
বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না-ই আসুক, সরকার আগামী নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্য করার সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে। কোনো মহলই যাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে সরকার।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে যে এ পর্যায়ে যত হুংকার, যত কথাই বিএনপি থেকে বলা হোক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে যাবে। ভেতরে ভেতরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা ও আর্থিক বিষয় দেখছেন তারেক রহমান। হঠাৎ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলে জেলা, উপজেলা শাখা, নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী, নেতাকর্মীদের যাতে সংকটজনক অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য নেপথ্য তৎপরতা চলছে। বিএনপির নেতৃস্থানীয়দের মাধ্যমেই এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সরকারের হাতে রয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়েই সরকার, সরকারি দল তাদের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে এলে অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করবে সরকার। আবার বিএনপি শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে না-ই আসে, তাহলেও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে; যাতে দেশের মানুষের মনে এ ধারণা হয়, নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি বড় রকমের ভুল করেছে। বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের হাতে এ তথ্য রয়েছে, শতভাগ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেও বিএনপি সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবেই, এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে সরকারি দল ও তাদের সহযোগীদের আসন কমে আসবে। তার পরও তারা সরকার গঠনের মতো অবস্থায় থাকবে।
নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আড়াই শতাধিক নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ থেকে ২০০ নির্বাচনী এলাকায় এই দ্বন্দ্ব-বিরোধ তীব্র। নির্বাচন সামনে রেখে তা আরও তীব্র আকার নিতে পারে। এই বিরোধ প্রধানত বর্তমান সংসদ সদস্য ও তাদের একান্ত আপনজন, অনুগত, বিশ্বস্ত বলে কর্মীদের কাছে চিহ্নিত কিছুসংখ্যক নেতার কারণে। এমপি ও তার উল্লিখিত নেতাদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বৈরী ভূমিকার কারণে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় অনেক প্রার্থীকে পরাজয়বরণ করতে হয়। দল মনোনয়ন দেওয়ার পরও বর্তমান এমপি ও তার একান্ত সহযোগীরা উপজেলা, ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দেন। তাদের এই ভূমিকায় প্রচণ্ড রকম অসন্তুষ্ট হয়ে আছেন বিগত নির্বাচনের প্রার্থীরা ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। পরাজয়ের জন্য তারা সরাসরি বর্তমান এমপিকে দায়ী করছেন। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী জেলা কমিটি সংক্ষুব্ধদের অসন্তোষ, ক্ষোভ প্রশমিত করে বর্তমান এমপিদের সঙ্গে তাদের দূরত্ব কমিয়ে এনে একটা সম্মানজনক সমঝোতার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রায় সব নির্বাচনী এলাকায়ই এ চেষ্টা সফল হয়নি।
সরকারের উচ্চ পর্যায় ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, নির্বাচন এগিয়ে আসায় নির্বাচনী এলাকায় সব রকম দ্বন্দ্ব-বিরোধের অবসান ঘটানোর জরুরি তাগিদ বোধ করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। ভোটার সাধারণের মনোভাবও যাচাই করবেন। তার আগে জেলা সদরে নির্বাচনী এলাকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কমিটির নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় মিলিত হবেন। বর্তমান এমপিদের অনেকে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন মর্মে বিভিন্নভাবে আভাস দেওয়া হতে পারে। তবে তাদের অসন্তোষ, ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য এমপি ও তার অনুগামীদের সঙ্গে অন্যদের মিল ঘটানোই হবে মুখ্য উদ্দেশ্য।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে যে এ পর্যায়ে যত হুংকার, যত কথাই বিএনপি থেকে বলা হোক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে যাবে। ভেতরে ভেতরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক প্রার্থী চূড়ান্ত করা ও আর্থিক বিষয় দেখছেন তারেক রহমান। হঠাৎ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলে জেলা, উপজেলা শাখা, নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী, নেতাকর্মীদের যাতে সংকটজনক অবস্থায় পড়তে না হয়, সে জন্য নেপথ্য তৎপরতা চলছে। বিএনপির নেতৃস্থানীয়দের মাধ্যমেই এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য সরকারের হাতে রয়েছে।
জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়েই সরকার, সরকারি দল তাদের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে এলে অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করবে সরকার। আবার বিএনপি শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে না-ই আসে, তাহলেও একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে; যাতে দেশের মানুষের মনে এ ধারণা হয়, নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি বড় রকমের ভুল করেছে। বিভিন্ন সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারের হাতে এ তথ্য রয়েছে, শতভাগ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেও বিএনপি সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবেই, এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে সরকারি দল ও তাদের সহযোগীদের আসন কমে আসবে। তার পরও তারা সরকার গঠনের মতো অবস্থায় থাকবে।
নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। আড়াই শতাধিক নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ থেকে ২০০ নির্বাচনী এলাকায় এই দ্বন্দ্ব-বিরোধ তীব্র। নির্বাচন সামনে রেখে তা আরও তীব্র আকার নিতে পারে। এই বিরোধ প্রধানত বর্তমান সংসদ সদস্য ও তাদের একান্ত আপনজন, অনুগত, বিশ্বস্ত বলে কর্মীদের কাছে চিহ্নিত কিছুসংখ্যক নেতার কারণে। এমপি ও তার উল্লিখিত নেতাদের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বৈরী ভূমিকার কারণে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় অনেক প্রার্থীকে পরাজয়বরণ করতে হয়। দল মনোনয়ন দেওয়ার পরও বর্তমান এমপি ও তার একান্ত সহযোগীরা উপজেলা, ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দেন। তাদের এই ভূমিকায় প্রচণ্ড রকম অসন্তুষ্ট হয়ে আছেন বিগত নির্বাচনের প্রার্থীরা ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। পরাজয়ের জন্য তারা সরাসরি বর্তমান এমপিকে দায়ী করছেন। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী জেলা কমিটি সংক্ষুব্ধদের অসন্তোষ, ক্ষোভ প্রশমিত করে বর্তমান এমপিদের সঙ্গে তাদের দূরত্ব কমিয়ে এনে একটা সম্মানজনক সমঝোতার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রায় সব নির্বাচনী এলাকায়ই এ চেষ্টা সফল হয়নি।
সরকারের উচ্চ পর্যায় ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানান, নির্বাচন এগিয়ে আসায় নির্বাচনী এলাকায় সব রকম দ্বন্দ্ব-বিরোধের অবসান ঘটানোর জরুরি তাগিদ বোধ করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। ভোটার সাধারণের মনোভাবও যাচাই করবেন। তার আগে জেলা সদরে নির্বাচনী এলাকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কমিটির নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় মিলিত হবেন। বর্তমান এমপিদের অনেকে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন মর্মে বিভিন্নভাবে আভাস দেওয়া হতে পারে। তবে তাদের অসন্তোষ, ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য এমপি ও তার অনুগামীদের সঙ্গে অন্যদের মিল ঘটানোই হবে মুখ্য উদ্দেশ্য।