মাহিনস কালেকশনের পোশাক কেনা যাবে অনলাইন ও শোরুম থেকে

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১৩:০১ , চলতি সংখ্যা
ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তাই ঈদকে সামনে রেখে নিজের জন্মদিনে ৩ মার্চ জ্যামাইকা হিলসাইডের ১৬৭ স্ট্রিটে উদ্বোধন করা হয়  ‘মাহিনস কালেকশন’-এর শোরুম। এ জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন মাহিনস কালেকশন এলএলসি। পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে সেখানে সাজিয়ে বসিয়েছেন নারী-পুরুষের রকমারী পোশাকের পসরা। নারীদের জন্য বিভিন্ন রকমের শাড়ি, কুর্তা, থ্রিপিস, লেহাঙ্গাসহ বিভিন্ন পোশাক। সেই সাথে রয়েছে বাংলাদেশের বিশেষ জামদানী। এর সাথে মিলিয়ে নেয়া যাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গহনা। পুরুষ ও শিশুদের জন্য পাঞ্জাবি ও পায়জামা। তার দোকনের সব কিছুর দামই ২৫ ডলার থেকে শুরু করে ৩০০ ডলারের মধ্যে। লক্ষ্য, এই ঈদে স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষ যাতে কিনতে পারেন নতুন পোশাক। ঈদের পর ‘মাহিনস কালেকশন’-এর পরিসর আরো বাড়াবেন। এমনটি জানান মাহিনস কালেকশন এলএলসি-এর কর্ণধার মমতাজ মিতুল।  মাহিনস কালেকশন এলএলসি-এর মাহীন মাহজাবীন ওরফে মমতাজ মিতুল বলেন, আমি প্রায় দেড় যুগ ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে কেবিন ক্রু হিসাবে কাজ করেছি। এরমধ্যে একটি ছিল জিমএমজি এয়ারলাইন্স, অন্যটি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সে। কেবনি ক্রু হওয়ার কারণে আমার আগে থেকেই পোশোকের প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল। বাংলাদেশে থাকাকালীন চাকরি করতাম এয়ারলাইন্সে। পেশাগত কারণেই আমাদেরকে সবসময় ফিট থাকতে হতো। পড়তে হতো অনেক ঘুছিয়ে পোশাক পরিচ্ছদ। এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়া। কিছুদিন নিউ জার্সিতে ছিলাম, এরপর একবার এসে সিয়াটেলে কিছুদিন ছিলাম। পরে দেশে থেকে আসা-যাওয়া করতাম। 
গত দুই বছর আগে পুরোপুরি এখানে চলে এসেছি। এখন এখানে স্থায়ীভাবে  থাকবো বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে থাকতে হলে কিছু একটা কাজতো করতে হবে। সেই থেকে একটি ব্যবসা চালু করার চিন্তাভাবনা শুরু করি। আমার দু’ছেলে। এরমধ্যে এক ছেলে আমার সাথে থাকে। তার বয়স ১৬। সে জ্যামাইকা গেটওয়ে সায়েন্স স্কুলে লেখাপড়া করে। আর বড় ছেলে বাংলাদেশে থাকে। সে বিবিএ শেষ করেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য আসবে। তিনি বলেন, আমি একজন সিঙ্গেল মাদার। এই যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর অনেক চড়াই উৎড়াই ও অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে। কারণ একটি দেশ ছেড়ে অন্য দেশে এসে থাকা, সব কিছু নতুন করে শুরু করা- বিষয়টি এতটা সহজ ছিল না। আমি বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি মাহিনস পাকিস্তানী কালেকশন নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শাড়ি, পোশাক বিক্রি করে থাকি। অনলাইন লাইভ করি। প্রচারণা আমি নিজেই চালাই। অনলাইনে ভালোই বিক্রি হয়। এখন ইনপাসন শোরুম নিয়ে শুরু করেছি। জ্যামাইকায় ১৬৭-১৭ হিলসাইড অ্যাভিনিউর দো’তলায় মহিনস কালেকশন শোরুমে এসে ক্রেতারা দেখেশুনে পছন্দের পোশাক কিনতে পারবেন। আমার এখানে পাকিস্তানী ড্রেসের প্রাধান্য বেশি ছিল। শো রুমে সব রকমের আছে। এখন চিন্তা করছি পাকিস্তানী, ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশী সব দেশের পোশাক রাখবো। মানুষের বিভিন্ন রকমের পোশাকের প্রতি দূর্বলতা রয়েছে, তাই আমি চাই তারা অনলাইনে এবং দোকানে এসেও যাতে কিনতে পারেন। এখানে গাদোয়াল, কাতান, জামদানী, কাঞ্জিভরমসহ বিভিন্ন রকমের পোশাক ও শাড়ি রয়েছে। আমাদের এখান থেকে যারা যে পোশাকই কিনেন না কেনো, এর দাম পড়বে ন্যূনতম ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলারের মধ্যে। শাড়িও একই দাম। বাংলাদেশের জামদানী, পায়জামা ও পাঞ্জাবি রয়েছে।  পাকিস্তানের ঈদের বিভিন্ন ধরণের ড্রেস আছে। ইন্ডিয়া থেকেও এখন ড্রেস আনছি। আমার এখান থেকে জেল পেমেন্ট করে ও ক্যাশ পেমেন্ট দিয়ে যে কেউ কিনতে পারবেন। মিতুল বলেন, আমি বাংলাদেশে থাকতেও এক সময় পোশাকের ব্যবসা করতাম, তবে ততোটা বড় পরিসরে নয়। আমার ফেসবুক পেজটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমি বিভিন্ন গ্রুপের সাথে আছি। ইন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপের মানুষে পোশাক কেনেন।  আমি এখন যে শো রুমটি নিয়েছি, এটি আমি একাই নিয়েছি। আমি চেষ্টা করবো সফল হওয়ার জন্য। আমার মনোবলই হচ্ছে এর পেছনের শক্তি। সফল আমাকে হতেই হবে। মমতাজ মিতুল বলেন, এই ঈদে নতুন নতুন বিভিন্ন পোশাক এসেছে, এর মধ্যে রয়েছে- আগানুর, স্পার্ক ক্লথ, আয়েশা কালেকশনের থ্রি পিস। বাংলাদেশের রকমারী সব জামদানীও রয়েছে। পায়জামা-পাঞ্জাবি রয়েছে হরেক রকমের। আসছে আগামী পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পোশাকের কালেকশন করার পরিকল্পনা করেছি। এখন বিভিন্ন ধরণের গহনা পাওয়া যাচ্ছে, বৈশাখে কাঠের গহনা নিয়ে আসব। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078