নেতৃত্ব সুরক্ষায় মরিয়া হাসিনা

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:১৭ , চলতি সংখ্যা
চাপ চাপ উত্তেজনার মাঝে সময় কাটছে বাংলাদেশের। সরকারপ্রধান ড. ইউনূসের চীন সফরের প্রাক্কালে বহুমাত্রিক উত্তেজনা। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের ‘জরুরি আইন’ ঘোষণার গুজব। উপদেষ্টা পরিষদের পদত্যাগ ও নতুন সরকারের ঘোষণা। ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও এবি পার্টির ব্যারিস্টার ফুয়াদ গ্রেফতার। শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন! এমন তরতাজা সব সংবাদের একটিরও সত্যতা মেলেনি। কিন্তু কিছুদিন ধরে ভারতের কিছু মিডিয়া সমানে ঢোল পেটাচ্ছে। বিভ্রান্তিকর এসব সংবাদের ভিত্তি এবং বিচার কোনোটাই নেই।
২৬ মার্চ থেকে চার দিনের চীন সফরে প্রফেসর ইউনূস। ভারতের শত্রুদেশ চায়না যাওয়ার আগে খেলেছেন কৌশল। ভারতের প্রধান দুটি আপত্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিস্তা সমস্যা সমাধানে চীনের প্রকল্প-প্রস্তাবনাকে স্থগিত রেখেছেন। ৯ মিলিয়ন ডলারে নদী খননসহ বহুমুখী প্রকল্প চুক্তি আপাতত বন্ধ। এ ছাড়া সেনানিবাসে তরুণদের ‘মব ট্রেনিং’ ও অস্ত্র কারখানা প্রকল্পও স্থগিত। এই দুই ইস্যুতে এমওইউ বা ‘মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ স্বাক্ষর হচ্ছে না। ফলে ভারতও প্রফেসর ইউনূসের চীন সফরকে বাধাগ্রস্ত করছে না। উল্লেখ্য, চীনের প্রেসিডেন্টের পাঠানো প্লেনেই ঢাকা-পিকিং-ঢাকা সফর চলছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের মুখে এই গুরুত্বপূর্ণ সফর কার্যক্রম। ঈদে এবার নারীরা ঝুঁকেছে পাকিস্তানি ড্রেসের দিকে। আর পুরুষেরা মুজিব কোটের পরিবর্তে কিনছে ‘ইউনূস কোট’।
দিল্লি নয়, জাতিসংঘের শর্তপূরণে ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’॥ সেনাপ্রধান বনাম ছাত্রনেতা হাসনাতের বিরোধ নিরসন
দেশে-বিদেশে আলোড়ন তোলে হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হিসেবে খ্যাতিমান। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়ক। ২১ মার্চ ভোর আড়াইটায় ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। বলেন, ১১ মার্চ সেনানিবাসে সারজিস আলম ও আমাকে ডাকা হয়। বলা হয়, দেশে ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ গড়তে হবে। নেতৃত্ব দেবেন আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক মেয়র তাপসও থাকবেন। তোমরা বিষয়টি মেনে নাও, আ.লীগ নির্বাচনে থাকুক।
হাসনাত লেখেন, আমরা এই নির্দেশনা মানি না। ফ্যাসিস্ট আ.লীগকে আর রাজনীতিতে ফেরানো যাবে না। আমরা বাঁচি আর মরি, আ.লীগের প্রত্যাবর্তন চাই না।
হাসনাতের এমন পোস্টে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজনীতি। প্রধান দল বিএনপি নির্বাচনে আ.লীগকে চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে হাসনাতকে। অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস বলেন উল্টো কথা। নির্বাচনে আ.লীগ অংশ নিতে পারবে বলে জানান। ছাত্রশক্তি এই মতামতের বিরোধিতা করে সভা ডাকে। ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য যুদ্ধ ঘোষণা করেন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে। বলেন, জে ওয়াকার আ.লীগ ও দিল্লির তাঁবেদারি করছেন। ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ প্রতিষ্ঠার অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এবি পার্টির সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদও গরম বিবৃতি দেন। ছাত্রশক্তি বা ‘এনসিপি’ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করে।
