কারও ভিসানীতিতে সরকারের কিছু যায় আসে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসানীতি আমাদেরও থাকতে পারে। আমরাও করতে পারি। অপেক্ষায় থাকুন। আজ ১৭ জুন (শনিবার) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিআরটি প্রকল্পের সাড়ে চার কিলোমিটার নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে’ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, তাদের এমন ঘোষণার পরও মার্কিন ভিসানীতি কী করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন ভিসানীতিতে তারা বলছে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের ক্ষেত্রে এই ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। এই নীতি এখন অন্ধ, বধির হয়ে থাকবে; না বাস্তববাদী হবে আমরা দেখবো।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভিসানীতি করুক তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ভিসানীতি আমাদেরও থাকতে পারে। আমরাও করতে পারি। অপেক্ষায় থাকুন।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি, দুঃশাসন বললেই বিএনপির নাম বলতে হবে। যারা দুর্নীতি, দুঃশাসন করে তারা কোন মুখে এত বেশি কথা বলছে জানি না।’
‘সরকার থাকতে পারবে না, বিদায় নিতে হবে’—বিএনপির এমন কথা ১৪ বছর ধরে শুনে আসছেন উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘এই ১৪ বছরে তাদের নেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তির জন্য দৃশ্যমান কোনো আন্দোলন তারা করতে পারেনি। আর তারা সরকারের বিদায় করবে আন্দোলন করে?’
লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘বিদেশে পলাতক কোনো নেতার রিমোট কন্ট্রোল আহ্বানে বাংলাদেশের আন্দোলন এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করার সুযোগ নেই। আন্দোলন যাকে বলে এখন পর্যন্ত তারা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি।’
ঠিকানা/এম