Thikana News
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‌‘১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানো আ. লীগের নতুন বিশ্ব রেকর্ড’

‌‘১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানো আ. লীগের নতুন বিশ্ব রেকর্ড’ ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৫ বার পেছানোও আওয়ামী লীগের আরেকটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড।

১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুর্নীতি-দুঃশাসন-দুর্বৃত্তায়নে আওয়ামী লীগের বহুমাত্রিক বিশ্ব রেকর্ডের মাঝে, একটি হত্যা মামলায় ১০৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন পেছানোও দৃষ্টান্তহীন আরেকটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড।

তিনি বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি (রোববার) এক যুগ পূর্ণ হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের। এক যুগেও বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত তদন্ত করেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, প্রকৃত তদন্তের বিষয়টি রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। হত্যার পর সাগর-রুনির বাসা থেকে খুনিরা ল্যাপটপ নিয়ে যায়, যা ১২ বছরেও উদ্ধার হয়নি। উন্মোচন হয়নি সেই ল্যাপটপে কি গোপনীয় বিষয় ছিল তার।

তিনি বলেন, হয়তো সাগর-রুনির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ ছিল যা ক্ষমতাসীনদের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও হুমকিস্বরূপ। হয়তো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রীয় মদদে লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ ছিল তাদের কাছে, সেই খাতের লুটপাট তথা নেপথ্যেও কুশীলবদের সঙ্গে এই হত্যা ও বিচারহীনতার সম্পর্ক থাকা অস্বাভাবিক নয়।

রিজভী জানান, দেশজুড়ে প্রায়ই হত্যা, গুম, খুন ও অপহরণসহ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এক দশকে এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন ৩০ সাংবাদিক, যার বিচার আজও হয়নি। আর ১৫ বছরে এ ঘটনা ৪ হাজারটিরও বেশি ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ ও দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমানে গণমাধ্যমের একটি বিশাল অংশ আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মালিকপক্ষের চাপে বিলীন হচ্ছে স্বাধীন সাংবাদিকতা। ফ্যাসিস্ট সরকারের মুখপাত্র হিসেবে চিহ্নিত কিছু গণমাধ্যমের কারণে দেশের জনগণ আজ মূলধারার গণমাধ্যমের একাংশের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

ঠিকানা/ছালিক 

কমেন্ট বক্স