হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষেও দেখল ৮ উইকেটের বড় হার। এই নিয়ে চলমান বিপিএলের শুরুর ৪ ম্যাচেই হারল সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের দেওয়া ১৩৮ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা আবিস্কা ফার্নান্দো। ১৭ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হন তিনি। সিলেট ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রামের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। টম ব্রুসকে নিয়ে গড়েন ৮৯ রানের জুটি।
৩৯ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তানজিদ। তবে তার পরের বলেই ফেরেন তিনি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। তবে জয়ের জন্য বাকি পথটুকু শাহাদাত হোসেন দীপুকে নিয়ে ভালোভাবেই পাড়ি দেন ব্রুস। দীপু ১৩ রানে ও ব্রুস ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট পান হ্যারি টেক্টর ও তানজিম হাসান সাকিব। এদিন মাত্র ১ ওভার বল করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই ওভারে ১৪ রান তুলে নেন চট্টগ্রামের ব্যাটাররা।
এর আগে ২০ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানেই আটকে যায় সিলেট। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন মাশরাফি। ৮ রানের মধ্যেই মোহাম্মদ মিথুন ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। তবে সেটি ছিল বেশ ধীরগতির। ৪৯ বলে এই রান তোলেন তারা।
৬৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩১ রান করে জাকির ফিরলেও আরেক পাশে অবিচল থাকেন টেক্টর। এরপর দলটি মাত্র ১ উইকেট হারালেও তেমন রান তুলতে পারেনি। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানেই আটকে যায় তারা। ৪২ বলে ৪৫ রান করেন হ্যারি টেক্টর। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৩৪ রানে রায়ান বার্ল ও ১২ বলে ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল হক।
৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের সবচেয়ে সফল বোলার বিলাল খান। একটি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দেন পেসার আল-আমিন হোসেন।
আজকেসহ চলমান বিপিএলে মোট ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জয় পেল চট্টগ্রাম। ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আর ৪ ম্যাচে ৪ হার দেখা সিলেট আছে একদম তলানিতে। ৩ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে দুইয়ে খুলনা।
ঠিকানা/ছালিক