
ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ঘটনাবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনের নাম ‘আশুরা’। উম্মতে মোহাম্মদিদের কাছে শহীদে কারবালা দিন হিসেবে এই দিনটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় পালনীয় দিন। তবে তার আগেও মহান আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার মাধ্যমে এই দিনকে বিশেষত্ব দান করেছেন। সবগুলো ঘটনাকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই দিনটিতে আল্লাহ অনেক ঘটনার জন্ম দিয়ে তিনি তাঁর পছন্দেই আশুরাকে করেছেন মহিমান্বিত।
পাঠকবৃন্দ, ধৈর্যের সঙ্গে অনুধাবন করলে আমার সংগৃহীত আলোচনা থেকে মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বিষয়ে কিছুটা জানতে পারবেন, ইনশা আল্লাহ। আমি কারবালার ঘটনা আলোচনার আগে, তার পূর্বে প্রাগৈতিহাসিক কালে কিংবা দুনিয়ার সৃষ্টিলগ্ন থেকে আশুরা তারিখে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা একে একে দৃষ্টিপাত করছি :
১. আল্লাহ তায়ালা এই আশুরাতেই আসমান, জমিন, চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পাহাড়, পর্বত, সাগর, মহাসাগর সৃষ্টি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন আল্লাহ এই দিনে।
২. পবিত্র আসমানি কিতাব ‘তাওরাত’ নাজিল হয়েছিল এই আশুরার দিনে।
৩. মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.), হজরত মুসা (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.)-এই তিনজন নবীর জন্ম হয়েছিল এই দিনে।
৪. ক্ষমতাধর জুলুমবাজ বাদশাহ ফেরআউন লোহিত সাগরে ধ্বংস হয়েছিল এই দিনে।
৫. হজরত নুহ (আ.) এর জাহাজ ৪০ দিন পর পাহাড়ের কিনারে ভিড়েছিল এই দিনে।
৬. হজরত ইউনুস (আ.) যেদিন মাছের পেট থেকে বের হয়েছিলেন, সেটাও ছিল আশুরার দিন।
৭. হজরত ঈসা (আ.) কে আল্লাহ আসমানে তুলে নেন এই দিনে।
৮. পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) কে বেহেশত থেকে যেদিন দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়, সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এমনকি দুনিয়াতে মা হাওয়ার (আ.) সঙ্গে আদম (আ.) এর প্রথম সাক্ষাৎটিও ঘটেছিল এই দিনে।
৯. হজরত আইয়ুব (আ.) রোগমুক্ত হয়েছিলেন এই সেই দিনে।
১০. হজরত সুলাইমান (আ.) পুনরায় রাজত্ব লাভ করেন এই তারিখের এই দিনে।
১১. হজরত ইয়াকুব (আ.) এর সঙ্গে তাঁর পুত্র হজরত ইউসুফ (আ.) এর পুনরায় মিলন হয় এই দিনে।
১২. আল্লাহ তায়ালা হজরত ইদ্রিস (আ.) কে জীবিত করে তাঁরই ইচ্ছায় জান্নাতে উঠিয়ে নেন এই দিনে।
১৩। আরও উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জানা যায়, আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন এই আশুরার দিনেই দুনিয়াতে কিয়ামত সংঘটিত করবেন।
অতঃপর সর্বশেষ ঘটনা হলো ৬১ হিজরিতে ইয়াজিদ বাহিনীর অস্ত্রাঘাতে ইমাম হোসাইন (রা.) এর পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিন এই আশুরা।
ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ৭২ জন সঙ্গীসহ প্রিয় নবীর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) শাহাদাতবরণ করেন।
ইসলামের জন্য সত্যের পক্ষে অকাতরে রক্তের সাগর প্রবাহিত করে ইসলামি জীবনব্যবস্থার লক্ষ্যে বীজ বপন করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের উৎসর্গীকৃত জীবন ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। সুতরাং হোসাইনি চেতনা বহন করার মধ্যে রয়েছে ইমানি শক্তির উপাদান।
