
আমাদের একটি দিন কিংবা পুরো জীবনকে ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা, আর এই কথাগুলোর মতো আর কিছুই নেই। আপনি খারাপবোধ করছেন, আপনার জীবনের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন বা আপনার আত্মাকে জাগ্রত করার জন্য কেবল কিছু অনুপ্রেরণামূলক শব্দের প্রয়োজন, নিখুঁত প্রেরণামূলক আলোচনা আপনার মেজাজকে পরিবর্তন করতে ও মন-মানসিকতাকে উন্নত করার জন্য অপেক্ষা করছে। তাহলে কাফফা কিংবা রবার্ট ফ্রস্টের মতো কবি-সাহিত্যিকদের কাছ থেকে ঘুরে আসুন, টেলর সুইফট বা লেডি গাগার মতো বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ, কিংবা ব্রেন ব্রাউন বা হেলেন কেলারের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঘুরে আসুন। তাদের কবিতা-গান-গল্পে নিশ্চয় আপনাদের মোটিভেশনাল দিকনির্দেশনাগুলো অনেক শক্তি বহন করবে।
মোটিভেশনাল গান-গল্প-কবিতা থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত করার সময় ডায়েরিতে লিখে রাখুন। আপনার বাড়িতে ঝুলন্ত শিল্পকর্ম উক্তি টাঙিয়ে দিন, কর্মক্ষেত্রে আপনার অনুপ্রেরণার জন্য একটি মোটিভেশনাল উদ্যোগ নিন। আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন, তাহলে এটি আপনার শ্রেণিকক্ষের বুলেটিন বোর্ডে প্রদর্শন করুন। আপনি এই তালিকা দিয়ে শুরু করতে পারেন, যা মানুষের মনকে জাগ্রত করতে পারবে। আর চাইলে আমার মতো একজন নগণ্য লেখকের লেখাও পড়ে দেখতে পারেন। তাহলে শুরু করা যাক।
তুমি কখনো ভেঙে পড়বে না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোনো রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে। শুধু সময়ের জন্য ধৈর্য ধারণ করো। মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায় না, মেধাবী হলো সে-ই, যার মেধা না থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইচ্ছা আর চেষ্টার সমন্বয় প্রয়োজন। পৃথিবীতে কোনো মেয়েই দু-তিনটা গাড়ির মালিক ছেড়ে সিক্স প্যাকওয়ালা ছেলেদের সঙ্গে যাবে না, তাই জিমে যাওয়া বন্ধ করে কাজে যাও। জেনে রেখো, সাফল্যের কোনো রহস্য নেই। এটা প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ফল।
টিয়া পাখির মতো মুখস্থ করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না। শিক্ষা হচ্ছে সেটা, যা একজন মানুষের ভেতরের কুশিক্ষাকে দূর করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ জোগায়। তোমার দর্শন ও স্বপ্নকে নিজের সন্তানের মতো লালন করো, কারণ এগুলোই তোমার চূড়ান্ত অর্জনের প্রতিচিত্র হয়ে উঠবে। শুধু সামনে এগিয়ে যাও, কে কী বলছেÑতাতে কান দিয়ো না। নিজের ভালোর জন্য যা করতে হবে, করতে থাকো। তুমি যদি গরিব হয়ে জন্ম নাও, তাহলে এটা তোমার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরিব থেকেই মারা যাও, তবে সেটা তোমার দোষ।
নিজের ভালোর জন্য যা করতে হবে, করতে থাকো। যদি লোকেরা জানত যে আমি আমার আয়ত্ত পাওয়ার জন্য কতটা পরিশ্রম করেছি, তবে এটি এতটা দুর্দান্ত বলে মনে হবে না। জীবনে চলার পথে বাধা আসতেই পারে, তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাধা আসবে, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে। তুমি জীবনে যা চাও তা তুমি পেতে পারো, যদি তুমি অন্যদেরকে তাদের চাওয়া নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকো। যতক্ষণ না ভালো জানো, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি যথাসাধ্য চেষ্টা করো। তারপর যখন তুমি আরও ভালো বুঝবে বা জানবে, তখন আরও ভালো করো।
সাফল্য কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, শেখা, অধ্যয়ন, ত্যাগ এবং সর্বোপরি তুমি যা করছ বা করতে শিখছ তার প্রতি ভালোবাসা। জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়! ক’জন গড়পড়তার মানুষ কথা বলে। একজন ভালো মানুষ ব্যাখ্যা করে। একজন ঊর্ধ্বতন মানুষ কাজ করে দেখায়। একজন সেরা মানুষ অন্যদেরকে প্রেরণা জোগায় আর যাতে তারা নিজেরাই কাজকে নিজের মতো করে দেখতে বা করতে পারে। আমি এমন কাউকে চিনি না, যে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য ছাড়াই শীর্ষে উঠেছে। এটাই রেসিপি। এটি তোমাকে সর্বদা শীর্ষে না নিয়ে গেলেও তোমাকে খুব কাছাকাছি নিয়ে যাবে। মানুষের মন যেদিন ক্লান্ত হয়, সেদিনই তার মৃত্যু হয়। আর কাপুরুষের এভাবে বারবার মৃত্যু হয়। প্রতিভাবান ব্যক্তিকে সফল ব্যক্তি থেকে যা আলাদা করে, তা হলো অনেক কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য।
