আইওয়াতে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা নতুন একটি বিল উত্থাপন করেছেন। বিলটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ধর্মীয় বা নৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দেবে। অন্য রিপাবলিকান রাজ্যগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে পারবেন ডাক্তাররা ইতিমধ্যে অনুরূপ আইন গ্রহণ করেছে। মে মাসে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস একটি বিলে স্বাক্ষর করেন যা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের বিবেকপূর্ণ আপত্তির ভিত্তিতে চিকিৎসা থেকে বেরিয়ে আসার অধিকার দেয়। অন্যদিকে অক্টোবরে মন্টানায় একটি আইন কার্যকর হয় যাতে ব্যবস্থাপত্রে গাঁজার সুপারিশ, মৃত্যুতে সহায়তা এবং লিঙ্গ-নির্ধারণ যত্নের বিরোধিতা করার জন্য চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করা যায়।
১০ জানুয়ারি আইওয়ার আইনসভায় পেশ করা সিনেট স্টাডি বিল ৩০০৬, স্বাস্থ্য পরিচর্যাকারীরা বিবেকের বিরুদ্ধে যায় এমন চিকিৎসার জন্য গ্রহণ বা অর্থ প্রদান করতে না চাইলে ক্ষতির দায় থেকে তাদের মুক্তি দেবে। খসড়া আইনটি ২৪ জানুয়ারি বুধবার রাজ্য সিনেট উপকমিটি পাস করেছে। এখন বিলটি পূর্ণ বিচার বিভাগীয় কমিটির ভোটের জন্য এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এই বিলের আওতায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যেসব চিকিৎসা তারা করতে চায় না সর্বজনীনভাবে তা তালিকাভুক্ত করতে হবে। এর ফলে চিকিৎসকরা তাদের বিবেকের ভিত্তিতে প্রক্রিয়াগুলোতে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করার অধিকার পাবেন। যারা করবেন তারা তাদের নিয়োগকর্তার দ্বারা বরখাস্ত হওয়া এবং তাদের মেডিকেল লাইসেন্স হুমকির সম্মুখীন হওয়া থেকেও রক্ষা পাবেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন বিলের বিধানগুলোর বাইরে রাখা হয়েছে, যা জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রত্যাখ্যানকেও বাধা দেয়।
আইওয়া ক্যাথলিক কনফারেন্স খসড়া আইনটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, চিকিৎসা পেশাদারদের ‘তাদের বিবেক এবং কোনো ক্ষতি না করার’ শপথ লঙ্ঘন করতে বাধ্য করা উচিত নয়। বিবেক মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।
তবে কিছু স্থানীয় ডেমোক্র্যাট এবং অ্যাক্টিভিস্ট এই ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছেন। কারণ এটি একটি বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় আইনের বাইরে চলে যায় যা চিকিৎসকদের তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিতে গর্ভপাত প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দেয়।
আইওয়া বর্তমানে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের পরে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে। ২০২৩ সালে ছয় সপ্তাহের পরে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার বিল আনার একটি প্রচেষ্টা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট প্রত্যাখ্যান করে।