকানুন আর তার হাতে-পায়ে সুকৌশলে পরিয়ে দেওয়া হয় লিঙ্গবৈষম্যের কঠিন শেকল। প্রকৃতির সঙ্গে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা এ শিশুটি একদিন বড় হয়ে হঠাৎ করে কঠিন যে সত্যটি আবিষ্কার করতে পারে, সেটি হলো সে একজন নারী। কারণ নারী হয়ে জন্ম হওয়ার কারণেই তার চালচলনে, আচরণে, হাসি-ঠাট্টায়, চিন্তায়-মননে সর্বক্ষণ পুরুষের দেওয়া কঠিন নিয়মকানুনের শেকলে তাকে চলতে হয়েছে। ইচ্ছে করলেই সে পুরুষের মতো আঙিনার বাইরে যেতে পারবে না, গলা ছেড়ে পুরুষের মতো কথা বলতে পারবে না, পুরুষের মতো জেদি হতে পারবে না। তার পোশাক ভিন্ন, খেলনা ভিন্ন, ঘুমানোর জায়গাও ভিন্ন। হ্যাঁ, এ ভিন্নতার জন্য দায়ী তার লিঙ্গ। কারণ সে নারী। শিশুটি যখন নারী হয়ে ওঠে, তখন সে আর পুরুষের মতো চলাফেরা করতে পারবে না, ঘরের ভেতরেই যতটা সম্ভব তার স্থান নির্ধারিত হয়ে যায়। সন্তান উৎপাদন এবং লালন-পালন, স্বামীর জন্য সেজেগুজে অপেক্ষায় থাকা, ঘরকন্যা-রান্নাবাটি সব উপকরণই নারী-অঙ্গের সঙ্গে অবশ্যকরণীয় করে জুড়ে দেওয়া হয়। লেখক সিমোন দ্য বোভোয়ার নারীদের প্রতি পুরুষশাসিত সমাজের এই অসংগতিটি লক্ষ করেছিলেন সেই ছেলেবেলা থেকেই। তিনি বিখ্যাত গ্রন্থ ‘লা দ্যাজিয়েম সেক্স’ (দ্য সেকেন্ড সেক্স) লিখে গোটা বিশ্বে নারীবাদী আন্দোলনের ঝড় তোলেন। সে কারণেই হয়তো সিমন তার গ্রন্থে লিখেছিলেন, ‘নারী হয়ে কেউ জন্মায় না, বরং কেউ কেউ নারী হয়ে ওঠেন।’

যেকোনো উপায়ে নারীকে পণ্য করা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি খুব সাধারণ মনোবৃত্তি। ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের কারণে শিল্পের বিপ্লব হয়েছিল বটে কিন্তু এই বিপ্লব সাধন করতে গিয়ে নারীদেরকেও পণ্যতুল্য করা হয়েছিল। সেই ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। তবে বর্তমান এই সভ্য যুগেও নারী মানেই ‘অবলা’ বা নারী মানেই ‘দুর্বল’-এই কথাগুলো পুরুষেরা মুখে মুখে না বললেও তারা তাদের চিন্তায়, আচরণে ও বিশ্বাসে খুব দৃঢ়ভাবেই সেই প্রবৃত্তির প্রতিফলন ঘটান। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই নারী নির্যাতনের নানা রকম খবর আমাদের চোখে পড়ে। এই শিক্ষিত সমাজে নারীরা হরহামেশাই নানাভাবে পুরুষ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পত্রিকার পাতা খুললে দেখতে পাই, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাঠানো আমাদের নারী শ্রমিকেরা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়ে, সম্ভ্রম হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। কই, এর জন্য পুরুষমহলে কোথাও তো কোনো ক্রন্দন চোখে পড়ে না? বরং একজন নারী যদি ধর্ষণের শিকার হন, পরবর্তী সময়ে তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময়, কোর্টে বিচারকের সামনে, ডাক্তারের কাছে আরো চৌদ্দবার ধর্ষিত হোন। তারপর এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় মুখরোচক খবর প্রকাশিত হয়, ট্রল হয়, ফেসবুকে নানা কিচ্ছা-কাহিনিরও জন্ম হয়। তারপর সেই নারীটি ধীরে ধীরে ইতিহাসের পাতায় বন্দী হয়ে পড়েন। তার নাম আর কেউ মনে রাখে না। এই তো আমাদের নারীদের বর্তমান সামাজিক অবস্থা!

