
নিউইয়র্ক সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান শাহানা হানিফ। তিনিই ছিলেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি কাউন্সিল সদস্য। চার বছর পর ফের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। পার্ক স্লোপ, উইন্ডসোর টেরেস, বোয়েরাম হিল ও ক্যারল গার্ডেনসসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গঠিত সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট ৩৯-এ লড়ছেন এই বাংলাদেশি মার্কিন রাজনীতিক। তিনিই নিউইয়র্কের মূলধারায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র জনপ্রতিনিধি এবং আশা-ভরসার প্রতীক।
২৪ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটি প্রাইমারি নির্বাচন। এই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হলে ৪ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন তিনি।
২০২১ সালে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়া শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি। তিনি অভিবাসী ও প্রগতিশীল মূল্যবোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রথম মেয়াদেই নজর কেড়েছেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার অবস্থানের মাধ্যমে। তবে এ বছরের নির্বাচনে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মায়া কর্নবার্গ। যিনি ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের একজন গবেষক এবং ইহুদি বংশোদ্ভূত। গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে হানিফের কণ্ঠস্বর এবং তার সমর্থনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশগ্রহণ তাকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
মায়া কর্নবার্গ এরই মধ্যে ‘সলিডারিটি পিএসি’র মতো প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির সমর্থন পেয়েছেন। নিউইয়র্ক ফোকাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর থেকেই কর্নবার্গের প্রচারে অন্তত ১৩ হাজার ডলার অর্থ সহায়তা এসেছে এই কমিটির মাধ্যমে।
অন্যদিকে, শাহানা হানিফের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বেশ কিছু প্রগতিশীল সংগঠন ও সম্প্রদায়ভিত্তিক গোষ্ঠী। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিউসফরশাহানা’ নামের একটি ইহুদি নাগরিক আন্দোলন। যারা হানিফের অভিবাসী ও মানবাধিকারপন্থী অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যকার এই প্রতিযোগিতা শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নয়, সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভাজন এবং অর্থায়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনের ফল শুধু ৩৯ নম্বর জেলা নয় বরং বৃহত্তর নিউইয়র্কের রাজনৈতিক অবস্থানকেও নির্দেশ করবে।
প্রসঙ্গত, সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে আগাম ভোট শুরু হবে ১৪ জুন এবং মূল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ জুন। এই নির্বাচনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং প্রথা কার্যকর থাকবে। যার ফলে ভোটাররা একাধিক পছন্দক্রমে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন।
নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতির অন্যতম আসন সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯। সাবেক মেয়র ব্লাজিও ও সিটি কম্পট্রোলার ব্রাড ল্যান্ডার এই এলাকা থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। কেনসিংটন, বরো পার্ক, উইন্ডসর টেরেস, পার্ক স্লোপ, গোয়ানাস, ক্যারল গার্ডেন, কোবল হিল, বোয়েরাম হিল এবং কলম্বিয়া ওয়াটারফ্রন্টের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। বহু জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বসবাস এলাকায়। ২০২১ সালে সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রথম মুসলিম মহিলা ও প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে শাহানা হানিফ তার প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রান্ডন ওয়েস্টের সাথে লড়াই করে শতকরা ৩২ ভাগ ভোট পান। ওয়েস্ট পান শতকরা ২৩ ভাগ। । নির্বাচিত শাহানা হানিফ যুক্তরাষ্ট্রে স্থান করে নেন সম্ভাবনাময় ১০০ নারীর তালিকায়।
ব্রুকলিন কলেজ গ্রাজুয়েট শাহানা হানিফের বেড়ে ওঠা ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকায়। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া শাহানা ছোটকাল থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এন্টি এশিয়ান ভায়েলেন্সের অন্যতম সংগঠক তিনি। প্রোগ্রেসিভ ককাসের কো-চেয়ার। কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রা ওকাসিও, সিটি মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি ও ব্র্যাড ল্যান্ডার তাকে সর্মথন দিয়েছেন। বেশ কিছু রিয়েলটর তাকে এনডোর্স করেছেন। শাহানা অ্যাফর্ডেবল হাউজিং-এর পক্ষে। উবার, লিফট ও ফুড ডেলিভারিম্যানদের অধিকার রক্ষায় তিনি গত ৪টি বছর কাজ করেছেন। মায়াকে সর্মথন দিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট নেবারহুড ডেমোক্রেটস, সেন্ট্রাল ব্রুকলিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডেমোক্রেটস ও সলিডারিটি প্যাক।
আমেরিকান অনলাইন পত্রিকা ‘পলিটিক্সএনওয়াই’ সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে সবচেয়ে ক্লোজ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নিউজ ১২ লিখেছে, হেড টু হেড কন্টেস্ট। নিউইয়র্ক পোস্ট তাকে অ্যান্টি ইসরায়েলি হিসেবে চিহ্নিত করে মায়ার পক্ষে সাফাই গাচ্ছে।
বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ এশিয়ানরা শাহানার পক্ষে একাট্টা। জুইস কমিউনিটির মধ্যেও তার ব্যাপক সর্মথন রয়েছে। গত ৪ বছরে শাহানার সাথে সাধারণ মানুষের দুরত্ব সৃষ্টিরও অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বাংলাদেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশি মিডিয়াকে আমলে না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এরপরও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত হবার কারণে সবাই তাকে নিঃশর্ত সর্মথন দিয়ে যাচ্ছেন। বাগ এবং ড্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে এনডোর্স করেছে শাহানা হানিফকে।
