যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে বাড়ি কেনার (মর্টগেজ) লোনের ইন্টারেস্ট। বর্তমানে ৩০ বছর মেয়াদি ইন্টারেস্ট রেট ৭.৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ১৫ বছর মেয়াদি লোনের ইন্টারেস্ট ৭.১৫ শতাংশ। এই ইন্টারেস্ট রেট আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে যারা বাসাবাড়ি কিনতে চাইছেন, তাদের আয় অনুযায়ী লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণ কমছে। আগে বছরে কেউ এক লাখ ডলার ইনকাম করলে যে পরিমাণ লোন পেতেন, এখন সেই পরিমাণ লোন পাচ্ছেন না। কারণ ইন্টারেস্ট রেট বাড়ার কারণে বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে লোন পাওয়ার অযোগ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। লোন পাওয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ায় আগে মানুষ যে বাজেটে কোনো বাড়ি কিনতে পারতেন, এখন সেই বাজেটে একই ধরনের বাড়ি কিনতে পারছেন না। এখন লোনের ইন্টারেস্ট বেশি হওয়ায় মার্কেটে বাড়ির দামও বেশি। ডিমান্ড বেশি হওয়ায় আস্কিং প্রাইজের চেয়ে বেশি দামে বাসাবাড়ি বিক্রি হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা যেমন সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বাড়ি কিনতে না পেরে হতাশ, তেমনি রিয়েলটররাও হতাশ। একটি বাড়ি কেনার জন্য তারা যে পরিমাণ সময় ব্যয় করছেন, সে অনুযায়ী শ্রমের মূল্য পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে আইরি কমের প্রধান ঈসমাইল আহমেদ বলেন, এখন লোনের ইন্টারেস্ট যা আছে, তা-ই শেষ নয়। আমরা ধারণা করেছিলাম, চলতি বছরের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের পরে মর্টগেজের লোনের ইন্টারেস্ট কমতে পারে। এখন সে রকম কোনো লক্ষণ নেই। বরং দেখা যাচ্ছে, ইন্টারেস্ট রেট ক্রমাগত বাড়ছে। এটি আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। ইনফ্লাশন রেট হাই হওয়ার কারণে লোনের ইন্টারেস্ট রেট বাড়ছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে হয়তো কমতে পারে।
তিনি বলেন, আগে আমরা কম রেটে মর্টগেজ দিতে পারতাম, এখন সেটি পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ ভালো রেটে লোন পাইয়ে দিতে। আমরা নিউইয়র্কসহ আমেরিকার যেকোনো স্থানেই লোনের ব্যবস্থা করে থাকি। লোন পাওয়ার জন্য ক্রেতাকে আগেই তার প্রুফ অব ইনকাম, যেমন ডকুমেন্টগুলো তৈরি রাখতে হবে। অন্যান্য খাতে কত লোন আছে, কী কী খরচ আছে প্রভৃতির নথিপত্র প্রয়োজন হবে। ডব্লিউ-২ হলে দুই বছরের ট্যাক্স রিটার্ন এবং শেষ দুই থেকে তিন মাসের পেস্টাব লাগবে।
ঈসমাইল আহমেদ বলেন, আগে দেখা যেত কেউ বছরে এক লাখ ডলার আয় করলে সোয়া চার থেকে সাড়ে চার লাখ ডলার পর্যন্ত লোন পেতেন। এখন সাড়ে তিন লাখ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত লোন পাবেন। যদি ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দেন, সে ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। প্রাইমারি হাউস হলে বর্তমানে ৩০ বছরের লোন সাড়ে সাত শতাংশ এবং ১৫ বছরের জন্য হলে সোয়া সাত শতাংশ। লোন নিয়ে দিতে আমাদের ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, ফার্স্ট টাইম হোম বায়ারদের জন্য কিছু ডাউন পেমেন্টের অপশন রয়েছে। এই অপশনগুলো নিতে হলে যোগ্যতাও থাকতে হবে। ডাউন পেমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে এটি দেওয়া হয়। সেটি লো ডাউন পেমেন্টের জন্য। বলা যায়, ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়েও বাসাবাড়ি কেনা যাবে। তবে কোঅপের বেলায় ডাউন পেমেন্ট বেশি দিতে হয়। আমরা বাফেলো, আলবেনি ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন সিটি, কাউন্টিতে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করি। নিউইয়র্ক সিটি থেকে এখন অনেক মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এর মধ্যে বাফেলো ও আলবেনিতে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ সেখানেও নিউইয়র্ক সিটির মতো হেলথ সুবিধা পাওয়া যায়। ইন্স্যুরেন্স চেঞ্জ করে তারা সেখানে চলে যান। আমরা লোন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের ইন্টারেস্টের সঙ্গে তুলনা ও নেগোসিয়েশন করে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এতে প্রতিযোগিতামূলক দামে ক্রেতারা লোন পেয়ে থাকেন।
