
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন মামলামুক্ত। দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই। তা সত্ত্বেও কেন দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান? নতুন কোনো মামলায় সরকার তাকে গ্রেফতার করতে পারে- এমন আশঙ্কায় তিনি বিদেশে অবস্থানই নিরাপদ মনে করছেন, নাকি ভবিষ্যতে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক সময়ের অপেক্ষা করছেন!
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে ছেলের সঙ্গেই রয়েছেন। পুত্রবধূ, নাতনির সঙ্গে সুখকর দিন কাটাচ্ছেন। তবে তিনি অনেকটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ নন। এখনো তিনি চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতোই চলাফেরা করছেন। আরও কয়েক মাস চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ অনুসারেই তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা ছিল। সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ। বেগম খালেদা জিয়া এখনো স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারেন না। জটিল কয়েকটি রোগে আক্রান্ত থাকায় দলের নেতৃত্ব দিতে প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা রয়েছে তার। জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানই একমাত্র ভরসা। নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা উচ্চশিক্ষিত। বিদেশে একাধিক ফোরামে তিনি বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আগামীতে দেশে দলীয় ও জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বে আজকের এই তরুণীকে দেখা যেতে পারে মর্মে আশা করছেন বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরা। আজকের বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ছেলে তারেক রহমান সশরীরে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দেবেন- এটাই আশা করেন দলের নেতাকর্মীরা ও দেশের সাধারণ মানুষ।
আইনি প্রক্রিয়ায়ই তারেক রহমান সবগুলো মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকার যে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য রাখার অসদুদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেয়, এখন তা প্রতিষ্ঠিত। সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা। এই মামলা অবশ্যই ভয়ংকর। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, তা স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করাই যে হামলার উদ্দেশ্য ছিল, তা সাধারণের কাছেও পরিষ্কার। প্রশ্ন হচ্ছে কারা প্রকৃত হামলাকারী, নেপথ্যের পরিকল্পক, আর্থিক ও গ্রেনেড সরবরাহকারী কারা। দেশি-বিদেশি কারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত? এসবসহ প্রাসঙ্গিক আরও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব না খুঁজে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়। হামলার পরিকল্পক, নির্দেশক বলে চিহ্নিত করে দায়ের করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তারেক রহমানের।
আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়, গোটা মামলাই খারিজ করেছেন। বিগত সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ ঘটনায় তারেক রহমানকে জড়িয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গোটা মামলাই খারিজ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অসংগত নয়। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ২১ আগস্ট কি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি, আইভী রহমানসহ ২১ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি, দেড় শতাধিকের আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণের ঘটনাই ঘটেনি? তারেক রহমানসহ তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যদের জড়িত করাসহ বিভিন্ন দিক, মামলার ভিত্তিমূল নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে।
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মামলা যে কতটা হিংসাত্মক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ, তা মামলা পর্যালোচনা করে আদালতই প্রমাণ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করে শেখ হাসিনা সরকার। এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডিতও করা হয়। শহীদ জিয়ার নামে গড়ে তোলা ট্রাস্টকে কোটি টাকার দান দেওয়া হয়। এ-সংক্রান্ত চেক ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে নিতান্তই ভুলবশত বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে যিনি চেক ব্যাংকে জমা দেন, ভুলটা তার। সবচেয়ে বড় কথা, এই চেক কয়েক বছরেও ভাঙানো হয়নি। সুদ বেড়ে অর্থের পরিমাণও দীর্ঘ সময়ে বেড়েছে। চেক ব্যাংকে পড়েই ছিল। অথচ অর্থ আত্মসাৎ মামলা করে শেখ হাসিনা সরকার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করে। আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়ার যে মানহানি করা হলো, তাকে যে মানসিক চাপ ও যন্ত্রণার শিকার করা হলো, তার ক্ষতিপূরণের দায় কে নেবে? শেখ হাসিনা ও তার সরকার এই দায় থেকে মুক্ত হতে পারে কি না, এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এদিকে মামলামুক্ত হওয়ার পরও তারেক রহমানের দেশে না ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি নেই। অনেকে চিন্তিতও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ত। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে দ্রুতই তিনি দেশে ফিরে আসতেন। সে রকম পরিকল্পনাই ছিল। মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই তারেক রহমানের আসার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বিধায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দু’রকম ভাবনা কাজ করছে। ফেরার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো নেই। প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচন দেড়, দুই বছর পিছিয়ে গেলে বা সময়টা অনিশ্চিত থাকলে কী করবেন তারেক রহমান?