উল্লেখ্য. শাহানা হানিফের পিতা মোহাম্মদ হানিফ চট্টগ্রাম সসিতির সাবেক সভাপতি।
২৪ জুন মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সিটি প্রাইমারি নির্বাচন। এই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হলে ৪ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন তিনি।
২০২১ সালে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়া শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি। তিনি অভিবাসী ও প্রগতিশীল মূল্যবোধ নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রথম মেয়াদেই নজর কেড়েছেন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চার অবস্থানের মাধ্যমে। তবে এ বছরের নির্বাচনে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মায়া কর্নবার্গ। যিনি ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের একজন গবেষক এবং ইহুদি বংশোদ্ভূত। গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে হানিফের কণ্ঠস্বর এবং তার সমর্থনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশগ্রহণ তাকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
মায়া কর্নবার্গ এরই মধ্যে ‘সলিডারিটি পিএসি’র মতো প্রভাবশালী ইসরায়েলপন্থী রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির সমর্থন পেয়েছেন। নিউইয়র্ক ফোকাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর থেকেই কর্নবার্গের প্রচারে অন্তত ১৩ হাজার ডলার অর্থ সহায়তা এসেছে এই কমিটির মাধ্যমে।
অন্যদিকে, শাহানা হানিফের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বেশ কিছু প্রগতিশীল সংগঠন ও সম্প্রদায়ভিত্তিক গোষ্ঠী। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিউসফরশাহানা’ নামের একটি ইহুদি নাগরিক আন্দোলন। যারা হানিফের অভিবাসী ও মানবাধিকারপন্থী অবস্থানকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
দুই প্রার্থীর মধ্যকার এই প্রতিযোগিতা শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নয়, সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভাজন এবং অর্থায়ন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচনের ফল শুধু ৩৯ নম্বর জেলা নয় বরং বৃহত্তর নিউইয়র্কের রাজনৈতিক অবস্থানকেও নির্দেশ করবে।
প্রসঙ্গত, সিটির কাউন্সিল নির্বাচনে আগাম ভোট শুরু হবে ১৪ জুন এবং মূল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ জুন। এই নির্বাচনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং প্রথা কার্যকর থাকবে। যার ফলে ভোটাররা একাধিক পছন্দক্রমে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন।
নিউইয়র্ক সিটির রাজনীতির অন্যতম আসন সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-৩৯। সাবেক মেয়র ব্লাজিও ও সিটি কম্পট্রোলার ব্রাড ল্যান্ডার এই এলাকা থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। কেনসিংটন, বরো পার্ক, উইন্ডসর টেরেস, পার্ক স্লোপ, গোয়ানাস, ক্যারল গার্ডেন, কোবল হিল, বোয়েরাম হিল এবং কলম্বিয়া ওয়াটারফ্রন্টের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। বহু জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বসবাস এলাকায়। ২০২১ সালে সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রথম মুসলিম মহিলা ও প্রথম বাংলাদেশি আমেরিকান এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে শাহানা হানিফ তার প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রান্ডন ওয়েস্টের সাথে লড়াই করে শতকরা ৩২ ভাগ ভোট পান। ওয়েস্ট পান শতকরা ২৩ ভাগ। । নির্বাচিত শাহানা হানিফ যুক্তরাষ্ট্রে স্থান করে নেন সম্ভাবনাময় ১০০ নারীর তালিকায়।
ব্রুকলিন কলেজ গ্রাজুয়েট শাহানা হানিফের বেড়ে ওঠা ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকায়। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া শাহানা ছোটকাল থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এন্টি এশিয়ান ভায়েলেন্সের অন্যতম সংগঠক তিনি। প্রোগ্রেসিভ ককাসের কো-চেয়ার। কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রা ওকাসিও, সিটি মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি ও ব্র্যাড ল্যান্ডার তাকে সর্মথন দিয়েছেন। বেশ কিছু রিয়েলটর তাকে এনডোর্স করেছেন। শাহানা অ্যাফর্ডেবল হাউজিং-এর পক্ষে। উবার, লিফট ও ফুড ডেলিভারিম্যানদের অধিকার রক্ষায় তিনি গত ৪টি বছর কাজ করেছেন। মায়াকে সর্মথন দিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট নেবারহুড ডেমোক্রেটস, সেন্ট্রাল ব্রুকলিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডেমোক্রেটস ও সলিডারিটি প্যাক।
আমেরিকান অনলাইন পত্রিকা ‘পলিটিক্সএনওয়াই’ সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে সবচেয়ে ক্লোজ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। নিউজ ১২ লিখেছে, হেড টু হেড কন্টেস্ট। নিউইয়র্ক পোস্ট তাকে অ্যান্টি ইসরায়েলি হিসেবে চিহ্নিত করে মায়ার পক্ষে সাফাই গাচ্ছে।
বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ এশিয়ানরা শাহানার পক্ষে একাট্টা। জুইস কমিউনিটির মধ্যেও তার ব্যাপক সর্মথন রয়েছে। গত ৪ বছরে শাহানার সাথে সাধারণ মানুষের দুরত্ব সৃষ্টিরও অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বাংলাদেশি। বিশেষ করে বাংলাদেশি মিডিয়াকে আমলে না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এরপরও বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত হবার কারণে সবাই তাকে নিঃশর্ত সর্মথন দিয়ে যাচ্ছেন। বাগ এবং ড্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে এনডোর্স করেছে শাহানা হানিফকে।
উল্লেখ্য. শাহানা হানিফের পিতা মোহাম্মদ হানিফ চট্টগ্রাম সসিতির সাবেক সভাপতি।