প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো। পৃথিবীর বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এমন লোকদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে, যারা চেষ্টা চালিয়ে গেছে; আর যখন বুঝেছে আশা নেই, তখনো চেষ্টা ছেড়ে দেয়নি। হতাশা একটি বিলাসিতা। হতাশার জায়গাটি আজ থেকে দখল করুক কাজ শেষের তৃপ্তিমাখা ক্লান্তিতে। সফল হওয়ার জন্য নয়, বরং মূল্যবান হওয়ার জন্য চেষ্টা করো। যতবার আমি ব্যর্থ হই এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই। আর তার ওপর সরাসরি নির্ভর করে আমি কতবার সফল হতে পারব।
একজন সফল মানুষ হলেন তিনি, অন্যরা যার দিকে ছুড়ে দেওয়া ইট দিয়ে একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। প্রাপ্তি আর প্রত্যাশা হলো দুঃখকে আমন্ত্রণ করা। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলো, দেখবে তোমার দুঃখও কমে গেছে। কখনো হাল ছেড়ে দিয়ো না! এখনকার এই দাঁতে দাঁত চেপে করা কষ্টগুলো তোমাকে বিজয়ীর খেতাব দেবে সারা জীবনের জন্য। তুমি যদি এটি সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারো, তবে তুমি এটি যথেষ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারবে না। সাফল্য চূড়ান্ত নয়, ব্যর্থতা মারাত্মক নয়; এটি চালিয়ে যাওয়ার সাহসই গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্যের রাস্তা এবং ব্যর্থতার রাস্তা প্রায় একই রকম।
জীবনে আমি হাজার হাজার ভুল করেছি, হাজারবার হোঁচট খেয়েছি এবং সেটি নিয়ে আমি গর্বিত! প্রতিটি ভুল, প্রতিবার হোঁচট খাওয়া আমাকে গড়ে তুলেছে আরও শক্তিশালী, আরও পরিণত করে। কাজের আনন্দের রহস্য এক কথায় নিহিত-শ্রেষ্ঠত্বে। ভালো কিছু করতে জানতে হলে সেটাকে উপভোগ করতে শেখো। তুমি যদি সুখী জীবনযাপন করতে চাও, তবে এটিকে একটি লক্ষ্যের সঙ্গে বেঁধে রাখো, কোনো মানুষ বা কোনো জিনিসের সঙ্গে নয়। স্বপ্ন দেখতে জানলে জীবনের কাঁটাগুলোও ধরা দেয় গোলাপ হয়ে। পৃথিবীর সুন্দরতম জিনিসগুলো হাতে ছোঁয়া যায় না, চোখে দেখা যায় না, সেগুলো একমাত্র হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়Ñযেমন ভালোবাসা, দয়া, আন্তরিকতা।
তিনটি অভ্যাস মানুষের কল্যাণ ডেকে আনে-আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং যেকোনো সংকটে ধৈর্য ধারণ করা। ‘মন এবং জবান’কে নিয়ন্ত্রণ করে মানবজীবনের কৃতিত্ব লাভ করা আর সেটা অবিস্মরণীয় রেখো। নিজের সঙ্গে ধৈর্য ধরা শেখো। নিজেকে স্ববৃদ্ধি ও কোমল করোÑআর এটাই পবিত্র। এর চেয়ে বড় কোনো বিনিয়োগ নেই। কারও ভুল হয়তো সংশোধন করা যায় কিন্তু কারও স্বভাব পরিবর্তন করা যায় না। তাই কারও স্বভাব পরিবর্তন করতে গিয়ে নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন না দিয়ে বরং সেখান থেকে সরে আসাটাই হলো প্রকৃত ব্যক্তিত্বের পরিচয়। আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
ঘুমিয়েই কি কাটিয়ে দেবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই। ব্যর্থ হলেই পরাজিতরা ছেড়ে দেয়। বিজয়ীরা সফল না হওয়া পর্যন্ত ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়ে না। তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে, সেটি তো হতে দেওয়া যায় নাÑপরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়, তুমিই তার উদাহরণ হও! তোমার স্বপ্ন আর তোমার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটি জিনিসÑসেটি হচ্ছে অজুহাত! যে মুহূর্ত থেকে তুমি নিজেকে অজুহাত দেখানো বন্ধ করে কাজ শুরু করবে, সে মুহূর্ত থেকে তোমার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে নাÑসেটি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করবে!
