অনেক বছর পর আবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রিহ্যাব মেলা। এই মেলার মাধ্যমে প্রবাসীদের কয়েক বছর পর নিউইয়র্কের মধ্যে যারা বাংলাদেশে জমি, প্লট, ফ্ল্যাট বা বাড়ি কিনতে চান, সে বিষয়ে জানতে পারবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির সাথেও পরিচয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে। জানা গেছে, আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট তিন দিনব্যাপী নিউইয়র্কের লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে ‘নিউইয়র্ক রিহ্যাব এক্সপো ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে। এখন মেলার প্রস্তুতি চলছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে এই মেলা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। শিগগিরই মেলায় অংশগ্রহণ ও নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। আয়োজকেরা মনে করছেন, এই এক্সপো দেশীয় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেতুবন্ধ তৈরি করবে। মেলার জন্য ভেন্যু পরিদর্শন করেন রিহ্যাব ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির (আন্তর্জাতিক) চেয়ারম্যান মো. আলিম উল্লাহ, রিহ্যাব ডিরেক্টর ও কো-চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক। এবার মেলার আয়োজন করছে রাহিন অ্যান্ড রুহান এলএলসি।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, দেশের অনেক ডেভেলপার কোম্পানি প্রবাসীদের কাছে জমি, প্লট, ফ্ল্যাট বা বাসা বিক্রি করে সময়মতো তা বুঝিয়ে দেয় না। এখনো দেশে জমি, প্লট বা বাসা কিনে বুঝে পাননি, এমন ভুক্তভোগী রয়েছেন। তারা তাদের জমি, প্লট ও বাসা পাওয়ার জন্য দেশে একাধিকবার কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন সরকারের আমলে চিঠিপত্রও দিয়েছেন, তাও সুরাহা হয়নি। প্রবাসীরা বলছেন, রিহ্যাবকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এমন কোনো কোম্পানি যাতে এখানে মেলায় আসতে না পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ফখরুল আলম বলেন, এর আগে আমরা প্রবাসীরা বিভিন্নভাবে প্লট কিনেছি। এর মধ্যে মেলা, বিভিন্ন ব্রোকারের মাধ্যমে, কেউ ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে প্লট, ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ কেউ ২০/২২ বছর টাকা পরিশোধ করার পরও প্লট, ফ্ল্যাট পাননি। পরে জোরপূর্বক অন্যত্র দেওয়া হয়। শুধু বসুন্ধরার প্লট নয়, রিভারভিউসহ বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা প্রবাসীরা প্রতারিত হয়েছেন। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও ২০/২২ বছর অপেক্ষা করার পরও যেখানে প্লট কিনেছি, সেখানে পাইনি। গত দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এবং তৎকালীন পাঁচজন মন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। বসুন্ধরা আমাদেরকে চিঠি লিখেছিল, বালু নদীর ওই পাড়ে প্লট দিচ্ছে। কেউ পাঁচ কাঠা বা দশ কাঠা কিনেছিল। তখন তারা বলে, তোমরা যদি না নাও, তাহলে এটাও বাতিল হয়ে যাবে। আমরা আর প্লট/জমিজমা দিতে বাধ্য থাকব না। আমরা বলেছি, আমরা কিনলাম বসুন্ধরায় আর দিচ্ছ বালু নদীতে, ওই প্লটের জমির দাম বসুন্ধরার দশ ভাগের এক ভাগও না। কিন্তু তারা আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে সাইন করে নিয়েছে। আমি সেটা নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবাদ করেছি। আমাদেরকে বলা হয়, ১৮ দিনের মধ্যে না নিলে আর জমি দেবে না। আমি তখন সাইন করিনি, তবে আমার ভাইকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছিলাম। আমার ভাই সাইন করার কারণে পরে যখন প্রতিবাদ করি, তখন বলা হয় তোমার ভাই সাইন করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, রিহ্যাব মেলায় আমরা এবার প্রতিবাদ জানাব, যাতে দেশে জমি/প্লট কিনে প্রবাসীরা প্রতারিত না হন। যে যেখানে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনেন, সেখানেই পান। তিনি বলেন, আমরা চাই না রিহ্যাব ফেয়ারে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান আসুক, যেটির ইতিহাস রয়েছে মানুষকে প্রতারিত করার এবং প্লট, ফ্ল্যাট জায়গামতো বুঝিয়ে দিতে না পারার। এমন প্রতিষ্ঠান অংশ নিলে আমরা ব্যাপকভাবে এর প্রতিবাদ করব।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, দেশের অনেক ডেভেলপার কোম্পানি প্রবাসীদের কাছে জমি, প্লট, ফ্ল্যাট বা বাসা বিক্রি করে সময়মতো তা বুঝিয়ে দেয় না। এখনো দেশে জমি, প্লট বা বাসা কিনে বুঝে পাননি, এমন ভুক্তভোগী রয়েছেন। তারা তাদের জমি, প্লট ও বাসা পাওয়ার জন্য দেশে একাধিকবার কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন সরকারের আমলে চিঠিপত্রও দিয়েছেন, তাও সুরাহা হয়নি। প্রবাসীরা বলছেন, রিহ্যাবকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এমন কোনো কোম্পানি যাতে এখানে মেলায় আসতে না পারে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রবাসী বাংলাদেশি ফোরামের আহ্বায়ক ফখরুল আলম বলেন, এর আগে আমরা প্রবাসীরা বিভিন্নভাবে প্লট কিনেছি। এর মধ্যে মেলা, বিভিন্ন ব্রোকারের মাধ্যমে, কেউ ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে প্লট, ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ কেউ ২০/২২ বছর টাকা পরিশোধ করার পরও প্লট, ফ্ল্যাট পাননি। পরে জোরপূর্বক অন্যত্র দেওয়া হয়। শুধু বসুন্ধরার প্লট নয়, রিভারভিউসহ বিভিন্ন কোম্পানি দ্বারা প্রবাসীরা প্রতারিত হয়েছেন। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও ২০/২২ বছর অপেক্ষা করার পরও যেখানে প্লট কিনেছি, সেখানে পাইনি। গত দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এবং তৎকালীন পাঁচজন মন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। বসুন্ধরা আমাদেরকে চিঠি লিখেছিল, বালু নদীর ওই পাড়ে প্লট দিচ্ছে। কেউ পাঁচ কাঠা বা দশ কাঠা কিনেছিল। তখন তারা বলে, তোমরা যদি না নাও, তাহলে এটাও বাতিল হয়ে যাবে। আমরা আর প্লট/জমিজমা দিতে বাধ্য থাকব না। আমরা বলেছি, আমরা কিনলাম বসুন্ধরায় আর দিচ্ছ বালু নদীতে, ওই প্লটের জমির দাম বসুন্ধরার দশ ভাগের এক ভাগও না। কিন্তু তারা আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে সাইন করে নিয়েছে। আমি সেটা নিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবাদ করেছি। আমাদেরকে বলা হয়, ১৮ দিনের মধ্যে না নিলে আর জমি দেবে না। আমি তখন সাইন করিনি, তবে আমার ভাইকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছিলাম। আমার ভাই সাইন করার কারণে পরে যখন প্রতিবাদ করি, তখন বলা হয় তোমার ভাই সাইন করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, রিহ্যাব মেলায় আমরা এবার প্রতিবাদ জানাব, যাতে দেশে জমি/প্লট কিনে প্রবাসীরা প্রতারিত না হন। যে যেখানে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনেন, সেখানেই পান। তিনি বলেন, আমরা চাই না রিহ্যাব ফেয়ারে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান আসুক, যেটির ইতিহাস রয়েছে মানুষকে প্রতারিত করার এবং প্লট, ফ্ল্যাট জায়গামতো বুঝিয়ে দিতে না পারার। এমন প্রতিষ্ঠান অংশ নিলে আমরা ব্যাপকভাবে এর প্রতিবাদ করব।