
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তি করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)। এ উপলক্ষে গত ২৩ জুলাই রোববার নিউইয়র্কের জ্যামাইকার পিএস-১৩২ মিলনায়তনে দিনবাপী উৎসব ও পরিবেশ মেলার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, বাংলাদেশে সমগ্র জনগোষ্ঠির কল্যাণে আইন হচ্ছে না। অনেক সময়েই বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠির স্বার্থেও আইন তৈরী হচ্ছে। যাদের হাতে অর্থ আছে, যাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, ক্ষমতার এক্সেস আছে, প্রভাব আছে, তারা পরিবেশ দুষণের জন্যে দায়ী বা চিহ্নিত হলেও সত্যিকার অর্থে তাদেরকে কিছুই করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় বেন ও বাপার পরবর্তী কর্মসূচি হওয়া দরকার রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিবর্গকে এই আন্দোলনের সাথে আরো জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করা।
রেহমান সোবহান আরো বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অফিস যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলোর সাথে ঢাকার মেয়রদের পরিচিত হওয়া দরকার। আমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রকে নিউইয়র্কে দেখতে চাই। জানতে চাই যে, তারা নিউইয়র্কের মেয়রের অভিজ্ঞতার আলোকে রাজধানী ঢাকার পরিবেশ সুরক্ষায় ২/৩ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন। এরপর সেই পরিকল্পনার মেয়াদ ৫ বছর ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
রেহমান সোবহান উল্লেখ করেন, বলবায়ু দূষণ রোধে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা নিতে হবে, এবং সে আলোকে বাংলাদেশেও কাজ করতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই মেয়র ভোটের আগে যে ধরনের অঙ্গীকার করেছিলেন তার বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এমন মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাতে বেন এবং বাপাকে আরো জোরদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। রেহমান সোবহান সকলকে সরব হবার উদাত্ত আহবান জানান এ ইস্যুতে, কারণ এটি হচ্ছে সমগ্র মানবতার সার্বিক কল্যাণে যথাযথ একটি প্রক্রিয়া।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্বখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গরিব জনগোষ্ঠি এবং তাদের কন্যারা। বাস্তুচ্যুত হওয়ায় তারা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। অপুষ্টিকর খাদ্য তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বাধা দিচ্ছে। এমনি অবস্থায় অনেক পিতা-মাতা অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই সন্তান ধারণ করায় সে সব তরুণী বধূরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ সমাজ তথা রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতির আলোকে জনসচেতনতা তৈরী করতে বাপার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা টিমের প্রধান এবং বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে যদি বেনের আন্দোলনের পক্ষে না আনতে পারি তাহলে পরিবেশ সুরক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এবং এই ইস্যুতেই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমরা একটি সমাবেশ করেছি। ড. নজরুল তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি আনতে হলে আমাদের পরিবেশ আন্দোলনকে ব্যাপক জনগণের আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশে আমাদের সহযোগী সংগঠন ‘বাপা’ (বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন)কে সাথে নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনার কাজ শুরু করেছি। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটানো। এ ধরনের বড় সমাবেশ আমরা আগে কখনো করিনি। ড. নজরুল বলেন, বেনের বয়স ২৫ বছর হলো।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ইউকে, সাউথ কোরিয়া, রাশিয়ার দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও এতে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এখন বেনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ব্যাপকসংখ্যক প্রবাসীকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করা। সামনের দিনগুলোতে সেটি হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি উল্লেখ করেন, বেনের দশক পূর্তির সমাবেশে আমরা সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম প্রবাসের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে আমাদের আন্দোলনে যুক্ত করার। তবে সে প্রয়াসে আমরা সফল হতে পারিনি কারণ, সে সময়েও পরিবেশের ইস্যুটি অনেক মানুষের মধ্যে পৌঁছেনি। এখন বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সে পরিস্থিতিতে এখন অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কিভাবে মানবতাকে মুচড়ে দিচ্ছে। সকলেই পরিবেশের ইস্যুটি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধি করছেন। বাংলাদেশে নিজ এলাকার নদীগুলো ধ্বংসের পথে, পানির প্রবাহ থমকে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আমি আশা করবো বেনের সাথে যারা আছেন সকলকে সুসংগঠিত হয়ে বড় একটা ড্রাইভ দিতে হবে যাতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ের এসোসিয়েশনের কাছে সুস্পষ্ট বার্তা নিয়ে যেতে সক্ষম হই। আর এভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার সাথে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে সচেতন করা সম্ভব হবে দেশ ও প্রবাসেও।
উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন বেনের বৈশ্বিক সমন্বয়কারি ড. খালেকুজ্জামান, জাকির হোসেন এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের পরিবেশ বিষয়ক প্রতিনিধি।
এর আগে প্রবাস প্রজন্মের ছোট্টমনিরা ‘আমাদের সুন্দর পৃথিবী’ শীর্ষক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ পর্বের সমন্বয় ঘটিয়েছেন রানু ফেরদৌস। তারও আগে নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় পিএস ১৩১ এর বহিরাঙ্গণে শফিক মিয়ার ঢোলের সাথে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্রজন্মের বিপুল প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি ড. রেহমান সোবহান, বিশেষ অতিথি ড, রওনক জাহান, বেন-এর প্রেসিডেন্ট ড. খালেকুজ্জামান, নারী নেত্রী অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, পরিবেশ মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী ও সদস্য সচিব মিনহাজ আহম্মেদ সাম্মু, প্রোগ্রেসিভ ফোরামের প্রেসিডেন্ট হাফিজুল হক, কমিউনিটি লিডার শরাফ সরকার প্রমুখ।
২৫ বছরপূর্তি উৎসব ও পরিবেশ মেলার আহ্বায়ক ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী। সদস্য সচিব ছিলেন মিনহাজ আহমেদ সাম্মু। সহ-আহ্বায়ক ছিলেন ফারুক জামান। মঞ্চের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন নজরুল কবীর, নূপুর চৌধুরী এবং সাবিনা হাই উর্বি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আরো ছিল বেন-এর বিভিন্ন চ্যাপ্টারের রিপোর্ট ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক বেন লিডারশিপ ফোরাম, পরিবেশবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, ভিডিও প্রতিযোগিতা, সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান, পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ টকশো, উদ্বোধনী নৃত্য, ‘গভীর অসুখে পৃথিবী’ শীর্ষক বেন সাউদার্ন ইউএসএ’র পরিবেশনা, বাংলাদেশি একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) নৃত্য পরিবেশনা, কাব্য নাট্য ‘ডাক দিয়ে যাই’, লোকসঙ্গীত ও পুঁথিপাঠ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. রেহমান সোবহান বলেছেন, বাংলাদেশে সমগ্র জনগোষ্ঠির কল্যাণে আইন হচ্ছে না। অনেক সময়েই বিশেষ বিশেষ গোষ্ঠির স্বার্থেও আইন তৈরী হচ্ছে। যাদের হাতে অর্থ আছে, যাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে, ক্ষমতার এক্সেস আছে, প্রভাব আছে, তারা পরিবেশ দুষণের জন্যে দায়ী বা চিহ্নিত হলেও সত্যিকার অর্থে তাদেরকে কিছুই করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় বেন ও বাপার পরবর্তী কর্মসূচি হওয়া দরকার রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিবর্গকে এই আন্দোলনের সাথে আরো জোরালোভাবে সম্পৃক্ত করা।
রেহমান সোবহান আরো বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অফিস যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলোর সাথে ঢাকার মেয়রদের পরিচিত হওয়া দরকার। আমি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়রকে নিউইয়র্কে দেখতে চাই। জানতে চাই যে, তারা নিউইয়র্কের মেয়রের অভিজ্ঞতার আলোকে রাজধানী ঢাকার পরিবেশ সুরক্ষায় ২/৩ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন। এরপর সেই পরিকল্পনার মেয়াদ ৫ বছর ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
রেহমান সোবহান উল্লেখ করেন, বলবায়ু দূষণ রোধে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক একটি ধারণা নিতে হবে, এবং সে আলোকে বাংলাদেশেও কাজ করতে হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই মেয়র ভোটের আগে যে ধরনের অঙ্গীকার করেছিলেন তার বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এমন মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাতে বেন এবং বাপাকে আরো জোরদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। রেহমান সোবহান সকলকে সরব হবার উদাত্ত আহবান জানান এ ইস্যুতে, কারণ এটি হচ্ছে সমগ্র মানবতার সার্বিক কল্যাণে যথাযথ একটি প্রক্রিয়া।