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মাঝামাঝি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা সরকারি পর্যায় থেকে বলার পর স্পষ্ট হয়েছে, নির্বাচন স্বল্প সময়ে হচ্ছে না। এমনকি নির্বাচন আরও পিছিয়ে যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেড়-দুই বছরের আগে নির্বাচনের পরিকল্পনা দৃশ্যমান না হলে বিরোধীদের রাজপথে নামা ছাড়া বিকল্পও থাকছে না। বিএনপি অবশ্য সতর্কতার সঙ্গেই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাড়াহুড়ো না করে তারা এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। এ সময়টা তারা সরকারকে দিতে চায়।
দীর্ঘ দেড় দশক যাবৎ তারেক রহমান দেশের বাইরে। হাসিনা সরকারের পতনেরও নয় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেও তারেক রহমান কেন ফিরলেন না, এখনো কেন আসছেন না- এ নিয়ে মানুষের মধ্যকার আগ্রহের জবাব দেয়নি বিএনপি। যথাসময়ে তিনি আসবেন- এ আশায় বুক বেঁধে আছেন লাখো লাখো কর্মী-সমর্থক। গতানুগতিক ঘুণে ধরা রাজনীতির বিপরীতে তারেক রহমান রাজনীতিতে নবধারার সূচনা ঘটাতে চেষ্টা করেন। রাজনীতিবিদদের তিনি মাঠে, কর্মীদের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। চিন্তাচেতনা-মনমানসিকতার প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ দেয়নি তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী এবং পরবর্তী শেখ হাসিনা সরকারও। কারণ একটাই- শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের প্রতি অজানা ভয়। তারেক-ভীতি তাদের কাবু করেছে।
নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বলে তারেক রহমানের দেশে ফেরাও বিলম্বিত হতে পারে। নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে তিনি ফিরবেন। এ বছরের শেষভাগে তার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপিরই অপর এক উচ্চ পর্যায়ের সূত্রের মতে, তারেক রহমান মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই আর দু-তিন মাস পর দেশে ফিরবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে ছেলের সঙ্গেই রয়েছেন। পুত্রবধূ, নাতনির সঙ্গে সুখকর দিন কাটাচ্ছেন। তবে তিনি অনেকটা সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ নন। এখনো তিনি চিকিৎসাধীন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতোই চলাফেরা করছেন। আরও কয়েক মাস চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ অনুসারেই তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা ছিল। সবই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ। বেগম খালেদা জিয়া এখনো স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারেন না। জটিল কয়েকটি রোগে আক্রান্ত থাকায় দলের নেতৃত্ব দিতে প্রচণ্ড সীমাবদ্ধতা রয়েছে তার। জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানই একমাত্র ভরসা। নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা উচ্চশিক্ষিত। বিদেশে একাধিক ফোরামে তিনি বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আগামীতে দেশে দলীয় ও জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বে আজকের এই তরুণীকে দেখা যেতে পারে মর্মে আশা করছেন বিএনপির মাঠের নেতাকর্মীরা। আজকের বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ছেলে তারেক রহমান সশরীরে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দেবেন- এটাই আশা করেন দলের নেতাকর্মীরা ও দেশের সাধারণ মানুষ।
আইনি প্রক্রিয়ায়ই তারেক রহমান সবগুলো মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বিগত শেখ হাসিনা সরকার যে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য রাখার অসদুদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেয়, এখন তা প্রতিষ্ঠিত। সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা। এই মামলা অবশ্যই ভয়ংকর। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়, তা স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করাই যে হামলার উদ্দেশ্য ছিল, তা সাধারণের কাছেও পরিষ্কার। প্রশ্ন হচ্ছে কারা প্রকৃত হামলাকারী, নেপথ্যের পরিকল্পক, আর্থিক ও গ্রেনেড সরবরাহকারী কারা। দেশি-বিদেশি কারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত? এসবসহ প্রাসঙ্গিক আরও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব না খুঁজে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়। হামলার পরিকল্পক, নির্দেশক বলে চিহ্নিত করে দায়ের করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তারেক রহমানের।