যে ব্যক্তি কখনো হাল ছেড়ে দেয় না, তাকে হারানো কঠিন। জানিয়ে দাও আর দেখিয়ে দাও তোমার অভিধানে ‘অসম্ভব’ নামে কোনো শব্দ নেই। তুমি যা চাও তার জন্য কাজ করার সময় তোমার যা আছে তা নিয়ে শুরু করো। যে মানুষ কখনো দুঃখকষ্ট ভোগ করেনি, তার দ্বারা সফল হওয়া সম্ভব নয়। যে পোড় খাওয়া পুরুষ নয়, মেয়েদের কাছে সে তেমন বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ দুঃখকষ্ট পুরুষকে দরদি ও সহনশীল করে তোলে। আমি সত্যিই তাদের প্রশংসা করি, যারা আমাকে সমালোচনা করে সংশোধন করে। কারণ তাদের ছাড়া আমি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভুল পুনরাবৃত্তি করতে থাকি। সাফল্য নির্ভর করে পূর্বের প্রস্তুতির ওপর এবং এ ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া ব্যর্থতা নিশ্চিত। সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো যা আমরা ভয় পাই তার ওপর নয়, বরং আমরা যা চাই তার ওপর আমাদের চেতন মনকে কেন্দ্রীভূত করা। সফল হওয়ার সহজ উপায় হলোÑকথা বলা ছেড়ে দেওয়া এবং শুরু করে দেওয়া। আকাশের দিকে তাকাও। দেখো আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে, প্রকৃতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে, শুধু তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত সমগ্র প্রকৃতি আর এই মহাবিশ্ব। ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আর ধর্মান্ধতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। সকল মানুষকে ধার্মিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে বলি।
জ্ঞান যথেষ্ট নয়, আপনাকে এর প্রয়োগ করতে হবে। তেমনি ইচ্ছা যথেষ্ট নয়, আপনাকে তা কর্মে বাস্তবায়ন করতে হবে। জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা... পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া... সংগ্রাম এবং সাফল্য-এই তো জীবন! যদি সবকিছুই তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে বুঝে নেবে কোথাও একটা সমস্যা আছে। হয়তো তুমি যথেষ্ট গতিতে এগোতে পারছ না। দৃঢ়বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম-জীবনযুদ্ধ এই হলো মানুষের হাতিয়ার। তুমি যদি তৃপ্তিসহকারে বিছানায় যেতে চাও, তবে তোমাকে প্রতিদিন সকালে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে উঠতে হবে।
তুমি যা করছ, যদি ভালোবাসো এবং ওই কাজে সফলতার জন্য সবকিছু করতে ইচ্ছুক থাকো, তাহলে সেটাই হাতের নাগালে পৌঁছবে। কাজের পেছনে প্রতিটা মিনিটের মূল্যায়ন প্রয়োজন। ভাবো আর ভাবো; আসলেই তুমি কী করতে চাচ্ছ আর কী নকশা তৈরি করতে যাচ্ছ। সফলতা হলো ব্যর্থতা থেকে ব্যর্থতার দিকে হোঁচট খাচ্ছে উদ্যম না হারিয়ে। অন্যের কণ্ঠকে নয়, বরং শব্দকে ধরে তোলো। মনে রেখোÑঝড় নয়, বৃষ্টিতেই ফুল বেড়ে ওঠে। কোথাও অবিশ্বাস্য কিছু জানার জন্য অপেক্ষায় থেকো। সফল হতে হলে মনের বিরুদ্ধে কিছু কাজ করতে হয়। এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই নয়, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না। সবকিছুই অসম্ভব মনে হয়, যতক্ষণ না কাজটি করতে শুরু করি আর যতক্ষণে শেষ না হয়।
ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এসব মহান গুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা। তোমার যদি এর স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য থাকে, তবে তুমি তা বাস্তবায়নেরও যোগ্যতাও অবশ্যই রাখো। জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না। সমস্যা পথের কোনো বাধা নয়। বরং এটি পথচলার নির্দেশিকা। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা করতে অন্যকে উপদেশ দিয়ো না। তুমি গতকাল পড়ে গিয়ে থাকো, তবে আজ, এই মুহূর্তেই উঠে দাঁড়াও।