ফরাসি নারীবাদী লেখক সিমন দ্য বোভোয়ার এই বিষয়টিকে নিয়ে বলতে গিয়ে পুরুষদের মনোজগতের বিভিন্ন রকম চিত্র আঁকতে সক্ষম হয়েছিলেন। দার্শনিক ফ্রয়েডও সেখানে পুরুষদের সভ্য আচার-ব্যবহারে আড়ালে লুক্কায়িত অবদমিত যৌনতার যে বীজটি রয়েছে, সেটির স্বরূপ উন্মোচন করার প্রয়াস পেয়েছিলেন। যদি এই মনীষীদের কথাগুলো আমরা সত্য হিসেবে ধরে নিই, তাহলে এর যে অর্থ দাঁড়ায়, তা হলো পুরুষ শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক দুটো কারণেই নারীকে নির্যাতন করে থাকে। পুরুষ ভেবেই নেয়, এটি হলো তার জৈবিক অধিকার। কার্ল মার্কস অবশ্য বিষয়গুলো একেবারে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এর সব দায়ভার নারী বা পুরুষের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বা সচ্ছলতার ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। মার্কসের মতে, পুরুষ তার ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য ঘরের বাইরে সময় কাটায়। সে যখন বাইরে কাজকর্ম সেরে নিজ ঘরে প্রবেশ করে, তখন সে বাড়িটাকে নিজের ছোটখাটো একটা রাজ্য ভেবে বসে এবং নিজেকে সে রাজ্যের রাজা মনে করে। তখন সে নিজের বউ ছেলেমেয়েদেরও দাস-দাসী বা উজির-নাজিরের চেয়ে বেশি কিছু মনে করে না। তবে এর কারণ যে পুরোপুরি অর্থনৈতিক নয়, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখা গেছে, শুধু অর্থনৈতিক মুক্তিই নারীর একমাত্র মুক্তির পথকে সুগম করতে পারছে না। তাহলে আমাদের দেশের একটি কর্মজীবী মেয়েকে সারা দিন অফিস করে বাসায় এসেও রান্নাবান্না, সন্তান পালন এবং অন্যান্য ঘর-গৃহস্থালির কাজ এককভাবে করতে হতো না। একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া মানেই যে সেই নারীটি পুরুষের মতো স্বাধীন, তাও কিন্তু নয়।

ইদানীং বাংলাদেশের এই শিক্ষিত সমাজে অসাধারণ এবং বেশ অভিনব একটি চর্চা চোখে পড়ছে। মেয়ের বিয়ের সময় ছেলেপক্ষ থেকে জোর গলায় বলা হয় যে তারা কোনো রকম যৌতুক-টৌতুকের মধ্যে নেই। এই কথাটি বরের বাবা বা বর নিজেই তার হবু বধূর অভিভাবকদের অতি উৎসাহে ভালো মানুষের রূপ ধরে আগাম জানিয়ে দিতে পছন্দ করেন। তার পরের ঘটনা আরো বেশি উদ্বেগজনক! বিয়ের সময় দেখা যায়, কনের মা-বাবা তাদের কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় বা তার ঘর সাজানোর জন্য টিভি, ফ্রিজ, খাট-পালঙ্ক থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাবপত্র শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে কন্যার দায় মেটাচ্ছেন। বরপক্ষ যদি কোনো রকম যৌতুক না-ই নেবে, তাহলে কনেপক্ষ কেন এই আসবাবপত্র কনের সঙ্গে বরের বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে? ইদানীং ঠিক এমন একটি ঘটনার আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

আমার এক বন্ধুর বোনের বিয়ে। পাত্র খুবই উচ্চ শিক্ষিত, ভালো বেতনের চাকুরে এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচ্ছল। বিয়ের পর আমি বন্ধুটির সঙ্গে ওর বোনকে দেখতে গেলাম। বোনটি ও তার বর দুজনে মিলে ওদের বিশাল বাড়িটার এ-মাথা ও-মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমাদের দেখাল। তারপর কথায় কথায় হঠাৎ করে বোনটি একান্তে খুব নীরবে ওর ভাইকে কানে কানে বলল, ওদের থাকার ঘরের পুরোনো সব আসবাবপত্র নাকি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কথাটার ভাষা বন্ধুটি ঠিকঠাকমতো আঁচ করতে পেরেই বাড়িতে এসে বোনের জন্য আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠল। আমি এর সবকিছু দেখেশুনে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! অবাক হয়েছিলাম এ কারণেই, আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষিত সমাজেও যৌতুক নামের ঘৃণ্য প্রথাটিকে বেশ আয়োজন করেই লালন-পালন করা হচ্ছে দেখে! অথচ আমার ধারণা ছিল শুধু যারা দরিদ্র, তারাই হয়তো টাকার লোভে এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত।