ঈসমাইল আহমেদ বলেন, দাম কমার অপেক্ষা না করে যাদের সামর্থ্য আছে এবং মর্টগেজ পেমেন্ট করার অর্থ আছে, তাদের এখনই বাড়ি কেনা উচিত। কারণ আগামীতে মর্টগেজের ইন্টারেস্ট রেট কিছুটা কমলেও তখন বাড়ির দাম এখনকার চেয়ে বাড়বে। ফলে হিসাব সমান সমান হয়ে যায়।
এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের রিয়েলটর বি হোসেন বলেন, আগের চেয়ে বাজারে বাসাবাড়ি কম। মার্কেটে নতুন বাড়িও তেমন আসছে না। নতুন এবং ভালো বাড়ি যেগুলো লিস্টিং হচ্ছে, সেগুলো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতাদের অনেকেই নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে আশানুরূপ বাড়ি কিনতে পারছেন না।
এ বিষয়ে আইরি কমের প্রধান ঈসমাইল আহমেদ বলেন, এখন লোনের ইন্টারেস্ট যা আছে, তা-ই শেষ নয়। আমরা ধারণা করেছিলাম, চলতি বছরের অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের পরে মর্টগেজের লোনের ইন্টারেস্ট কমতে পারে। এখন সে রকম কোনো লক্ষণ নেই। বরং দেখা যাচ্ছে, ইন্টারেস্ট রেট ক্রমাগত বাড়ছে। এটি আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। ইনফ্লাশন রেট হাই হওয়ার কারণে লোনের ইন্টারেস্ট রেট বাড়ছে। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে হয়তো কমতে পারে।
তিনি বলেন, আগে আমরা কম রেটে মর্টগেজ দিতে পারতাম, এখন সেটি পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ ভালো রেটে লোন পাইয়ে দিতে। আমরা নিউইয়র্কসহ আমেরিকার যেকোনো স্থানেই লোনের ব্যবস্থা করে থাকি। লোন পাওয়ার জন্য ক্রেতাকে আগেই তার প্রুফ অব ইনকাম, যেমন ডকুমেন্টগুলো তৈরি রাখতে হবে। অন্যান্য খাতে কত লোন আছে, কী কী খরচ আছে প্রভৃতির নথিপত্র প্রয়োজন হবে। ডব্লিউ-২ হলে দুই বছরের ট্যাক্স রিটার্ন এবং শেষ দুই থেকে তিন মাসের পেস্টাব লাগবে।
ঈসমাইল আহমেদ বলেন, আগে দেখা যেত কেউ বছরে এক লাখ ডলার আয় করলে সোয়া চার থেকে সাড়ে চার লাখ ডলার পর্যন্ত লোন পেতেন। এখন সাড়ে তিন লাখ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত লোন পাবেন। যদি ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দেন, সে ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ পর্যন্ত লোন পেতে পারেন। প্রাইমারি হাউস হলে বর্তমানে ৩০ বছরের লোন সাড়ে সাত শতাংশ এবং ১৫ বছরের জন্য হলে সোয়া সাত শতাংশ। লোন নিয়ে দিতে আমাদের ৩০-৪৫ দিন সময় লাগে।
তিনি আরও বলেন, ফার্স্ট টাইম হোম বায়ারদের জন্য কিছু ডাউন পেমেন্টের অপশন রয়েছে। এই অপশনগুলো নিতে হলে যোগ্যতাও থাকতে হবে। ডাউন পেমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে এটি দেওয়া হয়। সেটি লো ডাউন পেমেন্টের জন্য। বলা যায়, ৫ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়েও বাসাবাড়ি কেনা যাবে। তবে কোঅপের বেলায় ডাউন পেমেন্ট বেশি দিতে হয়। আমরা বাফেলো, আলবেনি ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন সিটি, কাউন্টিতে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করি। নিউইয়র্ক সিটি থেকে এখন অনেক মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এর মধ্যে বাফেলো ও আলবেনিতে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ সেখানেও নিউইয়র্ক সিটির মতো হেলথ সুবিধা পাওয়া যায়। ইন্স্যুরেন্স চেঞ্জ করে তারা সেখানে চলে যান। আমরা লোন পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের ইন্টারেস্টের সঙ্গে তুলনা ও নেগোসিয়েশন করে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এতে প্রতিযোগিতামূলক দামে ক্রেতারা লোন পেয়ে থাকেন।
ঈসমাইল আহমেদ বলেন, দাম কমার অপেক্ষা না করে যাদের সামর্থ্য আছে এবং মর্টগেজ পেমেন্ট করার অর্থ আছে, তাদের এখনই বাড়ি কেনা উচিত। কারণ আগামীতে মর্টগেজের ইন্টারেস্ট রেট কিছুটা কমলেও তখন বাড়ির দাম এখনকার চেয়ে বাড়বে। ফলে হিসাব সমান সমান হয়ে যায়।
এক্সিট রিয়েলটি প্রাইমের রিয়েলটর বি হোসেন বলেন, আগের চেয়ে বাজারে বাসাবাড়ি কম। মার্কেটে নতুন বাড়িও তেমন আসছে না। নতুন এবং ভালো বাড়ি যেগুলো লিস্টিং হচ্ছে, সেগুলো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ক্রেতাদের অনেকেই নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে আশানুরূপ বাড়ি কিনতে পারছেন না।