ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজস্থান থেকে সোনিয়াসহ মোট তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুজন হলেন বিজেপির চুন্নিলাল গারসিয়া ও মদন রাঠৌর।
অন্যদিকে, গুজরাট থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। ওই রাজ্যের চারটি রাজ্যসভা আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন বিজেপির প্রার্থীরা। অন্য তিন জয়ী হলেন গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া, ময়াঙ্কভাই নায়েক ও যশবন্তসিন পারমার।
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। রাজস্থান থেকে অবসর নেবেন ছয় বারের রাজ্যসভার সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব এবং কিরোরীলাল মীনা। বিধায়ক সংখ্যার হিসেবে বিজেপির দু’টি ও কংগ্রেসের একটি আসনে জেতার কথা ছিল। কোনো দল বাড়তি প্রার্থী না দেয়ায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটাভুটি হচ্ছে না রাজস্থানে।
মূলত রাজ্যসভার ভোট হয় রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যার আনুপাতিক হারে। বিধায়কেরা তাদের পছন্দের ভোট দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সাতবার লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন সনিয়া। এর মধ্যে ১৯৯৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলীর পাশাপাশি, কর্নাটকের বল্লারীতে জয়ী হন তিনি। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে জেতার পরে ‘লাভজনক পদ’ বিতর্কে ইস্তফা দেয়ার পরে ২০০৬ সালে রায়বরেলী থেকে উপনির্বাচনে জিতে এসেছিলেন।
কংগ্রেস দলীয় সূত্রে জানা যায়, খারাপ স্বাস্থ্যের কারণেই লোকসভা নির্বাচনের ধকল নিতে রাজি ছিলেন না সোনিয়া। আর এই কারণে রাজ্যসভাকেই বেছে নিলেন তিনি। এমনকি শেষবার ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন এবারই তার শেষ নির্বাচন।
সোনিয়ার আগে গান্ধী পরিবার থেকে একজনই রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, তিনি হলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সোনিয়ার শাশুড়ি ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৬৪ সালের আগস্ট থেকে ১৯৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
ঠিকানা/ছালিক