জায়েদ খানের অ্যাওয়ার্ড  নিয়ে নানান কথা

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:০০ , চলতি সংখ্যা
বাংলা সিনেমার নায়ক জায়েদ খান যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে একটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। অ্যাওয়ার্ডটির গুরুত্ব কতখানি তা নিয়ে নানান কথা চালু রয়েছে। জায়েদ খান তার প্রাপ্তিকে বড় করে দেখলেও তার নিন্দুকেরা এটা নিয়ে ঠাট্টা মশকরা কম করছেন না। কেউ বলছেন, এই অ্যাওয়ার্ড অর্থ খরচ করলেই যে কেউ পেতে পারেন। এজন্য কোনো অবদানের প্রয়োজন নেই। জায়েদ খানের এমন কোনো অবদান নেই যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাওয়ার্ড দিতে হবে। আলোচনায় থাকতেই তিনি এসব করছেন। 
পর্দায় উপস্থিতি কম থাকলেও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন জায়েদ খান। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি তার। এর মধ্যেই ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ এবং ‘হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন’ নামে দুটি সংস্থা যৌথভাবে সারা বিশ্ব থেকে ৪০ জন ব্যক্তিকে ‘দ্য হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে, তাদেন একজন জায়েদ খান। 
এ খবরটি ঢালিউডের এই অভিনেতা নিজেও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেন। তিনি জানান, কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন শিল্পীদের জন্য খাদ্য সহায়তাসহ তার বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের কারণে সংস্থাটি তাকে এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করেছে। 
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ডেলিগেটদের ডাইনিং রুমে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে এই অভিনেতাকে ‘গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর” হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, জায়েদ খানকে পুরস্কৃত করা ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ জাতিসংঘের অনুমোদিত কোনো সংস্থা নয়। এরপর নেটিজেনরা আরও বেশি করে জায়েদ খানের সমালোচনায় মেতে ওঠেন। তবে সেটিকে ভালোভাবে নেননি ঢাকাই সিনেমার এই নায়ক। তার ভাষ্য, দেশের একটা ছেলে এ ধরনের অ্যাওযার্ড পাওয়ায় সবার খুশি হওয়া উচিত ছিল। 
জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, মানুষ তো অনেক কিছু বলবে। ইউনূসের অ্যাওয়ার্ডের সময়ও বলেছিল যে, কিনে নিয়ে এসেছে। ওরা যে ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নাম প্রকাশ করেছে সেখানে দুই দেশের রানি, রাষ্ট্রদূত, নিউজার্সির পুলিশ প্রধান, এখানের মেয়রের নাম রয়েছে। অনুষ্ঠানে জো বাইডেনের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়েছে। জাতিসংঘের হলরুম ভাড়া নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সেখানে লোকদের ঢোকানো হয়েছে। আমি কি কোথাও বলেছি যে এটা সরাসরি জাতিসংঘের পুরস্কার?”
সমালোচনার বিপরীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, ‘এটাতে বাংলাদেশের মানুষের খুশি হয়ে যাওয়ার কথা, গর্ব হওয়ার কথা যে  বাংলাদেশের একটা ছেলে পুরস্কার পেয়েছে। সেটাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এত নেগেটিভ কথাবার্তা মানুষের। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। কিন্তু কতটা ছোট জাতি, তোরা তো আরও গর্ব করবি যে, ওখানে বলা হয়েছে জায়েদ খান ফিল্ম অ্যাক্টর বাংলাদেশ। আমি তাদের ভিডিও দিলাম। ভিডিওতে দেখা গেল আমাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারপরও এ ধরনের কথাবার্তা বলার কোনো ভ্যালু আছে?’
জানা গেছে, কিছু পেশাদার ব্যক্তির উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনটির নামে একটি ডোমেইন কিনে পরে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়েছেন আয়োজকেরা। পুরস্কারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অনেক বড় বড় ব্যক্তিও রয়েছেন। তবে এই পুরস্কারের বিষয়ে হোয়াইট হাউজ থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, নিউইয়র্কে একটি অফিস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সুইজারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গেও অফিস রয়েছে। তবে সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের অফিসের কার্যক্রমের কোনো তথ্য নেই ওয়েবসাইটে।
২০২২ সালে ওয়েবসাইট চালু হলেও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামে আরেকজন এটির প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে নাম উল্লেখ আছে ফ্রেডেরিক অর্ডিন্স নামে একজনের।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যার বেশিরভাগই আফ্রো-আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত। এসব সংস্থা নগদ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির এই ধরনের পুরস্কার দিয়ে থাকে। নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।

 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041