
কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। শিকারের এন্তার চেষ্টা। বোলিং-ব্যাটিংয়ে কম-বেশি পাক্কা। ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা সবারই। যে যেভাবে পারছে চালছে দাবার চাল। কারও ‘কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না’ মেসেজ। দেশে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বুধবার থেকে টানা ছুটির মাঝে নতুন নানা ঘটনা। পর্দার অন্তরালে খেলার সঙ্গে অতিখেলা। এরই মধ্যে ভণ্ডুল হয়ে গেছে দুর্গাপূজার মাঝে ভেজাল-গন্ডগোল পাকানোর আয়োজনটি। খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য জনপদে বাধানো ভেজালও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
একদিকে নির্বাচনের ট্রেনের চলতি পথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, মারাত্মক ডিফিকাল্টে আছেন তিনি। বাইরে থেকে কারও পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার ভাষায় ম্যাটিকুলাস ৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, আর ক’দিন থাকতে পারবেন তিনি নিজেই জানেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াত কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে। প্রশাসনের ওই লোকেরা এখন সরকারকে অসহযোগিতা করছে। রীতিমতো বোমা ফাটানোর মতো তথ্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এর মাঝেই একদিকে নাকে দম নিয়ে ঘোরা আওয়ামী লীগকে খোশখবর দিলেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। আরেকদিকে জানালেন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বিতাড়িত স্বৈরাচার। এ কাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকার এবং তার মিত্ররা চুরি করা সম্পদ ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারণায় অর্থায়ন করছে। তাদেরকে সহায়তা করছে ‘কিছু আন্তর্জাতিক মহল’। তাও জানিয়েছেন নালিশ আকারে জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী কয়েকটি বিশ্বশক্তির কাছে।
বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগের প্রতি আবারও পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি গত ১৪ মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার বিভিন্ন কাজ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। আরও কিছু ঘটনায় স্পষ্ট ড. ইউনূস ছক্কা হাঁকাচ্ছেন সব দিকেই। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে দেওয়া বার্তায় জানিয়েছেন, যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস এও বলেছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোটও দিতে পারবে। তবে সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না। জিটিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে কিছু বাড়তি কথাও বলেছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জোর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেছেন, দেশে এমন এমন মানুষও আছেন, যারা বলছেন ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। একদিকে তার এমন অনুভূতি, আরেকদিকে আওয়ামী লীগ বিষয়ে এ সময়ে এমন বক্তব্যের জন্য কে-কারা অপেক্ষমাণ, তা অনুমানযোগ্য। বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন প্রকারান্তরে ভারতেরও পতন। ভারত এখনো ওটাকে তার পরাজয় হিসেবে দেখছে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুন, সেটাও চাইছে। ক্ষমতায় বসা অন্তর্বর্তী সরকার মুখে রাজা-উজির মারছে, আবডালে বা তলে তলে ভারতকে তোয়াজও করছে। এখানেও স্ট্যান্ডবাজি। তলে তলে ইলিশ, সুগন্ধি চিনাগুঁড়া চাল, আমও দিয়েছে। ডক্টর ইউনূস সারা পৃথিবীতে জুলাই গ্রাফিতির বই নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য পুরোনো ছবি বাঁধাই করে নিয়ে গেছেন। উপরে ভারত বিরোধিতা, কিন্তু ভারতের সঙ্গে দেশ বিক্রির চুক্তি প্রকাশ করছেন না। অসম চুক্তির কথা এখন আর মুখেও আনছেন না। কিন্তু ড. ইউনূস নিউইয়র্কে ভারতকে আক্রমণ করে বক্তৃতা করেছেন। জামায়াত নেতাও রীতিমতো আক্রমণাত্মক বক্তৃতা করেছেন।
হঠাৎ নিউইয়র্কে বসে সরকার এবং সরকারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার জামায়াতের এই ভারতের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়ার পেছনে আরেক রাজনীতি। যেখানে বিএনপির জন্য বাজে বার্তা রয়েছে। তা জেনেবুঝেও বিএনপিকে অচেতন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। জামায়াত এর পুরো বেনিফিট নিতে একটুও কমতি করছে না। জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এরা হলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে আবারও ১২ দিনের নতুন কর্মসূচিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ৫টি রাজনৈতিক দল। এর আগে ঢাকাসহ সারা দেশে তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এসব দল। তার মধ্যে পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ছয় দফা দাবিতে খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কর্মসূচি পালন করেছে। অক্টোবরের প্রথমার্ধে শুরু হতে যাওয়া নতুন কর্মসূচিতে সেমিনার, মতবিনিময়, গণসংযোগসহ বিক্ষোভের কর্মসূচি আসতে পারে বলে জানা গেছে।