২৩ মার্চ সেনানিবাসে উচ্চ পর্যায়ের সেনা বৈঠক ডাকেন সেনাপ্রধান। পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে সমন্বিত সিদ্ধান্ত প্রহণের প্রস্তাব করেন। বিশেষ ব্যাখ্যায় বলেন, প্রসঙ্গটি এসেছে জাতিসংঘের শর্ত থেকে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তাদের রিপোর্ট আছে। তাতে প্রায় ১৫০০ হত্যা ও শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রসঙ্গ রয়েছে। শেষে আসন্ন নির্বাচন বিষয়েও পরামর্শ বিদ্যমান। বলা হয়েছে, নির্বাচনে কোনো দলকে বাদ দেওয়া যাবে না। তাহলে সে দলের ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে উপেক্ষিত হবে।
সেনাপ্রধান জানান, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে আমাদের সৈন্যরা কর্মরত। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে ইতিবাচক কার্যক্রম চলছে। শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলমান। এ অবস্থায় জাতিসংঘের নির্দেশনা প্রতিপালন করা ফরজসম। সেই আলোকে ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ ও নির্বাচন প্রসঙ্গ এসেছে। বিষয়টি দিল্লি বা শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশন নয়। তা ছাড়া ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ মানে তো ‘শেখ হাসিনা মাইনাস’। আমরা সেসব রাজনীতিতে যাব না, শান্তিপূর্ণ থাকব।
জেনারেল ওয়াকার বলেন, অনেক প্রকার মিথ্যা প্রচারণা রয়েছে। ‘জরুরি আইন’ ঘোষণার বিষয়টি গুজব, চোখকান খোলা রাখুন।
সেনাপ্রধানের ব্যাখ্যায় হাইলেভেল ‘জেনারেল-ব্রিগেডিয়ার’রা আশ্বস্ত হন। রাজনৈতিক বিষয়ে ধীর পদক্ষেপের পরামর্শ দেন। অন্যরা বলেন, তবে কয়েকটি বিষয় বেশ স্পর্শকাতর-
ক. সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জন ফ্যাসিবাদীকে সুরক্ষা দেওয়া,
খ. ৫ আগস্ট ২৪ শেখ হাসিনাকে পলায়নে সহযোগিতা দেওয়া,
গ. বিডিআর হত্যা মামলার কার্যক্রমকে ‘ফুলস্টপ’ দেওয়া,
ঘ. ‘আয়নাঘর’-এর প্রকৃত আলামত ধ্বংস করে ফেলা।
উল্লেখ্য, জে. ওয়াকার-উজ-জামানের শ্বশুর জে. মুস্তাফিজ শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়। তদুপরি জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে তিনি নিরপেক্ষতা দেখান। বরং শেষ মুহূর্তে আন্দোলনকারীদের পক্ষ নেয় সামরিক বাহিনী।
আ.লীগ পুনর্গঠনে অভ্যন্তুরীণ কোন্দলের আশঙ্কা ॥ বঙ্গবন্ধু পরিবার বনাম আওয়ামী পরিবার ॥ কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকী, ফারুক খান, কামাল মজুমদারের না
রিফাইন্ড আ.লীগ বা পরিশুদ্ধ আ.লীগ এখন সর্বোচ্চ আলোচ্য। দলনেত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি জানতে পেরে চমকে উঠেছেন। নিজেকে ছাড়া অন্য কারও নেতৃত্ব মানতে পারছেন না। ১৯৮১-এর ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে দায়িত্ব নেন ১৭ মে। প্রায় ৪৪ বছর একনাগাড়ে একই শীর্ষ পদে আছেন। অনেকের ধারণা, কবরতক তিনি সভাপতি থাকবেন।
হাসিনাবিহীন আ.লীগের প্রথম ডাকটি দেন সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান। তিনি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের সাবেক এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা। বড় পরিচয় বিদ্যুৎ খাতের ধনকুবের আজিজ খানের সহোদর। সামিট-খ্যাত আজিজ খান সিঙ্গাপুরে ৪২তম শীর্ষ ধনাঢ্য। দেশে ফারুক-আজিজকে শেখ হাসিনার ‘ভ্যানেটি ব্যাগ’ বলা হতো। বিদায়ী সরকারে ফারুক খান বিমানমন্ত্রী ছিলেন। হাসিনা রাজত্বের পতনকালে গ্রেফতার হন এই প্রবীণ নেতা। কারাগার থেকে হাসিনাবিরোধী প্রথম পোস্ট দেন তিনি। ফারুক খান লেখেন, শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম। কিন্তু ওনার হঠকারিতার জন্য আজকের করুণ পরিণতি। আজ দলের সর্বত্র শুদ্ধি অভিযান চাই। শেখ হাসিনার আ.লীগ নয়, বঙ্গবন্ধুর আ.লীগ চাই।
