ট্রাম্প কার্ডের ওয়েবসাইট চালু

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১১:৫০ , চলতি সংখ্যা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা যাতে এ দেশে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা  করতে ট্রাম্প গোল্ড কার্ড ছাড়ার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে ট্রাম্প কার্ডের জন্য একটি সরকারি ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। তবে এখনো আবেদন ফর্ম দেওয়া হয়নি। যখনই এই আবেদনের বিষয়ে আপডেট হবে, তখন আগ্রহী ব্যক্তিদের বিস্তারিত জানানো হবে। ইতিমধ্যে অনেকেই এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী হয়ে নাম তালিকাভুক্ত করছেন।
ট্রাম্প কার্ড গোল্ডেন কালারের বলে এটাকে কেউ কেউ ট্রাম্পের গোল্ড কার্ডও বলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর নাম দ্য ট্রাম্প কার্ড। এর মধ্যে উপরে-নিচে তিন কোনায় রয়েছে ফাইভ এম লেখা। নিচের ডান দিকে সংখ্যায় লেখা ইংরেজিতে ৫০,০০,০০০। অর্থাৎ পাঁচ মিলিয়ন। এর ওপর ট্রাম্পের স্বাক্ষর রয়েছে। এর উপর নয়টি স্টার রয়েছে, এর ভেতরে লেখা দ্য ট্রাম্প কার্ড। আর কার্ডের ওপর ট্রাম্পের ছবি রয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে আমেরিকার পতাকা, ঈগলের ছবি, স্ট্যাচু অব লিবার্টির ছবি। এই কার্ডটি যাতে কেউ কোনোভাবে নকল করতে না পারে, সে জন্য রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ও এ-সংক্রান্ত চিহ্ন বা কোড।
সূত্র জানায়, এই গোল্ড কার্ড পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে যোগ্য ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারেন এবং যারা যোগ্য কেবল তারাই যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ পাবেন। এই গোল্ড কার্ড পাওয়ার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি নিজে ও তার পরিবার নিয়ে আমেরিকায় আসার ও থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। তবে কথাটি শুনে যত সহজ মনে হচ্ছে, আসলে এতটা সহজ নয়। কারণ পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সামর্থ্য থাকলেই গোল্ড কার্ড যে কেউ নিতে পারবেন, এমনটি নয়। এই গোল্ড কার্ড নিতে হলে অবশ্যই তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার ও এখানে থাকার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকতে হয়, বিশেষ করে তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেকে পাস করতে হবে। মেডিকেল রিপোর্ট ভালো হতে হবে, প্রমাণ করতে হবে তার ও তার পরিবারের কারও এমন কোনো অসুখ নেই, যা কিনা ইমিগ্রেশন সুবিধা পাওয়ার জন্য কোনো অন্তরায় হয়। এ ছাড়া আবেদনকারীকে নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। কোনো অপরাধী গোল্ড কার্ড নিয়ে এ দেশে আসার সুযোগ পাবেন না। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা এই কার্ড পাবেন না। কেবল ধনী ও অভিজাত লোকেরাই এটি পাবেন। এখানে স্ট্যাটাস পাওয়ার সব যোগ্যতা পূরণ করার পর যারা পাঁচ মিলিয়ন ডলার দিতে পারবেন, তারা এটা পাবেন। এই ডলার বৈধ পথেই যুক্তরাষ্ট্রে আনতে হবে বা পরিশোধ করতে হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের অনেক নাগরিকের পাঁচ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এই পরিমাণ অর্থ দিতে পারবেন না বর্তমান বিধান অনুযায়ী। তবে সরকার এ ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দিলে অনেকেই এই সুবিধা নিতে আগ্রহী হতে পারেন। এখন বাংলাদেশ থেকে একজন নাগরিক তার বৈধ আয় দ্বারা হলেও এবং ব্যবসার মালিক হলেও সরকার তাদেরকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার বিদেশে নিয়ে যেতে দেয় না। বাংলাদেশি নাগরিক যারা বিদেশে বিভিন্ন দেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তারা পণ্য আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে বাংলাদেশিরা যদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে থাকেন, তারা যে দেশে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে বৈধপথে অর্থ আনতে পারলে তারা আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার কোটি ডলার বেরিয়ে গেছে বলে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলে আসছেন। তারা সেই অর্থ কোন কোন দেশে চলে গেছে, তা বের করছেন। ল’ ফার্ম নিয়োগ করে সেসব অর্থ ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মামলা করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প কার্ডের ব্যাপারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের আগ্রহ আছে। যাদের আগ্রহ রয়েছে, তারা এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন। জানা গেছে, প্রথমে এই ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার কার্ড দেওয়া হতে পারে। পরে এই কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশে এখন (১৭ জুন) এক ডলার সমান ১২২ টাকা ২৫ পয়সা। সেই হিসাবে পাঁচ মিলিয়ন ডলার সমান হবে ৬১ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে যখন আবেদন করা হবে, সেই সময়ের রেট ধরেই পাঁচ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ লাগবে। বাংলাদেশ সরকার ও ব্যাংক কি এই পরিমাণ অর্থ তার কোনো নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে বৈধ চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার কিংবা পাঠানোর অনুমতি দেবে? এই প্রশ্ন এখন অনেকেরই। সেই সুযোগ পেলে বাংলাদেশের অনেকেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। কারণ অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রের এল ক্যাটাগরিতে ব্যবসায় বিনিয়োগ করে এখানে স্থায়ীভাবে থাকছেন। কেউ কেউ ইবি৫ও আবেদন করেছেন। ব্যবসা চালু করেও গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। তবে যারা ইবি৫ এর অধীনে ব্যবসা ওপেন করেছেন, তারা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে টাকা যুক্তরাষ্ট্রে আনেননি। বরং তারা বাংলাদেশ থেকে অন্য পথে অন্য দেশে পাঠিয়েছেন বা অন্য দেশে থাকা অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে এনেছেন।
দ্য ট্রাম্প কার্ডের ওয়েবসাইটের নামকরণ করা হয়েছে ট্রাম্পকার্ড.গভ (TrumpCard.gov)। কেউ চাইলে তাদেরকে ইমেইলও করতে পারেন। ইমেইল ঠিকানা হলো- trumpcard@doc.gov.
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078