Thikana News
২৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

প্রেমিকার বিয়ের পর অন্তরঙ্গ ভিডিও ছাড়ায় যুবকের জেল

প্রেমিকার বিয়ের পর অন্তরঙ্গ ভিডিও ছাড়ায় যুবকের জেল ছবি সংগৃহীত



 
কলেজে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মিজানুর রহমান তুহিন (২৬)। কিন্তু বিয়েটা হয়নি। পরিবার থেকে ওই তরুণীর (২৬) বিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্যত্র। এই ক্ষোভে পরে প্রেমিকার অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেন ইন্টারনেটে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী মামলা করেন। সেই মামলায় আদালত তুহিনকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আলাদা তিনটি ধারায় বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তুহিনকে এই দণ্ড দেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয় ৩ লাখ টাকা। অনাদায়ে আরও নয় মাসের কারাদণ্ড। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত তুহিনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি চাতরা চৌদ্দমাথা গ্রামে। তিনি রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়েছিল।

মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, কলেজে পড়াশোনা করার সময় আসামির সঙ্গে বাদীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্ক চলাকালে তুহিন গোপনে মোবাইল ফোনে বাদীর কিছু ছবি ও অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে তুহিন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন এবং তাকে বিয়ে না করলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। কিন্তু ওই তরুণী তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি।

এরপর পরিবার ওই তরুণীকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। আর বিয়ের পর থেকে অভিযুক্ত যুবক বাদীর সম্পর্কে তার স্বামী ও শাশুড়ির মোবাইলে বিভিন্ন আপত্তিকর এসএমএস, ছবি এবং ভিডিও পাঠাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ফেসবুকে একটি আইডি খুলে সেখানে ওই সব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন তুহিন। এ ঘটনায় তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী।

মামলার রায়ে তুহিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আইনের ২৬(২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ২৯(২) ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পৃথক ধারায় দেওয়া এসব সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে। রায় ঘোষণাকালে অভিযুক্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স