ঘনিষ্ঠজনদের কাছে নেত্রীর বিরুদ্ধে বিশাল ক্ষোভ জানান। বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৭-১৮ এমপি-মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন। সবাই ২-৩ দিন আগে ভারত ও অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিল। কিন্তু আমাদের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কমীদের ঠকিয়েছেন। ৫ আগস্ট ২৪ নিজে বিশেষ বিমানে ভারতে পালালেন। কিন্তু বিমান চলাচল মন্ত্রী হয়েও আমাকে পালাতে দেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর পলায়ন একটি কালো রেকর্ড। এমন ব্যর্থ নেত্রীর অধীনে রাজনীতি করা চরম বোকামি।
দিল্লিতে বসে ফারুক খানের বিবৃতিতে অবাক শেখ হাসিনা। বলেন, আমার প্রধানমন্ত্রিত্ব, গণভবন গেছে। জাতীয় সংসদের দেড় দশকের নেতৃত্বও গেছে। বাড়ি-গাড়ি-জমিজমা-রাজত্ব সব গেছে। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে মৃত্যু দেননি। বাঁচিয়ে রেখেছেন মানে আমাকে আবার ক্ষমতায় নেবেন। আশা করি, আমি আবার সবকিছু পুনরুদ্ধার করতে পারব।
উল্লেখ্য, কারাগার থেকে নতুন ঘোষণা দিয়েছেন রাজনীতিক কামাল মজুমদার। তিনি সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও ‘মোহনা টিভি’র কর্ণধার। বলেছেন, গুডবাই আ.লীগ, গুডবাই শেখ হাসিনা, গুডবাই পলিটিক্স। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহোদর লতিফ সিদ্দিকীও খেপেছেন। হাসিনা সরকারের সাবেক পাট-বস্ত্রমন্ত্রী ও এমপি। হাসিনাপুত্র জয় মাসে দেড় লাখ ডলার নেন, তথ্যটি ওনার। নিউইয়র্কে ‘টাঙ্গাইল সমিতি’র আয়োজনে তথ্যটি দিয়ে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছিলেন। এবার তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আর আ.লীগ নয়। রাজনীতি করি আর না করি, আ.লীগ করব না। ২০২৪-এর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে টাঙ্গাইলে এমপি হয়েছিলেন। তবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (গামছা প্রতীক) পরাজিত হন। সম্প্রতি টাঙ্গাইল জামায়াতের ইফতারে অংশ নিয়ে মহা বিতর্কিত। নিকটজনদের বলেছেন, আ.লীগে ফিরব না বলে এমন কাণ্ড ঘটালাম।
উল্লেখ্য, বিশাল আ.লীগে বঙ্গবন্ধু পরিবার নিয়ে বিতর্ক চরমে। ক্ষমতায় থেকে তারা সর্বোচ্চ দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ। পরিবার-প্রথার বাইরে আ.লীগকে নিতে তাই শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া।
‘রিফাইন্ড আ.লীগের প্রধান বাধা এনসিপি না শেখ হাসিনা?সাবের চৌধুরী, শিরীন শারমিনের নীরব বিপ্লব🔹নেতৃত্ব সুরক্ষায় হাসিনাপন্থীরা মহা সক্রিয়
‘রিফাইন্ড আ.