নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোকুল এবং মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রায় প্রতিদিন দেশের দক্ষিণ সীমান্ত রাজ্যগুলো থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দ্রুত কাজের অনুমোদন (ওয়ার্ক পারমিট) দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মেয়র অ্যাডামসের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর হোকুল বলেন, ‘তারা কাজ করতে আগ্রহী। তারা কাজ করতে চায়। তারা এখানে কাজ এবং একটি নতুন ভবিষ্যতের সন্ধানে এসেছে। তারা আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের কমিউনিটির অংশ হয়ে উঠতে
পারে। আমাদের এখানে মানুষও বিভিন্ন স্থাপনায় তাদের প্রশিক্ষণ শুরু করতে প্রস্তুত।’
হোকুল তার অতীত স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এখানে আসি তখন এলিস দ্বীপের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি আমার ডায়েরিতে নোট করেছিলাম...। আমার কিশোর দাদা-দাদি এক শতাব্দী আগে আয়ারল্যান্ডের বড় দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে ভাগ্যান্বেষণে এখানে এসেছিলেন। তাদের সন্তান আটটি শিশু নিয়ে তারা একটি ছোট বাড়িতে গাদাগাদি করে থাকতেন। এরপর ওই শিশুদের মধ্যে কেউ ব্যবসায়ী নেতা, কেউ স্কুল সুপারিনটেনডেন্ট বা শিক্ষাবিদ এবং এমনকি একটি নাতনি গভর্নরও হয়েছেন।’
গভর্নর বলেন, ‘এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে এটাই ঘটে। মানুষের জীবন বদলায়, তারা পরিবর্তন হয়। এটাই নিউইয়র্কের গল্প। আমাদের সেই একই অধিকার, সেই একই সুযোগ মানুষকে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘গত সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রাজ্যগুলো থেকে ৫ হাজার ৮০০ আশ্রয়প্রার্থী নিউইয়র্ক সিটিতে এসেছে। এর আগের সপ্তাহে এসেছিল ৪ হাজার ২০০ জন। শুধুমাত্র একটি স্থানে ৮০০ বেশি আশ্রয়প্রার্থী। তারা শুধু বাসে নয়, বিমান ও কার থেকে শুরু করে পরিবহনের প্রতিটি উপায়ে এসেছে।
আমাদের প্রশাসন এই সংকট পর্যবেক্ষণ ও মোকাবেলা করতে গভর্নরের অফিসের সাথে অংশীদারিত্ব করার জন্য আমাদের সর্বোত্তম সক্ষমতার তথ্যগুলো সঠিকভাবে রিপোর্ট করেছে। যদি এই আশ্রয়প্রার্থীরা কাজ করতে না পারে, তাহলে তা হবে সেই স্বপ্নের অনুসরণে একটি বড় অন্তরায় ও বাধা।
তাই আমাদের নতুন আমেরিকানরা যাতে আইনত কাজ করতে পারে এবং আমাদের দেশে নিজেদের জন্য স্থিতিশীল জীবন গড়ে তুলতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা হোয়াইট হাউস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অ্যাডামস বলেন, ওয়াশিংটনকে অবশ্যই টেম্পোরারি প্রটেক্টিভ স্ট্যাটাস-টিপিএসকে নতুন করে নির্ধারণ ও প্রসারিত করতে হবে এবং ফেডারেল সরকারকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য মানবিক প্যারোলে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ ও প্রসারিত করতে হবে।
এসব আশ্রয়প্রার্থী আমেরিকান স্বপ্ন, কাজ করার এবং সফল জীবন গড়ার সুযোগ খুঁজতে এখানে এসেছেন। আসুন তাদের এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে কাজ করার সুযোগ দেই।