কেউ সম্পূর্ণ তোমার মতো হবে না, একইভাবে তুমিও কারও মতো হবে না, দুজনের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই আর এই পার্থক্যটুকুই হলো ধৈর্য। তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছ, সেখান থেকেই শুরু করো, তোমার যা আছে সেটাই ব্যবহার করো আর যেটুকু পারো, সেটাই করো। জীবনের বড় শিক্ষা, বাবু কিংবা জনাব, কাউকে বা কিছুকে ভয় পাবেন না। অধিকাংশ বিষয়ে সফলতা নির্ভর করে সফল হতে কত সময় লাগে, তা জানার ওপর। আমি ব্যর্থতায় বিশ্বাস করি না। আপনি যদি প্রক্রিয়াটি উপভোগ করেন, তবে এটি ব্যর্থতা নয়।
সাফল্য হলো আপনি কতটা উঁচুতে উঠেছেন তা নয়, বরং আপনি কীভাবে বিশ্বে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন। একা আমরা এত কম করতে পারি, একসঙ্গে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আমি আজ সফল, কারণ আমার একজন বন্ধু ছিল যে আমাকে বিশ্বাস করেছিল এবং তাকে হতাশ করার মতো হৃদয় আমার ছিল না। একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়ে থাকার চেয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর প্রিয়জন হওয়া অনেক সম্মানের আর গৌরবের। যদি কিছু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়, এমনকি যদি তোমার বিরুদ্ধে প্রতিকূলতা স্তূপীকৃত হয়, তবু তোমার তা করা উচিত। জীবন যতই কঠিন মনে হোক না কেন, সব সময় এমন কিছু থাকে, যা তুমি করতে পারো এবং সফল হতে পারো।
এখন থেকে ২০ বছর পরে তুমি যা করোনি, তার জন্য বেশি হতাশ হবে। আমরা নিজেদের এবং আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে যা বিশ্বাস করি, তা আমাদের জন্য সত্য হয়। সবাই পৃথিবী বদলানোর কথা ভাবে, কিন্তু কেউ নিজেকে বদলানোর কথা ভাবে না। যারা বলে যে এটি করা যাবে না, তারা যারা এটি করতে চায় তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। তোমার ব্যবসা বেছে নেওয়ার জন্য তোমাকে লোকেদের একটি কারণ তৈরি করতে হবে। যে একদিন উড়তে শিখবে, তাকে প্রথমে দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে এবং আরোহণ করতে শিখতে হবে; কেউ পূর্ব শর্ত ছাড়া উড়তে পারে না।
যে জীবনে কোনো দিন ভুল মানুষের সঙ্গে চলেনি, সে কখনো শুদ্ধ হতে পারে না। সংঘাত যত কঠিন, বিজয় তত গৌরবময়। স্মার্ট লোকেরা সবকিছু এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে শেখে, গড় মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা থেকে, মূর্খ মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই সমস্ত উত্তর রয়েছে। তুমিই করতে পারবে সেরাটা, এর বেশি কেউ করতে পারবে না, সেই বিশ্বাস রাখো। সাফল্যের কোনো গোপন রহস্য নেই। এটি প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ফলাফল।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমাদের আবেগ ও লক্ষ্যগুলোর পথ হারানো ও আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হই, তাতে অভিভূত হওয়া সহজ। তুমি ব্যবসায়িক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কথা বলো। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনের সেরা কাজটি করতে ও সাফল্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত চাপের সম্মুখীন হই, তা আমাদের কর্মে হোক বা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হোক। সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার এই মুহূর্তগুলোর মধ্যেই অনুপ্রেরণামূলক মনোযোগী ও অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।
