কুইন্স কাউন্টি কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশি কমিউনিটির অতিপরিচিত মুখ মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ও এলমহার্স্ট হসপিটালের উদ্যোগে জ্যাকসন হাইটসে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র রমজানের অসামান্য শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধকে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে দিতে এই ইনক্লুসিভ ইফতারের আয়োজন করা হয়।
গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রবাসীদের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ ক্যাফেটেরিয়ায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলা এই আন্তধর্মীয় বা ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজনে বাংলাদেশিরা তো বটেই, নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্প্যানিশ, আফ্রিকান, ভারতীয়, রোমানীয়সহ এথনিক কমিউনিটির প্রগতিশীল ছয়টি বিশাল সাংগঠনিক শক্তির প্রতিনিধি ও নেতারা অংশ নেন। একই সঙ্গে বিশেষ ইনক্লুসিভ এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রায়ই ১৫ জন সিটি কাউন্সিলর ও অ্যাসেম্বলি মেম্বার। উপস্থিত ছিলেন এলজিবিডি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা।
প্রায় ২০০ নারী-পুরুষের আন্তধর্মীয় এই ইফতার মাহফিলে সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী মূল প্রকাশশক্তি ছিল বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার সদস্য এবং স্প্যানিশ সদস্যরা। বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার কর্মী ও স্প্যানিশ কর্মীরা অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, এথনিক কমিউনিউটির মানুষদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে রোজাদারদের জন্য দোয়া পড়ান বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম পরিচিত ইমাম আব্দুস সাদেক।
এ সময় ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজনকে সকল জাতিগোষ্ঠীর পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেন, এখানে পবিত্র রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে যে পারস্পরিক বন্ধন ও যোগাযোগ গড়ে উঠল, তা গোটা কমিউনিটির জন্য অনেক বড় অর্জন। তিনি বলেন, আজকে এই আন্তধর্মীয় ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্ম ও জাতি-গোষ্ঠী আমাদের শক্তি ও একাত্মতা দেখেছে। একই সঙ্গে তাদের সাথে যে বাংলাদেশিদের মেলবন্ধন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ইফতার আয়োজনে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতির জন্য তিনি আগতদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের বিশ্বব্যাপী যে একাত্ম মনোভাব, তা বলে দেয় এ জাতি কখনো দুর্বল হওয়ার নয়।
জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানকে বাংলাদেশিদের ভাই উল্লেখ করে ড. আবু জাফর আরও বলেন, শুরু থেকে তাকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, একই সঙ্গে তিনিও সব সময় আমাদের পাশে আছেন। নিউইয়র্কের শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশিরা যাদের সমর্থন দিয়েছে, তারা এখন নেতৃত্বে। তিনি বলেন, আমরা এখন যে ধর্ম-বর্ণ ও গোষ্ঠী বিবেচনায় দলবদ্ধ আছি, সামনের দিকেও সেভাবে এগিয়ে যাবে এখানকার প্রবাসীরা। কোনো শক্তি বাংলাদেশিদের পিছিয়ে নিতে পারবে না উল্লেখ করে এ সময় সবাইকে এক হয়ে চলার আহ্বান জানান আবু জাফর। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকেও এখানে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা সেটা জানার বিষয়ে।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ২৫ ডিস্ট্রিক্টের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান বলেন, এই ইনক্লুসিভ ইফতার আসলে জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্টে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যে হারমনি, বন্ধন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সেটির প্রতিফলন ঘটায়। এটি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম এলাকা, যেখানে একসঙ্গে বহু জাতিগোষ্ঠী ও সত্তা বছরের পর বছর বসবাস করছে।
এ সময় নিউইয়র্ক তথা জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের বহুমুখী অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখর কৃষ্ণান। বিশেষ করে, তিনি এলমহার্স্ট হসপিটালের বিরতিহীন স্বাস্থ্যসেবার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এর ডাক্তার, সেবাকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মানবিক সেবায় অনন্য অবদান রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান হোম কেয়ার সেবার সৃজনশীল কর্মবীর আবু জাফর মাহমুদের প্রতি। তিনি বলেন, সকল জাতিগোষ্ঠী এক হয়ে যখন মনুষ্যত্ব, শৃঙ্খলা ও একে অপরের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টান্ত গড়েন, তখন যে আবহ তৈরি হয়, তা এই সিটির মর্যাদা বৃদ্ধি করে। তিনি কমিউনিটির প্রতি তার দায়িত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এমন একান্ত সহায়ক মানবগোষ্ঠী যেখানে আছে, সেখানে যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যায়।
ইফতার অনুষ্ঠানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে পবিত্র রমজানের শুভকামনা জানান নিউইয়র্ক স্টেটের জনপ্রিয় অ্যাসেম্বলিওমেন জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস। ধন্যবাদ দেন ইনক্লুসিভ ইফতার আয়োজকদের।