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্বখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন গরিব জনগোষ্ঠি এবং তাদের কন্যারা। বাস্তুচ্যুত হওয়ায় তারা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। অপুষ্টিকর খাদ্য তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বাধা দিচ্ছে। এমনি অবস্থায় অনেক পিতা-মাতা অল্প বয়সে তাদের বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই সন্তান ধারণ করায় সে সব তরুণী বধূরাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ সমাজ তথা রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতির আলোকে জনসচেতনতা তৈরী করতে বাপার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা টিমের প্রধান এবং বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে যদি বেনের আন্দোলনের পক্ষে না আনতে পারি তাহলে পরিবেশ সুরক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। এবং এই ইস্যুতেই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমরা একটি সমাবেশ করেছি। ড. নজরুল তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি আনতে হলে আমাদের পরিবেশ আন্দোলনকে ব্যাপক জনগণের আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশে আমাদের সহযোগী সংগঠন ‘বাপা’ (বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন)কে সাথে নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনার কাজ শুরু করেছি। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে এ বছরের ১৩ জানুয়ারি ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটানো। এ ধরনের বড় সমাবেশ আমরা আগে কখনো করিনি। ড. নজরুল বলেন, বেনের বয়স ২৫ বছর হলো।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, জাপান, ইউকে, সাউথ কোরিয়া, রাশিয়ার দেশপ্রেমিক প্রবাসীরাও এতে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এখন বেনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ব্যাপকসংখ্যক প্রবাসীকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করা। সামনের দিনগুলোতে সেটি হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। তিনি উল্লেখ করেন, বেনের দশক পূর্তির সমাবেশে আমরা সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম প্রবাসের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে আমাদের আন্দোলনে যুক্ত করার। তবে সে প্রয়াসে আমরা সফল হতে পারিনি কারণ, সে সময়েও পরিবেশের ইস্যুটি অনেক মানুষের মধ্যে পৌঁছেনি। এখন বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সে পরিস্থিতিতে এখন অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কিভাবে মানবতাকে মুচড়ে দিচ্ছে। সকলেই পরিবেশের ইস্যুটি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধি করছেন। বাংলাদেশে নিজ এলাকার নদীগুলো ধ্বংসের পথে, পানির প্রবাহ থমকে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আমি আশা করবো বেনের সাথে যারা আছেন সকলকে সুসংগঠিত হয়ে বড় একটা ড্রাইভ দিতে হবে যাতে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ের এসোসিয়েশনের কাছে সুস্পষ্ট বার্তা নিয়ে যেতে সক্ষম হই। আর এভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার সাথে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে সচেতন করা সম্ভব হবে দেশ ও প্রবাসেও।
উদ্বোধনী পর্বে আরো বক্তব্য রাখেন বেনের বৈশ্বিক সমন্বয়কারি ড. খালেকুজ্জামান, জাকির হোসেন এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের পরিবেশ বিষয়ক প্রতিনিধি।
এর আগে প্রবাস প্রজন্মের ছোট্টমনিরা ‘আমাদের সুন্দর পৃথিবী’ শীর্ষক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ পর্বের সমন্বয় ঘটিয়েছেন রানু ফেরদৌস। তারও আগে নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় পিএস ১৩১ এর বহিরাঙ্গণে শফিক মিয়ার ঢোলের সাথে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্রজন্মের বিপুল প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি ড. রেহমান সোবহান, বিশেষ অতিথি ড, রওনক জাহান, বেন-এর প্রেসিডেন্ট ড. খালেকুজ্জামান, নারী নেত্রী অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, পরিবেশ মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী ও সদস্য সচিব মিনহাজ আহম্মেদ সাম্মু, প্রোগ্রেসিভ ফোরামের প্রেসিডেন্ট হাফিজুল হক, কমিউনিটি লিডার শরাফ সরকার প্রমুখ।
২৫ বছরপূর্তি উৎসব ও পরিবেশ মেলার আহ্বায়ক ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস চৌধুরী। সদস্য সচিব ছিলেন মিনহাজ আহমেদ সাম্মু। সহ-আহ্বায়ক ছিলেন ফারুক জামান। মঞ্চের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন নজরুল কবীর, নূপুর চৌধুরী এবং সাবিনা হাই উর্বি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আরো ছিল বেন-এর বিভিন্ন চ্যাপ্টারের রিপোর্ট ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক বেন লিডারশিপ ফোরাম, পরিবেশবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, ভিডিও প্রতিযোগিতা, সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান, পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ টকশো, উদ্বোধনী নৃত্য, ‘গভীর অসুখে পৃথিবী’ শীর্ষক বেন সাউদার্ন ইউএসএ’র পরিবেশনা, বাংলাদেশি একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) নৃত্য পরিবেশনা, কাব্য নাট্য ‘ডাক দিয়ে যাই’, লোকসঙ্গীত ও পুঁথিপাঠ।