আদালত তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন। কেবল তা-ই নয়, গোটা মামলাই খারিজ করেছেন। বিগত সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ ঘটনায় তারেক রহমানকে জড়িয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু গোটা মামলাই খারিজ করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অসংগত নয়। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ২১ আগস্ট কি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি, আইভী রহমানসহ ২১ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি, দেড় শতাধিকের আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণের ঘটনাই ঘটেনি? তারেক রহমানসহ তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অন্যদের জড়িত করাসহ বিভিন্ন দিক, মামলার ভিত্তিমূল নিয়ে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। হাইকোর্টের রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে।
প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা মামলা যে কতটা হিংসাত্মক, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ, তা মামলা পর্যালোচনা করে আদালতই প্রমাণ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করে শেখ হাসিনা সরকার। এই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডিতও করা হয়। শহীদ জিয়ার নামে গড়ে তোলা ট্রাস্টকে কোটি টাকার দান দেওয়া হয়। এ-সংক্রান্ত চেক ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে নিতান্তই ভুলবশত বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে যিনি চেক ব্যাংকে জমা দেন, ভুলটা তার। সবচেয়ে বড় কথা, এই চেক কয়েক বছরেও ভাঙানো হয়নি। সুদ বেড়ে অর্থের পরিমাণও দীর্ঘ সময়ে বেড়েছে। চেক ব্যাংকে পড়েই ছিল। অথচ অর্থ আত্মসাৎ মামলা করে শেখ হাসিনা সরকার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করে। আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি মওকুফ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়ার যে মানহানি করা হলো, তাকে যে মানসিক চাপ ও যন্ত্রণার শিকার করা হলো, তার ক্ষতিপূরণের দায় কে নেবে? শেখ হাসিনা ও তার সরকার এই দায় থেকে মুক্ত হতে পারে কি না, এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এদিকে মামলামুক্ত হওয়ার পরও তারেক রহমানের দেশে না ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি নেই। অনেকে চিন্তিতও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ত। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে দ্রুতই তিনি দেশে ফিরে আসতেন। সে রকম পরিকল্পনাই ছিল। মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই তারেক রহমানের আসার পরিকল্পনা ছিল। নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বিধায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দু’রকম ভাবনা কাজ করছে। ফেরার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো নেই। প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচন দেড়, দুই বছর পিছিয়ে গেলে বা সময়টা অনিশ্চিত থাকলে কী করবেন তারেক রহমান?
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মাঝামাঝি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা সরকারি পর্যায় থেকে বলার পর স্পষ্ট হয়েছে, নির্বাচন স্বল্প সময়ে হচ্ছে না। এমনকি নির্বাচন আরও পিছিয়ে যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেড়-দুই বছরের আগে নির্বাচনের পরিকল্পনা দৃশ্যমান না হলে বিরোধীদের রাজপথে নামা ছাড়া বিকল্পও থাকছে না। বিএনপি অবশ্য সতর্কতার সঙ্গেই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তাড়াহুড়ো না করে তারা এ বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মার্চের মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। এ সময়টা তারা সরকারকে দিতে চায়।
দীর্ঘ দেড় দশক যাবৎ তারেক রহমান দেশের বাইরে। হাসিনা সরকারের পতনেরও নয় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেও তারেক রহমান কেন ফিরলেন না, এখনো কেন আসছেন না- এ নিয়ে মানুষের মধ্যকার আগ্রহের জবাব দেয়নি বিএনপি। যথাসময়ে তিনি আসবেন- এ আশায় বুক বেঁধে আছেন লাখো লাখো কর্মী-সমর্থক। গতানুগতিক ঘুণে ধরা রাজনীতির বিপরীতে তারেক রহমান রাজনীতিতে নবধারার সূচনা ঘটাতে চেষ্টা করেন। রাজনীতিবিদদের তিনি মাঠে, কর্মীদের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। চিন্তাচেতনা-মনমানসিকতার প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ দেয়নি তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী এবং পরবর্তী শেখ হাসিনা সরকারও। কারণ একটাই- শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের প্রতি অজানা ভয়। তারেক-ভীতি তাদের কাবু করেছে।
নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে বলে তারেক রহমানের দেশে ফেরাও বিলম্বিত হতে পারে। নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে তিনি ফিরবেন। এ বছরের শেষভাগে তার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপিরই অপর এক উচ্চ পর্যায়ের সূত্রের মতে, তারেক রহমান মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই আর দু-তিন মাস পর দেশে ফিরবেন।