জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ নিয়ে বেশ সরব জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ একাধিক পক্ষ। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি। তবে এ বিষয়ে বিএনপি বেশ নীরব।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ২২ মার্চ ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দল। এর মধ্যে শাহবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না, দলটির পক্ষে কেউ দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ‘ওরিয়র্স অব জুলাই’। এর মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
ওই সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই এ দেশের মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ৭১-এর পর তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। এ দেশের মানুষ যে গণতন্ত্র চেয়েছিল ১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনে সে গণতন্ত্রের মুখে চুনকালি মেখেছে। আমাদের চোখের সামনে যারা মারা গেছেন, তাদের রক্তের শপথ, আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না।’
সমাবেশে নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগকে চিনতে পারেননি। এখন পর্যন্ত যে বা যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে, তাদের এর মূল্য দিতে হয়েছে। যদি ১০টা ফেরাউন আর ১০টা নমরুদ একসঙ্গে করা হয়, তাও হাসিনার সমান হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই, যারা গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়েছে, তাদের আবার নির্বাচনে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হলে আমার-আপনার জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সবকিছু হবে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রকাঠামোর বাইরে রেখে। আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শ এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।’
এদিকে ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দুই হাজার লাশ এবং হাজারো আহতের অঙ্গহানির ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। অবিলম্বে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তবে আওয়ামী লীগ নিজেই রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা কেউ কেউ, যারা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’
অন্যদিকে ২২ মার্চ রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকেরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নো কমেন্টস।’
বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ ফিরলে তাতে বিএনপির আপত্তি না থাকার কথা বলেছেন দলটির কেউ কেউ। ২১ মার্চ এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণহত্যা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে দলের নেতারা নানা সময়ে কথা বললেও এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনো আলোচনা করিনি। আলোচনার পর দলের অবস্থান তুলে ধরা যাবে।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ২২ মার্চ ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এনসিপিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দল। এর মধ্যে শাহবাগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না, দলটির পক্ষে কেউ দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ‘ওরিয়র্স অব জুলাই’। এর মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
ওই সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই এ দেশের মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ৭১-এর পর তারা গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। এ দেশের মানুষ যে গণতন্ত্র চেয়েছিল ১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনে সে গণতন্ত্রের মুখে চুনকালি মেখেছে। আমাদের চোখের সামনে যারা মারা গেছেন, তাদের রক্তের শপথ, আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না।’
সমাবেশে নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা আওয়ামী লীগকে চিনতে পারেননি। এখন পর্যন্ত যে বা যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেছে, তাদের এর মূল্য দিতে হয়েছে। যদি ১০টা ফেরাউন আর ১০টা নমরুদ একসঙ্গে করা হয়, তাও হাসিনার সমান হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই, যারা গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয়েছে, তাদের আবার নির্বাচনে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হলে আমার-আপনার জীবন দিয়ে তার খেসারত দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সবকিছু হবে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রকাঠামোর বাইরে রেখে। আওয়ামী লীগের নাম, মার্কা ও আদর্শ এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।’
এদিকে ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দুই হাজার লাশ এবং হাজারো আহতের অঙ্গহানির ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। অবিলম্বে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তবে আওয়ামী লীগ নিজেই রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা কেউ কেউ, যারা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’
অন্যদিকে ২২ মার্চ রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকেরা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নো কমেন্টস।’
বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ ফিরলে তাতে বিএনপির আপত্তি না থাকার কথা বলেছেন দলটির কেউ কেউ। ২১ মার্চ এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণহত্যা ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে দলের নেতারা নানা সময়ে কথা বললেও এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে এখনো আলোচনা করিনি। আলোচনার পর দলের অবস্থান তুলে ধরা যাবে।’