মোটিভেশনাল গান-গল্প-কবিতা থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে। এটি আপনাকে অনুপ্রাণিত করার সময় ডায়েরিতে লিখে রাখুন। আপনার বাড়িতে ঝুলন্ত শিল্পকর্ম উক্তি টাঙিয়ে দিন, কর্মক্ষেত্রে আপনার অনুপ্রেরণার জন্য একটি মোটিভেশনাল উদ্যোগ নিন। আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন, তাহলে এটি আপনার শ্রেণিকক্ষের বুলেটিন বোর্ডে প্রদর্শন করুন। আপনি এই তালিকা দিয়ে শুরু করতে পারেন, যা মানুষের মনকে জাগ্রত করতে পারবে। আর চাইলে আমার মতো একজন নগণ্য লেখকের লেখাও পড়ে দেখতে পারেন। তাহলে শুরু করা যাক।
তুমি কখনো ভেঙে পড়বে না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোনো রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে। শুধু সময়ের জন্য ধৈর্য ধারণ করো। মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায় না, মেধাবী হলো সে-ই, যার মেধা না থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইচ্ছা আর চেষ্টার সমন্বয় প্রয়োজন। পৃথিবীতে কোনো মেয়েই দু-তিনটা গাড়ির মালিক ছেড়ে সিক্স প্যাকওয়ালা ছেলেদের সঙ্গে যাবে না, তাই জিমে যাওয়া বন্ধ করে কাজে যাও। জেনে রেখো, সাফল্যের কোনো রহস্য নেই। এটা প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ফল।
টিয়া পাখির মতো মুখস্থ করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না। শিক্ষা হচ্ছে সেটা, যা একজন মানুষের ভেতরের কুশিক্ষাকে দূর করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ জোগায়। তোমার দর্শন ও স্বপ্নকে নিজের সন্তানের মতো লালন করো, কারণ এগুলোই তোমার চূড়ান্ত অর্জনের প্রতিচিত্র হয়ে উঠবে। শুধু সামনে এগিয়ে যাও, কে কী বলছেÑতাতে কান দিয়ো না। নিজের ভালোর জন্য যা করতে হবে, করতে থাকো। তুমি যদি গরিব হয়ে জন্ম নাও, তাহলে এটা তোমার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরিব থেকেই মারা যাও, তবে সেটা তোমার দোষ।
নিজের ভালোর জন্য যা করতে হবে, করতে থাকো। যদি লোকেরা জানত যে আমি আমার আয়ত্ত পাওয়ার জন্য কতটা পরিশ্রম করেছি, তবে এটি এতটা দুর্দান্ত বলে মনে হবে না। জীবনে চলার পথে বাধা আসতেই পারে, তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাধা আসবে, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে। তুমি জীবনে যা চাও তা তুমি পেতে পারো, যদি তুমি অন্যদেরকে তাদের চাওয়া নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকো। যতক্ষণ না ভালো জানো, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি যথাসাধ্য চেষ্টা করো। তারপর যখন তুমি আরও ভালো বুঝবে বা জানবে, তখন আরও ভালো করো।
সাফল্য কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, শেখা, অধ্যয়ন, ত্যাগ এবং সর্বোপরি তুমি যা করছ বা করতে শিখছ তার প্রতি ভালোবাসা। জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়! ক’জন গড়পড়তার মানুষ কথা বলে। একজন ভালো মানুষ ব্যাখ্যা করে। একজন ঊর্ধ্বতন মানুষ কাজ করে দেখায়। একজন সেরা মানুষ অন্যদেরকে প্রেরণা জোগায় আর যাতে তারা নিজেরাই কাজকে নিজের মতো করে দেখতে বা করতে পারে। আমি এমন কাউকে চিনি না, যে কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য ছাড়াই শীর্ষে উঠেছে। এটাই রেসিপি। এটি তোমাকে সর্বদা শীর্ষে না নিয়ে গেলেও তোমাকে খুব কাছাকাছি নিয়ে যাবে। মানুষের মন যেদিন ক্লান্ত হয়, সেদিনই তার মৃত্যু হয়। আর কাপুরুষের এভাবে বারবার মৃত্যু হয়। প্রতিভাবান ব্যক্তিকে সফল ব্যক্তি থেকে যা আলাদা করে, তা হলো অনেক কঠোর পরিশ্রম আর ধৈর্য।