সন্দেহ নেই, আমাদের নারীরা এখন আগের চেয়ে অনেক স্বাধীন। পুরুষের পাশাপাশি সমানতালে বিভিন্ন পেশায় তারা যথেষ্ট অবদান রাখতে সমর্থ হচ্ছেন। তার পরও দেখতে পাই নারী নির্যাতন আমাদের সমাজের এক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে। পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারীরা বিভিন্ন রকমভাবে শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বছর পাঁচেক আগে আমি যখন বাংলাদেশে বিলসের (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ) পরামর্শক হিসেবে যুক্ত ছিলাম, তখন নারী শ্রমিকদের জীবন খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সে ছিল আমার এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা! আমাদের নারী পোশাক শ্রমিকদের জীবনের গল্প সবাই জানি! একবার খুলনায় চাতাল নারী (যারা রাইস মিলে কাজ করেন) শ্রমিকদের অবস্থা দেখতে যাই। সেখানে তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা সবাই যৌন হয়রানিসহ নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ওদের অনেকেই নাম প্রকাশ করা হবে না শুনে এই শর্তে প্রাণ খুলে আমাকে অনেক কথাই জানালেন। তারা জানালেন, বড় ম্যানেজার, মিস্ত্রি বা মালিকের মত অনুযায়ী তারা যদি ‘কাজ’ না করেন, তাহলে পরদিনই তাদের চাকরিটা চলে যাবে। আর চাকরি চলে যাওয়া মানেই সন্তানসন্ততি নিয়ে অন্ধকারে পথ হাঁটা। জানি, এই একই দৃশ্য হয়তো দেখা যাবে চকচকে-ঝকঝকে অফিস-আদালতেও। লক্ষ করলে দেখা যাবে, এই যৌন হয়রানির পাশাপাশি নারীরা বিভিন্ন রকম পেশাগত বৈষম্য এবং নির্যাতনেরও শিকার হচ্ছেন। এক গার্মেন্টস কারখানায় আবিষ্কার করি, সন্তানসম্ভবা এক নারী শ্রমিক চোখে-মুখে তীব্র যন্ত্রণা ফুটিয়ে সবকিছু কামড় দিয়ে সহ্য করেও একমনে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। তার কোনো ছুটি নেই। অথচ বাংলাদেশ শ্রম আইনের ২০০৬ এর ৪৫ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘কোন মালিক তাহার প্রতিষ্ঠানে সজ্ঞানে কোন মহিলাকে তাহার সন্তান প্রসবের অব্যবহিত পূর্ব ও পরবর্তী আট সপ্তাহ করে মোট ষোল সপ্তাহের মধ্যে কোন কাজ করাতে পারবে না।’ বলাই বাহুল্য যৌন হয়রানির ওপরও আমাদের নারীদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর আইন রয়েছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে? আইন তো আছে আইনের জায়গায়। এসব আইনের প্রয়োগ কোথায়?

শেষ কথা হলো নারীর জন্য নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। নারীকেই সেই জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। নারীকে তার অধিকার নিয়ে সব সময়ই সজাগ ও সোচ্চার থাকাটা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে নারীদের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে বিবেকবোধসম্পন্ন পুরুষদেরও। ‘একজন নারী সবার আগে একজন মানুষ’-এই বোধটাকে সব সময় জিইয়ে রাখতে হবে। আমরা কৈলাসবাসিনী দেবী বা রাসসুন্দরী দেবীর যুগে নিশ্চয় ফিরে যেতে চাই না। লিঙ্গ পরিচয়ে আমরা একজন নারী বা পুুরুষ যা-ই হই না কেন, সবার উপরে আমাদের পরিচয় হলো ‘মানুষ’। পরস্পর শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা দিয়ে আমরা সবাই সেই ‘মানুষ’ সত্তাটাকে জয় করতে পারি। মানুষের অধিকার অর্জনে এগিয়ে আসতে পারি।
আর নারীবাদ বলতে কিছুই নেই। আমি মানুষবাদ মেনে নিতে রাজি আছি। শুধু ৮ মার্চকে সামনে রেখে ঘটা করে নারী দিবস পালন করলেই নারীর মুক্তি ঘটবে না। বরং নারীকে ভালোবাসুন, শ্রদ্ধা করুন, তার প্রাপ্য সম্মান দিন। কারণ একজন নারী হতে পারেন আপনার মা, একজন নারী হতে পারেন আপনার সন্তান, একজন নারী আপনার স্ত্রী এবং সর্বোপরি একজন নারী একজন মানুষ। নারীদের আচরণের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত : ১৯)।
নারীর জয় হোক, মানুষের জয় হোক।

লেখক : প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও গল্পকার।

কমেন্ট বক্স