অতঃপর, আল্লাহর পছন্দনীয় অনেক ঘটনার অধিকারী আশুরার গুরুত্ব উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা একে আরও গৌরবোজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করে তুলতে পারি। আসুন, অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ১০ মহররম আশুরা দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা একে স্মরণ ও পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি এবং এর মহতী চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বীনি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমিন।
পাঠকবৃন্দ, ধৈর্যের সঙ্গে অনুধাবন করলে আমার সংগৃহীত আলোচনা থেকে মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বিষয়ে কিছুটা জানতে পারবেন, ইনশা আল্লাহ। আমি কারবালার ঘটনা আলোচনার আগে, তার পূর্বে প্রাগৈতিহাসিক কালে কিংবা দুনিয়ার সৃষ্টিলগ্ন থেকে আশুরা তারিখে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা একে একে দৃষ্টিপাত করছি :
১. আল্লাহ তায়ালা এই আশুরাতেই আসমান, জমিন, চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পাহাড়, পর্বত, সাগর, মহাসাগর সৃষ্টি করেছেন। শুধু তা-ই নয়, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন আল্লাহ এই দিনে।
২. পবিত্র আসমানি কিতাব ‘তাওরাত’ নাজিল হয়েছিল এই আশুরার দিনে।
৩. মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.), হজরত মুসা (আ.) ও হজরত ঈসা (আ.)-এই তিনজন নবীর জন্ম হয়েছিল এই দিনে।
৪. ক্ষমতাধর জুলুমবাজ বাদশাহ ফেরআউন লোহিত সাগরে ধ্বংস হয়েছিল এই দিনে।
৫. হজরত নুহ (আ.) এর জাহাজ ৪০ দিন পর পাহাড়ের কিনারে ভিড়েছিল এই দিনে।
৬. হজরত ইউনুস (আ.) যেদিন মাছের পেট থেকে বের হয়েছিলেন, সেটাও ছিল আশুরার দিন।
৭. হজরত ঈসা (আ.) কে আল্লাহ আসমানে তুলে নেন এই দিনে।
৮. পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) কে বেহেশত থেকে যেদিন দুনিয়ায় প্রেরণ করা হয়, সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এমনকি দুনিয়াতে মা হাওয়ার (আ.) সঙ্গে আদম (আ.) এর প্রথম সাক্ষাৎটিও ঘটেছিল এই দিনে।
৯. হজরত আইয়ুব (আ.) রোগমুক্ত হয়েছিলেন এই সেই দিনে।
১০. হজরত সুলাইমান (আ.) পুনরায় রাজত্ব লাভ করেন এই তারিখের এই দিনে।
১১. হজরত ইয়াকুব (আ.) এর সঙ্গে তাঁর পুত্র হজরত ইউসুফ (আ.) এর পুনরায় মিলন হয় এই দিনে।
১২. আল্লাহ তায়ালা হজরত ইদ্রিস (আ.) কে জীবিত করে তাঁরই ইচ্ছায় জান্নাতে উঠিয়ে নেন এই দিনে।
১৩। আরও উল্লেখ্য, পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জানা যায়, আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন এই আশুরার দিনেই দুনিয়াতে কিয়ামত সংঘটিত করবেন।
অতঃপর সর্বশেষ ঘটনা হলো ৬১ হিজরিতে ইয়াজিদ বাহিনীর অস্ত্রাঘাতে ইমাম হোসাইন (রা.) এর পরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিন এই আশুরা।
ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে ৭২ জন সঙ্গীসহ প্রিয় নবীর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) শাহাদাতবরণ করেন।
ইসলামের জন্য সত্যের পক্ষে অকাতরে রক্তের সাগর প্রবাহিত করে ইসলামি জীবনব্যবস্থার লক্ষ্যে বীজ বপন করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের উৎসর্গীকৃত জীবন ইসলামের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। সুতরাং হোসাইনি চেতনা বহন করার মধ্যে রয়েছে ইমানি শক্তির উপাদান।
অতঃপর, আল্লাহর পছন্দনীয় অনেক ঘটনার অধিকারী আশুরার গুরুত্ব উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা একে আরও গৌরবোজ্জ্বল ও মহিমান্বিত করে তুলতে পারি। আসুন, অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ১০ মহররম আশুরা দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধির মাধ্যমে আমরা একে স্মরণ ও পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি এবং এর মহতী চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বীনি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলি। আমিন।