প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো। পৃথিবীর বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এমন লোকদের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে, যারা চেষ্টা চালিয়ে গেছে; আর যখন বুঝেছে আশা নেই, তখনো চেষ্টা ছেড়ে দেয়নি। হতাশা একটি বিলাসিতা। হতাশার জায়গাটি আজ থেকে দখল করুক কাজ শেষের তৃপ্তিমাখা ক্লান্তিতে। সফল হওয়ার জন্য নয়, বরং মূল্যবান হওয়ার জন্য চেষ্টা করো। যতবার আমি ব্যর্থ হই এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই। আর তার ওপর সরাসরি নির্ভর করে আমি কতবার সফল হতে পারব।
একজন সফল মানুষ হলেন তিনি, অন্যরা যার দিকে ছুড়ে দেওয়া ইট দিয়ে একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। প্রাপ্তি আর প্রত্যাশা হলো দুঃখকে আমন্ত্রণ করা। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলো, দেখবে তোমার দুঃখও কমে গেছে। কখনো হাল ছেড়ে দিয়ো না! এখনকার এই দাঁতে দাঁত চেপে করা কষ্টগুলো তোমাকে বিজয়ীর খেতাব দেবে সারা জীবনের জন্য। তুমি যদি এটি সহজভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারো, তবে তুমি এটি যথেষ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারবে না। সাফল্য চূড়ান্ত নয়, ব্যর্থতা মারাত্মক নয়; এটি চালিয়ে যাওয়ার সাহসই গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্যের রাস্তা এবং ব্যর্থতার রাস্তা প্রায় একই রকম।
জীবনে আমি হাজার হাজার ভুল করেছি, হাজারবার হোঁচট খেয়েছি এবং সেটি নিয়ে আমি গর্বিত! প্রতিটি ভুল, প্রতিবার হোঁচট খাওয়া আমাকে গড়ে তুলেছে আরও শক্তিশালী, আরও পরিণত করে। কাজের আনন্দের রহস্য এক কথায় নিহিত-শ্রেষ্ঠত্বে। ভালো কিছু করতে জানতে হলে সেটাকে উপভোগ করতে শেখো। তুমি যদি সুখী জীবনযাপন করতে চাও, তবে এটিকে একটি লক্ষ্যের সঙ্গে বেঁধে রাখো, কোনো মানুষ বা কোনো জিনিসের সঙ্গে নয়। স্বপ্ন দেখতে জানলে জীবনের কাঁটাগুলোও ধরা দেয় গোলাপ হয়ে। পৃথিবীর সুন্দরতম জিনিসগুলো হাতে ছোঁয়া যায় না, চোখে দেখা যায় না, সেগুলো একমাত্র হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়Ñযেমন ভালোবাসা, দয়া, আন্তরিকতা।
তিনটি অভ্যাস মানুষের কল্যাণ ডেকে আনে-আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং যেকোনো সংকটে ধৈর্য ধারণ করা। ‘মন এবং জবান’কে নিয়ন্ত্রণ করে মানবজীবনের কৃতিত্ব লাভ করা আর সেটা অবিস্মরণীয় রেখো। নিজের সঙ্গে ধৈর্য ধরা শেখো। নিজেকে স্ববৃদ্ধি ও কোমল করোÑআর এটাই পবিত্র। এর চেয়ে বড় কোনো বিনিয়োগ নেই। কারও ভুল হয়তো সংশোধন করা যায় কিন্তু কারও স্বভাব পরিবর্তন করা যায় না। তাই কারও স্বভাব পরিবর্তন করতে গিয়ে নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন না দিয়ে বরং সেখান থেকে সরে আসাটাই হলো প্রকৃত ব্যক্তিত্বের পরিচয়। আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
ঘুমিয়েই কি কাটিয়ে দেবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই। ব্যর্থ হলেই পরাজিতরা ছেড়ে দেয়। বিজয়ীরা সফল না হওয়া পর্যন্ত ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়ে না। তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে, সেটি তো হতে দেওয়া যায় নাÑপরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়, তুমিই তার উদাহরণ হও! তোমার স্বপ্ন আর তোমার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটি জিনিসÑসেটি হচ্ছে অজুহাত! যে মুহূর্ত থেকে তুমি নিজেকে অজুহাত দেখানো বন্ধ করে কাজ শুরু করবে, সে মুহূর্ত থেকে তোমার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে নাÑসেটি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করবে!
