
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অবতরণ করেন ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে জেএফকে বিমানবন্দরের ৭ নম্বর টার্মিনালে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে এই টার্মিনালে সমাবেশের অনুমতি পাননি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অগত্যা সীমিত সময়ের অনুমতি নিয়ে ৭ নম্বর টার্মিনাল থেকে বেশ দূরের ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে সমাবেশ করেছেন তারা। ফলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখাতে পারেনি স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

নিউইয়র্ক : প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে জেএফকে বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের মিছিল।
এদিকে দুই দলের কর্মসূচি চলাকালে ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লট এলাকায় উত্তেজনা ছিল চরমে। সমাবেশের শেষ মুহূর্তে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর গায়ে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে পুলিশ বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পুলিশের কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে আনেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বিএনপির ওই কর্মীকে ডেস্ক এপিয়ারেন্স টিকেট দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উভয় সমাবেশে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী অংশ নেন এবং এসময় কড়া নিরাপাত্তা রক্ষায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। রাত সোয়া ৮টার পর পোর্ট অথরিটি পুলিশ তাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

নিউইয়র্ক : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদে জেএফকে বিমানবন্দরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জিল্লুর রহমান জিল্লু।
আওয়ামী লীগের স্বাগত সমাবেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগতম-শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগ জেএফকে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের বাইরে যাত্রী ওয়েটিং এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, সামসুদ্দীন আজাদ ও লুৎফুল কবির, উপদেষ্টা ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, জয়নাল আবেদদীন, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও আইরীন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহীম বাদশা ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম, আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, কাজী কয়েস, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, শরাফ সরকার, শরিফ কামরুল হীরা, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, ফরিদা ইয়াসমীন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, এম আলমগীর, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নূরুল আমীন বাবু, সাইকুল ইসলাম, দরুদ মিয়া রনেল, সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামার সুমন, জামাল হোসেন, আবুল হোসেন, হাসান জিলানী, খান শওকত, আব্দুল মুহিত, আব্দুল কাদের মিয়া ছাড়াও পেনসিলভেনিয়া, নিউইংল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, শিকাগো স্টেট এবং কানাডা আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
বিএনপি’র বিক্ষোভ : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট ও মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ’ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে জেএফকে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তবে পুলিশের বাধার কারণে সমাবেশটি বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমতিপ্রাপ্ত সময়ের বেশী সময় পুলিশ সমাবেশ করতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও গিয়াস আহমেদ ছাড়াও এই সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, আহবাব চৌধুরী, এম এ বাতিন, জাকির এইচ চৌধুরী, আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, পারভেজ সাজ্জাদ, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাঈদ, জসীমউদ্দিন (ভিপি), কাওসার আহমেদ, হাবিবুর রহমান, সেলিম রেজা, মোহাম্মদ এ রহমান, আবুল কাসেম, আব্দুস সবুর, মোশারফ হোসেন সবুজ, ওমর ফারুক, আতিকুল ইসলাম আহাদ, বদিউল আলম, শেখ হায়দার আলী, ওমর ফারুক, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, আবু তাহের, কাউসার আহমেদ, রেজাউল আজাদ ভূইয়া, রুহুল আমিন নাসির, মোহাম্মদ জে হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখসহ বিপুল নেতা-কর্মী যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী অবতরণ করেছেন ৭ নম্বর টার্মিনালে, সমাবেশ কেন ৪ নম্বর টার্মিনালে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা জানান, আমরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছি। সমাবেশের স্থান কোথায় এটি বড় বিষয় নয়। আমরা স্বাগত সমাবেশ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করেছি।
এ ব্যাপারে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, ‘যেখানে হাসিনা সেখানে প্রতিরোধ’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আমরা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছি। স্থান কোনো ব্যাপার নয়। কারণ মিডিয়ার যুগে সব খবরই সবখানে পৌঁছে যায়।

নিউইয়র্ক : প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে জেএফকে বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের মিছিল।
এদিকে দুই দলের কর্মসূচি চলাকালে ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লট এলাকায় উত্তেজনা ছিল চরমে। সমাবেশের শেষ মুহূর্তে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর গায়ে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে পুলিশ বিএনপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পুলিশের কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে আনেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। বিএনপির ওই কর্মীকে ডেস্ক এপিয়ারেন্স টিকেট দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উভয় সমাবেশে বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী অংশ নেন এবং এসময় কড়া নিরাপাত্তা রক্ষায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। রাত সোয়া ৮টার পর পোর্ট অথরিটি পুলিশ তাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

নিউইয়র্ক : জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদে জেএফকে বিমানবন্দরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জিল্লুর রহমান জিল্লু।
আওয়ামী লীগের স্বাগত সমাবেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগতম-শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগ জেএফকে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের বাইরে যাত্রী ওয়েটিং এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, সামসুদ্দীন আজাদ ও লুৎফুল কবির, উপদেষ্টা ড. প্রদীপ কর, ডা. মাসুদুল হাসান, জয়নাল আবেদদীন, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী ও আইরীন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহীম বাদশা ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া এনাম, আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, কাজী কয়েস, তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, শরাফ সরকার, শরিফ কামরুল হীরা, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, ফরিদা ইয়াসমীন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের একাংশের সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, এম আলমগীর, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নূরুল আমীন বাবু, সাইকুল ইসলাম, দরুদ মিয়া রনেল, সেবুল মিয়া, রহিমুজ্জামার সুমন, জামাল হোসেন, আবুল হোসেন, হাসান জিলানী, খান শওকত, আব্দুল মুহিত, আব্দুল কাদের মিয়া ছাড়াও পেনসিলভেনিয়া, নিউইংল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, শিকাগো স্টেট এবং কানাডা আওয়ামী লীগের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
বিএনপি’র বিক্ষোভ : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক স্টেট ও মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ‘যেখানে হাসিনা সেখানেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ’ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে জেএফকে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনালের পার্কিং লটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তবে পুলিশের বাধার কারণে সমাবেশটি বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমতিপ্রাপ্ত সময়ের বেশী সময় পুলিশ সমাবেশ করতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও গিয়াস আহমেদ ছাড়াও এই সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীর মধ্যে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, আহবাব চৌধুরী, এম এ বাতিন, জাকির এইচ চৌধুরী, আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, পারভেজ সাজ্জাদ, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাইদুর রহমান সাঈদ, জসীমউদ্দিন (ভিপি), কাওসার আহমেদ, হাবিবুর রহমান, সেলিম রেজা, মোহাম্মদ এ রহমান, আবুল কাসেম, আব্দুস সবুর, মোশারফ হোসেন সবুজ, ওমর ফারুক, আতিকুল ইসলাম আহাদ, বদিউল আলম, শেখ হায়দার আলী, ওমর ফারুক, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, আবু তাহের, কাউসার আহমেদ, রেজাউল আজাদ ভূইয়া, রুহুল আমিন নাসির, মোহাম্মদ জে হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখসহ বিপুল নেতা-কর্মী যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী অবতরণ করেছেন ৭ নম্বর টার্মিনালে, সমাবেশ কেন ৪ নম্বর টার্মিনালে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা জানান, আমরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছি। সমাবেশের স্থান কোথায় এটি বড় বিষয় নয়। আমরা স্বাগত সমাবেশ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসাবে কাজ করেছি।
এ ব্যাপারে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, ‘যেখানে হাসিনা সেখানে প্রতিরোধ’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে আমরা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছি। স্থান কোনো ব্যাপার নয়। কারণ মিডিয়ার যুগে সব খবরই সবখানে পৌঁছে যায়।