দলটির লোগো থেকে ‘আল্লাহ’ ও কোরআনের আয়াত ‘আকিমুদ দ্বীন’ শব্দ বাদ দেওয়ায় দলটিকে নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অ্যাক্টিভিস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা বিতর্ক করছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের এক বৈঠকে পেছনে রাখা দলীয় পতাকা এবং দেয়ালে লাগানো নতুন লোগো ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ছবি প্রকাশের পর থেকেই সর্বত্র আলোচনার ঝড় শুরু হয়। আকিদার কারণে দেশের ইসলামি ধারার বেশির ভাগ দল জামায়াতকে প্রকৃত ইসলামী দল হিসেবে মনে না করলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রাচীন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের মাওলানা আবু আ’লা মওদূদীর চিন্তা-চেতনায় পরিচালিত দলটি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় লোগোতে নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় প্রতীক ও লেখা ব্যবহার করছে।
এদিকে সময়ে-অসময়ে সেনাবাহিনীকে খোঁচা মেরে কথা বলার গতি বেড়েছে। সঙ্গে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার চর্চা। সর্বশেষ যোগ হয়েছে খাগড়াছড়ি ইস্যু। এই ইস্যুতে পার্বত্যাঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করার হাইপে টোকা দেওয়ার বাতিক। দমেও দমছে না সেনাবাহিনীকে নিয়ে গুজব-কাণ্ড। বরং নির্বাচন সামনে রেখে এর আয়োজক ও অ্যাজেন্ডাধারীরা নয়া উদ্যমে সক্রিয়। সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার পরবর্তী কয়েকজনের কল্পিত বিরোধ রচনা করা হচ্ছে। মাঠে কর্মরতদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের মতবিরোধের কল্পকাহিনি রটানোর মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। মব দমনের পাশাপাশি গুজব ফ্যাক্টরির দিকে সেনাবাহিনীর বিশেষ নজরদারি আঁচ করে গুজববাজরা অনেকটা খেই হারিয়ে মরণকামড়ের পর্বে নেমেছে। সেনাবাহিনীকেই গুজবে-বিতর্কে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেনাবাহিনীর আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু-অবাধ করতে সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার নমুনা বুঝে চক্রটি চোখে অন্ধকার দেখছে। সেনাবাহিনীর এ ভূমিকা তাদের অসহ্য। এমন জটিল সময়েও রহস্যজনক চুপ জুলাই বিপ্লবের ফ্রন্টলাইনার জাতীয় নাগরিক পার্টিÑএনসিপি। নমুনা বুঝে আরও ক’দিন পর লাস্ট রাউন্ডে তাদের মাঠে নামার কিছু কানাঘুষা বেশ জোরদার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তখন তারা একা নামবে, না কাউকে সঙ্গী করে নামবে, তা নিয়ে। তারা নতুন করে মাঠে নামার পর নতুন দৃশ্যপটের ধারণা ভর করেছে রাজনীতির চিকন পথের সারথিদের মাঝে।
একদিকে নির্বাচনের ট্রেনের চলতি পথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, মারাত্মক ডিফিকাল্টে আছেন তিনি। বাইরে থেকে কারও পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার ভাষায় ম্যাটিকুলাস ৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড খ্যাত মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, আর ক’দিন থাকতে পারবেন তিনি নিজেই জানেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিএনপি ও জামায়াত কাড়াকাড়ি করে প্রশাসনিক জায়গাগুলোতে তাদের লোক নিয়োগ করিয়েছে। প্রশাসনের ওই লোকেরা এখন সরকারকে অসহযোগিতা করছে। রীতিমতো বোমা ফাটানোর মতো তথ্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এর মাঝেই একদিকে নাকে দম নিয়ে ঘোরা আওয়ামী লীগকে খোশখবর দিলেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। আরেকদিকে জানালেন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বিতাড়িত স্বৈরাচার। এ কাজে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালা হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত সরকার এবং তার মিত্ররা চুরি করা সম্পদ ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচারণায় অর্থায়ন করছে। তাদেরকে সহায়তা করছে ‘কিছু আন্তর্জাতিক মহল’। তাও জানিয়েছেন নালিশ আকারে জাতিসংঘসহ প্রভাবশালী কয়েকটি বিশ্বশক্তির কাছে।
বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার উদ্যোগের প্রতি আবারও পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি গত ১৪ মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার বিভিন্ন কাজ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। আরও কিছু ঘটনায় স্পষ্ট ড. ইউনূস ছক্কা হাঁকাচ্ছেন সব দিকেই। আওয়ামী লীগ সম্পর্কে দেওয়া বার্তায় জানিয়েছেন, যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস এও বলেছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিতে পারবে। আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোটও দিতে পারবে। তবে সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না। জিটিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন নিয়ে কিছু বাড়তি কথাও বলেছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জোর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেছেন, দেশে