যে ব্যক্তি কখনো হাল ছেড়ে দেয় না, তাকে হারানো কঠিন। জানিয়ে দাও আর দেখিয়ে দাও তোমার অভিধানে ‘অসম্ভব’ নামে কোনো শব্দ নেই। তুমি যা চাও তার জন্য কাজ করার সময় তোমার যা আছে তা নিয়ে শুরু করো। যে মানুষ কখনো দুঃখকষ্ট ভোগ করেনি, তার দ্বারা সফল হওয়া সম্ভব নয়। যে পোড় খাওয়া পুরুষ নয়, মেয়েদের কাছে সে তেমন বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ দুঃখকষ্ট পুরুষকে দরদি ও সহনশীল করে তোলে। আমি সত্যিই তাদের প্রশংসা করি, যারা আমাকে সমালোচনা করে সংশোধন করে। কারণ তাদের ছাড়া আমি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভুল পুনরাবৃত্তি করতে থাকি। সাফল্য নির্ভর করে পূর্বের প্রস্তুতির ওপর এবং এ ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া ব্যর্থতা নিশ্চিত। সাফল্যের মূলমন্ত্র হলো যা আমরা ভয় পাই তার ওপর নয়, বরং আমরা যা চাই তার ওপর আমাদের চেতন মনকে কেন্দ্রীভূত করা। সফল হওয়ার সহজ উপায় হলোÑকথা বলা ছেড়ে দেওয়া এবং শুরু করে দেওয়া। আকাশের দিকে তাকাও। দেখো আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে, প্রকৃতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে, শুধু তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত সমগ্র প্রকৃতি আর এই মহাবিশ্ব। ধার্মিকতা আর ধর্মান্ধতা এক জিনিস নয়। ধার্মিকতা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যায় আর ধর্মান্ধতা মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। সকল মানুষকে ধার্মিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে বলি।
জ্ঞান যথেষ্ট নয়, আপনাকে এর প্রয়োগ করতে হবে। তেমনি ইচ্ছা যথেষ্ট নয়, আপনাকে তা কর্মে বাস্তবায়ন করতে হবে। জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা... পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া... সংগ্রাম এবং সাফল্য-এই তো জীবন! যদি সবকিছুই তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে বুঝে নেবে কোথাও একটা সমস্যা আছে। হয়তো তুমি যথেষ্ট গতিতে এগোতে পারছ না। দৃঢ়বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম-জীবনযুদ্ধ এই হলো মানুষের হাতিয়ার। তুমি যদি তৃপ্তিসহকারে বিছানায় যেতে চাও, তবে তোমাকে প্রতিদিন সকালে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে উঠতে হবে।
তুমি যা করছ, যদি ভালোবাসো এবং ওই কাজে সফলতার জন্য সবকিছু করতে ইচ্ছুক থাকো, তাহলে সেটাই হাতের নাগালে পৌঁছবে। কাজের পেছনে প্রতিটা মিনিটের মূল্যায়ন প্রয়োজন। ভাবো আর ভাবো; আসলেই তুমি কী করতে চাচ্ছ আর কী নকশা তৈরি করতে যাচ্ছ। সফলতা হলো ব্যর্থতা থেকে ব্যর্থতার দিকে হোঁচট খাচ্ছে উদ্যম না হারিয়ে। অন্যের কণ্ঠকে নয়, বরং শব্দকে ধরে তোলো। মনে রেখোÑঝড় নয়, বৃষ্টিতেই ফুল বেড়ে ওঠে। কোথাও অবিশ্বাস্য কিছু জানার জন্য অপেক্ষায় থেকো। সফল হতে হলে মনের বিরুদ্ধে কিছু কাজ করতে হয়। এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই নয়, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না। সবকিছুই অসম্ভব মনে হয়, যতক্ষণ না কাজটি করতে শুরু করি আর যতক্ষণে শেষ না হয়।
ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এসব মহান গুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা। তোমার যদি এর স্বপ্ন দেখার সামর্থ্য থাকে, তবে তুমি তা বাস্তবায়নেরও যোগ্যতাও অবশ্যই রাখো। জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না। সমস্যা পথের কোনো বাধা নয়। বরং এটি পথচলার নির্দেশিকা। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা করতে অন্যকে উপদেশ দিয়ো না। তুমি গতকাল পড়ে গিয়ে থাকো, তবে আজ, এই মুহূর্তেই উঠে দাঁড়াও।
