লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার হলেও ইতিমধ্যে পিপিএলের গ্রাহকসংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক। সর্বশেষ সময় ২৮ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক আরও বাড়বে বলে আশা করছে পিপিএল। সিডিপ্যাপ সেবাগ্রহীতারা সেবা নিতে চাইলে এবং সেবাদাতারা সেবা দিতে চাইলে দুই পক্ষকেই ২৮ মার্চের মধ্যে তাদের কেস পিপিএলে স্থানান্তর করতে হবে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সিডিপ্যাপ গ্রহীতাদের ৩০-৩৩ শতাংশ তাদের কেস স্থানান্তরের জন্য পিপিএলে নিবন্ধন করেননি। প্রায় তিন লাখ মানুষ সিডিপ্যাপের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে দুই লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। যারা নিবন্ধন করেননি, তাদের হাতে সময় আছে আর মাত্র দুই দিন। ২৮ মার্চ শেষ দিন। কেউ কেউ সময় বাড়ানোর জন্য বলছেন, যাতে বাদ পড়ারা নিবন্ধন করতে পারেন। তবে নিবন্ধন করার সময় বাড়ানো হবে কি না, এ ব্যাপারে এখনো নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে পিপিএলের সঙ্গে নিবন্ধন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সিডিপ্যাপে সেবাদাতা কমিটেড হোম কেয়ারের ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা পিপিএলে সিডিপ্যাপ-প্রাপ্তদেরকে নিবন্ধন করতে সহায়তা করছি। এখন পর্যন্ত যারা পিপিএলে নিবন্ধন করেননি, তাদেরকে বলব, ২৮ মার্চের মধ্যেই নিবন্ধন করুন। এটি নিয়ে দোটানায় থাকার প্রয়োজন নেই। কারণ সিডিপ্যাপে সেবা পেতে হলে ও দিতে হলে দ্রুতই রেজিস্ট্রেশন করুন। কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে আমাদেন জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের অফিসে ফোন করুন অথবা সরাসরি আসুন। আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করছি। তিনি আরও বলেন, সিডিপ্যাপ সেবা নিতে গেলে পিপিএলের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে, এটা নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ থেকে বলা হয়েছে। এটা নিয়ে তারা কোনো ধরনের ছাড় দেবে না। পিপিএলকে ৬০ হাজার সেবাগ্রহীতা নিবন্ধন করার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল, সেটা অনেক আগেই তারা করে ফেলেছে। ফলে এটা নিয়ে দোটানার কোনো সুযোগ নেই। কেউ কেউ মনে করছেন তারা রেজিস্ট্রেশন করবেন না, পিপিএলের অধীনে যাবেন না। আমি তাদের বলব, আর সময় নষ্ট না করে এখনই রেজিস্ট্রেশন করুন। পিপিএলের নিবন্ধন করে সিডিপ্যাপের সেবা অব্যাহত রাখুন। পরে কোনো সিদ্ধান্ত এলে সেটা পরেও বিবেচনা করা যাবে। কিন্তু এখন সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।