এমন এমন মানুষও আছেন, যারা বলছেন ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। একদিকে তার এমন অনুভূতি, আরেকদিকে আওয়ামী লীগ বিষয়ে এ সময়ে এমন বক্তব্যের জন্য কে-কারা অপেক্ষমাণ, তা অনুমানযোগ্য। বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন প্রকারান্তরে ভারতেরও পতন। ভারত এখনো ওটাকে তার পরাজয় হিসেবে দেখছে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুন, সেটাও চাইছে। ক্ষমতায় বসা অন্তর্বর্তী সরকার মুখে রাজা-উজির মারছে, আবডালে বা তলে তলে ভারতকে তোয়াজও করছে। এখানেও স্ট্যান্ডবাজি। তলে তলে ইলিশ, সুগন্ধি চিনাগুঁড়া চাল, আমও দিয়েছে। ডক্টর ইউনূস সারা পৃথিবীতে জুলাই গ্রাফিতির বই নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য পুরোনো ছবি বাঁধাই করে নিয়ে গেছেন। উপরে ভারত বিরোধিতা, কিন্তু ভারতের সঙ্গে দেশ বিক্রির চুক্তি প্রকাশ করছেন না। অসম চুক্তির কথা এখন আর মুখেও আনছেন না। কিন্তু ড. ইউনূস নিউইয়র্কে ভারতকে আক্রমণ করে বক্তৃতা করেছেন। জামায়াত নেতাও রীতিমতো আক্রমণাত্মক বক্তৃতা করেছেন।
হঠাৎ নিউইয়র্কে বসে সরকার এবং সরকারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার জামায়াতের এই ভারতের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়ার পেছনে আরেক রাজনীতি। যেখানে বিএনপির জন্য বাজে বার্তা রয়েছে। তা জেনেবুঝেও বিএনপিকে অচেতন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। জামায়াত এর পুরো বেনিফিট নিতে একটুও কমতি করছে না। জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতার সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এরা হলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন দাবিতে আবারও ১২ দিনের নতুন কর্মসূচিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ৫টি রাজনৈতিক দল। এর আগে ঢাকাসহ সারা দেশে তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে এসব দল। তার মধ্যে পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ছয় দফা দাবিতে খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কর্মসূচি পালন করেছে। অক্টোবরের প্রথমার্ধে শুরু হতে যাওয়া নতুন কর্মসূচিতে সেমিনার, মতবিনিময়, গণসংযোগসহ বিক্ষোভের কর্মসূচি আসতে পারে বলে জানা গেছে।
দলটির লোগো থেকে ‘আল্লাহ’ ও কোরআনের আয়াত ‘আকিমুদ দ্বীন’ শব্দ বাদ দেওয়ায় দলটিকে নিয়ে প্রশ্ন ও বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অ্যাক্টিভিস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা বিতর্ক করছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্পেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের এক বৈঠকে পেছনে রাখা দলীয় পতাকা এবং দেয়ালে লাগানো নতুন লোগো ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ছবি প্রকাশের পর থেকেই সর্বত্র আলোচনার ঝড় শুরু হয়। আকিদার কারণে দেশের ইসলামি ধারার বেশির ভাগ দল জামায়াতকে প্রকৃত ইসলামী দল হিসেবে মনে না করলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রাচীন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তানের মাওলানা আবু আ’লা মওদূদীর চিন্তা-চেতনায় পরিচালিত দলটি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় লোগোতে নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় প্রতীক ও লেখা ব্যবহার করছে।
এদিকে সময়ে-অসময়ে সেনাবাহিনীকে খোঁচা মেরে কথা বলার গতি বেড়েছে। সঙ্গে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার চর্চা। সর্বশেষ যোগ হয়েছে খাগড়াছড়ি ইস্যু। এই ইস্যুতে পার্বত্যাঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করার হাইপে টোকা দেওয়ার বাতিক। দমেও দমছে না সেনাবাহিনীকে নিয়ে গুজব-কাণ্ড। বরং নির্বাচন সামনে রেখে এর আয়োজক ও অ্যাজেন্ডাধারীরা নয়া উদ্যমে সক্রিয়। সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার পরবর্তী কয়েকজনের কল্পিত বিরোধ রচনা করা হচ্ছে। মাঠে কর্মরতদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের মতবিরোধের কল্পকাহিনি রটানোর মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। মব দমনের পাশাপাশি গুজব ফ্যাক্টরির দিকে সেনাবাহিনীর বিশেষ নজরদারি আঁচ করে গুজববাজরা অনেকটা খেই হারিয়ে মরণকামড়ের পর্বে নেমেছে। সেনাবাহিনীকেই গুজবে-বিতর্কে ঘায়েল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সেনাবাহিনীর আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু-অবাধ করতে সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার নমুনা বুঝে চক্রটি চোখে অন্ধকার দেখছে। সেনাবাহিনীর এ ভূমিকা তাদের অসহ্য। এমন জটিল সময়েও রহস্যজনক চুপ জুলাই বিপ্লবের ফ্রন্টলাইনার জাতীয় নাগরিক পার্টিÑএনসিপি। নমুনা বুঝে আরও ক’দিন পর লাস্ট রাউন্ডে তাদের মাঠে নামার কিছু কানাঘুষা বেশ জোরদার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তখন তারা একা নামবে, না কাউকে সঙ্গী করে নামবে, তা নিয়ে। তারা নতুন করে মাঠে নামার পর নতুন দৃশ্যপটের ধারণা ভর করেছে রাজনীতির চিকন পথের সারথিদের মাঝে।