কেউ সম্পূর্ণ তোমার মতো হবে না, একইভাবে তুমিও কারও মতো হবে না, দুজনের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই আর এই পার্থক্যটুকুই হলো ধৈর্য। তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছ, সেখান থেকেই শুরু করো, তোমার যা আছে সেটাই ব্যবহার করো আর যেটুকু পারো, সেটাই করো। জীবনের বড় শিক্ষা, বাবু কিংবা জনাব, কাউকে বা কিছুকে ভয় পাবেন না। অধিকাংশ বিষয়ে সফলতা নির্ভর করে সফল হতে কত সময় লাগে, তা জানার ওপর। আমি ব্যর্থতায় বিশ্বাস করি না। আপনি যদি প্রক্রিয়াটি উপভোগ করেন, তবে এটি ব্যর্থতা নয়।
সাফল্য হলো আপনি কতটা উঁচুতে উঠেছেন তা নয়, বরং আপনি কীভাবে বিশ্বে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন। একা আমরা এত কম করতে পারি, একসঙ্গে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। আমি আজ সফল, কারণ আমার একজন বন্ধু ছিল যে আমাকে বিশ্বাস করেছিল এবং তাকে হতাশ করার মতো হৃদয় আমার ছিল না। একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার প্রয়োজন হয়ে থাকার চেয়ে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর প্রিয়জন হওয়া অনেক সম্মানের আর গৌরবের। যদি কিছু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়, এমনকি যদি তোমার বিরুদ্ধে প্রতিকূলতা স্তূপীকৃত হয়, তবু তোমার তা করা উচিত। জীবন যতই কঠিন মনে হোক না কেন, সব সময় এমন কিছু থাকে, যা তুমি করতে পারো এবং সফল হতে পারো।
এখন থেকে ২০ বছর পরে তুমি যা করোনি, তার জন্য বেশি হতাশ হবে। আমরা নিজেদের এবং আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে যা বিশ্বাস করি, তা আমাদের জন্য সত্য হয়। সবাই পৃথিবী বদলানোর কথা ভাবে, কিন্তু কেউ নিজেকে বদলানোর কথা ভাবে না। যারা বলে যে এটি করা যাবে না, তারা যারা এটি করতে চায় তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। তোমার ব্যবসা বেছে নেওয়ার জন্য তোমাকে লোকেদের একটি কারণ তৈরি করতে হবে। যে একদিন উড়তে শিখবে, তাকে প্রথমে দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে এবং আরোহণ করতে শিখতে হবে; কেউ পূর্ব শর্ত ছাড়া উড়তে পারে না।
যে জীবনে কোনো দিন ভুল মানুষের সঙ্গে চলেনি, সে কখনো শুদ্ধ হতে পারে না। সংঘাত যত কঠিন, বিজয় তত গৌরবময়। স্মার্ট লোকেরা সবকিছু এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে শেখে, গড় মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা থেকে, মূর্খ মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই সমস্ত উত্তর রয়েছে। তুমিই করতে পারবে সেরাটা, এর বেশি কেউ করতে পারবে না, সেই বিশ্বাস রাখো। সাফল্যের কোনো গোপন রহস্য নেই। এটি প্রস্তুতি, কঠোর পরিশ্রম এবং ব্যর্থতা থেকে শেখার ফলাফল।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমাদের আবেগ ও লক্ষ্যগুলোর পথ হারানো ও আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হই, তাতে অভিভূত হওয়া সহজ। তুমি ব্যবসায়িক প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কথা বলো। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনের সেরা কাজটি করতে ও সাফল্য অর্জনের জন্য ক্রমাগত চাপের সম্মুখীন হই, তা আমাদের কর্মে হোক বা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে হোক। সন্দেহ ও অনিশ্চয়তার এই মুহূর্তগুলোর মধ্যেই অনুপ্রেরণামূলক মনোযোগী ও অনুপ্রাণিত হতে সাহায্য করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সেই সঙ্গে সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।