এদিকে এই ইফতার আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট-২৫ এর সাবেক সিটি কাউন্সিল মেম্বার দানিয়েল দ্রুম, ডিস্ট্রিক্ট-২৩ এর কাউন্সিল মেম্বার লিন্ডা লি, ডিস্ট্রিক্ট-২০ এর সিটি কাউন্সিল মেম্বার সিন্ড্রা উং, ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ এর অ্যাসেম্বলি মেম্বার ক্লেয়ার ভালডেইজ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্ম, মত ও জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির গুণী সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজের অন্যান্য সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রবাসীদের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ ক্যাফেটেরিয়ায় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলা এই আন্তধর্মীয় বা ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজনে বাংলাদেশিরা তো বটেই, নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্প্যানিশ, আফ্রিকান, ভারতীয়, রোমানীয়সহ এথনিক কমিউনিটির প্রগতিশীল ছয়টি বিশাল সাংগঠনিক শক্তির প্রতিনিধি ও নেতারা অংশ নেন। একই সঙ্গে বিশেষ ইনক্লুসিভ এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রায়ই ১৫ জন সিটি কাউন্সিলর ও অ্যাসেম্বলি মেম্বার। উপস্থিত ছিলেন এলজিবিডি কমিউনিটির প্রতিনিধিরা।
প্রায় ২০০ নারী-পুরুষের আন্তধর্মীয় এই ইফতার মাহফিলে সৌহার্দ্যপূর্ণ দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী মূল প্রকাশশক্তি ছিল বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার সদস্য এবং স্প্যানিশ সদস্যরা। বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার কর্মী ও স্প্যানিশ কর্মীরা অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, এথনিক কমিউনিউটির মানুষদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে রোজাদারদের জন্য দোয়া পড়ান বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম পরিচিত ইমাম আব্দুস সাদেক।
এ সময় ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজনকে সকল জাতিগোষ্ঠীর পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেন, এখানে পবিত্র রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে যে পারস্পরিক বন্ধন ও যোগাযোগ গড়ে উঠল, তা গোটা কমিউনিটির জন্য অনেক বড় অর্জন। তিনি বলেন, আজকে এই আন্তধর্মীয় ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্ম ও জাতি-গোষ্ঠী আমাদের শক্তি ও একাত্মতা দেখেছে। একই সঙ্গে তাদের সাথে যে বাংলাদেশিদের মেলবন্ধন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে ইফতার আয়োজনে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতির জন্য তিনি আগতদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের বিশ্বব্যাপী যে একাত্ম মনোভাব, তা বলে দেয় এ জাতি কখনো দুর্বল হওয়ার নয়।
জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানকে বাংলাদেশিদের ভাই উল্লেখ করে ড. আবু জাফর আরও বলেন, শুরু থেকে তাকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, একই সঙ্গে তিনিও সব সময় আমাদের পাশে আছেন। নিউইয়র্কের শাসনব্যবস্থায় বাংলাদেশিরা যাদের সমর্থন দিয়েছে, তারা এখন নেতৃত্বে। তিনি বলেন, আমরা এখন যে ধর্ম-বর্ণ ও গোষ্ঠী বিবেচনায় দলবদ্ধ আছি, সামনের দিকেও সেভাবে এগিয়ে যাবে এখানকার প্রবাসীরা। কোনো শক্তি বাংলাদেশিদের পিছিয়ে নিতে পারবে না উল্লেখ করে এ সময় সবাইকে এক হয়ে চলার আহ্বান জানান আবু জাফর। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকেও এখানে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা সেটা জানার বিষয়ে।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ২৫ ডিস্ট্রিক্টের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান বলেন, এই ইনক্লুসিভ ইফতার আসলে জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্টে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে যে হারমনি, বন্ধন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সেটির প্রতিফলন ঘটায়। এটি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম এলাকা, যেখানে একসঙ্গে বহু জাতিগোষ্ঠী ও সত্তা বছরের পর বছর বসবাস করছে।
এ সময় নিউইয়র্ক তথা জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের বহুমুখী অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখর কৃষ্ণান। বিশেষ করে, তিনি এলমহার্স্ট হসপিটালের বিরতিহীন স্বাস্থ্যসেবার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এর ডাক্তার, সেবাকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মানবিক সেবায় অনন্য অবদান রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান হোম কেয়ার সেবার সৃজনশীল কর্মবীর আবু জাফর মাহমুদের প্রতি। তিনি বলেন, সকল জাতিগোষ্ঠী এক হয়ে যখন মনুষ্যত্ব, শৃঙ্খলা ও একে অপরের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টান্ত গড়েন, তখন যে আবহ তৈরি হয়, তা এই সিটির মর্যাদা বৃদ্ধি করে। তিনি কমিউনিটির প্রতি তার দায়িত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এমন একান্ত সহায়ক মানবগোষ্ঠী যেখানে আছে, সেখানে যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যায়।
ইফতার অনুষ্ঠানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীকে পবিত্র রমজানের শুভকামনা জানান নিউইয়র্ক স্টেটের জনপ্রিয় অ্যাসেম্বলিওমেন জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস। ধন্যবাদ দেন ইনক্লুসিভ ইফতার আয়োজকদের।
এদিকে এই ইফতার আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট-২৫ এর সাবেক সিটি কাউন্সিল মেম্বার দানিয়েল দ্রুম, ডিস্ট্রিক্ট-২৩ এর কাউন্সিল মেম্বার লিন্ডা লি, ডিস্ট্রিক্ট-২০ এর সিটি কাউন্সিল মেম্বার সিন্ড্রা উং, ডিস্ট্রিক্ট-৩৭ এর অ্যাসেম্বলি মেম্বার ক্লেয়ার ভালডেইজ। এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্ম, মত ও জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির গুণী সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজের অন্যান্য সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।