লীগে’র প্রস্তাবিত সভাপতি রাজনীতিক সাবের হোসেন চৌধুরী। সর্বশেষ হাসিনা সরকারে বন ও পরিবেশমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিবও হয়েছিলেন। বিএনপির মির্জা আব্বাসকে হারিয়ে ঢাকা-৮-এ একাধিকবার এমপি হন। অধুনালুপ্ত দৈনিক ভোরের কাগজের প্রকাশকও তিনি। ইউনূস সরকার কর্তৃক আটক হলেও রহস্যজনকভাবে জামিনও পেয়েছেন। অন্যদিকে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সদ্য সাবেক স্পিকার। সেনানিবাসে নিভৃতে আছেন বলে প্রচারণা রয়েছে। পদত্যাগ করলেও তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। ফলে রাষ্ট্রপতির অবর্তমানে পদাধিকারবলে তিনি পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান। আবার পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে স্পিকারের প্রথম দায়িত্বও ওনার। সাংবিধানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শিরীন শারমিন পীরগঞ্জের অতিথি-এমপি। শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। পৈতৃক বাস নোয়াখালী হলেও রংপুরের পীরগঞ্জে জনপ্রিয় হন। যদিও শেখ হাসিনার এই শ্বশুরালয়ে ঘটেছে বিশাল অঘটন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদও পীরগঞ্জেরই সন্তান। ‘রিফাইন্ড আ.লীগে’ অনেক নাম, যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই। তাজউদ্দীন-পুত্র সোহেল তাজ, নারায়ণগঞ্জ-খ্যাত মেয়র ড. আইভী প্রমুখ। গোয়ন্দা ছকে ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল ছাত্রশক্তি বা ‘এনসিপি।’ কিন্তু দিনে দিনে অন্যতম বাধা হচ্ছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। ৭৮ বছর বয়স্ক শেখ হাসিনা বিষয়টি মানতে পারছেন না। দলীয় সভাপতির পদে থেকে শেষ জীবন অতিবাহনে আগ্রহী। প্রায় ২৪ হাজার নেতা-কর্মী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের উপস্থিতিতে ‘প্রবাসী সরকার’ ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ‘রিফাইন্ড আ.লীগে’র কমিটি ঘোষিত হলে সুযোগটি আর থাকবে না। তাই নেতৃত্ব রক্ষায় তিনি এখন মরিয়া।
ভারতে আশ্রিত আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ঢাকা-৮-এর সাবেক এমপি, শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়। বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাই আ.লীগের একক নেত্রী। ওনার নেতৃত্ব ছাড়া আর কাউকে অভিভাবক মানব না। ভারতে থাকা সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. আরফাতও স্বকণ্ঠ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি হাসিনাপুত্র জয়ের বন্ধু ও হাসিনা-ঘনিষ্ঠ। বলেছেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল। নেত্রী অচিরেই দলের ‘ভার্চুয়াল কাউন্সিল’ করবেন।
ভারতের কাছে হাসিনার গুরুত্ব দিনে দিনে ফিকে হচ্ছে। কিন্তু নেত্রীর গুরুত্ব বহাল রাখতে হাসিনাপন্থীরা তৎপর। ভুয়া বা অখ্যাত পোর্টালের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এক ভারত থেকেই ৪৯টি নিউজপোর্টাল কাজ করছে। বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসবিরোধী গুজবে ভরপুর। সংখ্যালঘুর ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগের মিথ্যা বয়ান। সবচেয়ে বেশি প্রচারণা পাচ্ছে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন। সময়, তারিখ দিয়ে নিশ্চিত করছেন নেত্রীর ফেরা। এসব প্রচারণায় হাসিনাপন্থীরা ব্যয় করছেন দু’হাত খুলে। উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ‘রিফাইন্ড আ.লীগ’ গঠিত হচ্ছে। সেটি ঠেকাতে হাসিনাপন্থীরা নতুন কৌশল নিয়েছেন। ঘোষণায় বলেছেন, ইউনূস সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না আ.লীগ। যদিও বাংলাদেশের মাঠের নেতারা চান নির্বাচনে অংশগ্রহণ। তাদের মতে, ভোট এলে ভূতলবাসী নেতারা স্বস্তি পাবেন। ‘প্লেয়িং ফিল্ড’-এর কারণে নির্বাচনী সুযোগে সকলে সচল হবেন। নীরবে গোপন ব্যালটে নৌকায় ভোট দেবেন। প্রাণখুলে স্লোগানও দিতে পারবেন : ‘জয় বাংলা’।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078