
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরু থেকেই বিএনপি ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দাবি করে আসছে। অন্যদিকে জামায়াত দাবি করে আসছিল, সার্বিকভাবে সংস্কারের পরই নির্বাচন। এখন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা বলছে তারা। তবে জামায়াত নির্বাচনের সময় নিয়ে বিএনপির চেয়ে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। জামায়াত বলছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারের যতটা সময় প্রয়োজন হবে, সেই সময় সরকারকে তারা দেবে। আর বিএনপির অবস্থান হচ্ছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন আগে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে- এমন প্রশ্নে বিরোধে জড়িয়েছেন দুই দলের নেতারা। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আর জামায়াত চাইছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। রাজনৈতিক এ রকম নানা ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য-বিবৃতিও দিচ্ছেন একের পর এক। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল কয়েক বছর আগে থেকেই। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দল দুটির সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়তে থাকে।
এদিকে এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানের পক্ষে নয় বিএনপি। নীতিনির্ধারণী ফোরামে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছে দলটি। সিদ্ধান্ত হয়েছে শেষ পর্যন্ত সরকার স্থানীয় নির্বাচন করলে সমর্থন দেবে না বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পেছনে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কূটকৌশল রয়েছে। এতে সুবিধা পাবে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলে ভোট বর্জনের মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। বিষয়টি নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচনকে আমরা মেনে নেব না। জনগণের প্রথম দাবি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ছাত্রদের অগ্রগামী অংশের নেতারা চলতি মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজোটের নতুন দল মাঠে আসতে পারে। ছাত্রদের নতুন দল নিয়ে বিএনপিতে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির নেতারা দলটিকে ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় কিংস পার্টি হিসেবে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। এ নিয়ে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম।
জানা গেছে, প্রথম দিকে ছাত্রদের দল গঠন নিয়ে বিএনপি তেমন কোনো আগ্রহ বা ভয়ের কারণ দেখছে না। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রশ্নে জামায়াত ও ছাত্রজোটের একক অবস্থানের কারণে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে বিএনপিতে। বিশেষ করে কিছু ইসলামি দলের বিএনপিবিরোধী অবস্থানের সঙ্গে নতুন দলের অবস্থান যদি সমপর্যায়ে চলে যায়, তাহলে বিএনপির জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হবে। যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। নেতারা মনে করছেন, ৫ আগস্টের পরপর মাঠপর্যায় এবং প্রশাসনে বিএনপি ক্ষমতার প্রভাব ভোগ করলেও দিনে দিনে তা কমে আসছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে যদি আরও দেরি হয়, তাহলে বিএনপিকে রীতিমতো বিরোধী দলের পর্যায়ে চলে যেতে হতে পারে। এ ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির যে সংঘবদ্ধ প্রচার-প্রচারণা মাঠে আছে, নতুন দল মাঠে এলে তা আরও বাড়বে। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে দলটিকে বহুমুখী প্রচার বা অপ্রচারের সম্মুখীন হতে হবে, যেটি মোকাবিলা করা বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, এদের (সরকার) মূল লক্ষ্য নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে ছাত্রদের সমন্বয়ে যে দল হচ্ছে তাদের সময় দেওয়া; যাতে তারা গুছিয়ে নিতে পারে। তাদের তো কোনো ক্যাডার নেই। তারা ভাবছে, একবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার এরাই তাদের ক্যাডার হবে। এরাই তাদের দলকে ধরে রাখবে। এই উদ্দেশ্যেই তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলে। এর বাইরে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই। ক্ষমতা যত দিন পারা যায় বিলম্বিত রাখা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন কথা বলছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। একটি নির্বাচন করতে তিন-চার মাস সময় লাগে। উপজেলা, পৌসভা বা সিটি করপোরেশনে আরও সময় লাগে। এ ক্ষেত্রে এই নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘ সময় তো নেই।
বিএনপি জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এরশাদ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করাই ছিল পার্টি বানানোর ধান্দা। এ রকম সন্দেহ তো সবার ভেতরে ভেতরে। সরকারকে এই প্রশ্নে পড়তে হবে কেন? যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করা যায়, তাহলে সেটি (স্থানীয় নির্বাচন) পরে হবে। এই বিবেচনায় আমি মনে করি, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার নেই।
অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন আগে নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে- এমন প্রশ্নে বিরোধে জড়িয়েছেন দুই দলের নেতারা। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আর জামায়াত চাইছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। রাজনৈতিক এ রকম নানা ইস্যুতে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য-বিবৃতিও দিচ্ছেন একের পর এক। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল কয়েক বছর আগে থেকেই। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দল দুটির সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়তে থাকে।
এদিকে এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানের পক্ষে নয় বিএনপি। নীতিনির্ধারণী ফোরামে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনাও করেছে দলটি। সিদ্ধান্ত হয়েছে শেষ পর্যন্ত সরকার স্থানীয় নির্বাচন করলে সমর্থন দেবে না বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পেছনে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কূটকৌশল রয়েছে। এতে সুবিধা পাবে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিলে ভোট বর্জনের মতো সিদ্ধান্তও নিতে পারে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। বিষয়টি নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচনকে আমরা মেনে নেব না। জনগণের প্রথম দাবি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সরকার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ছাত্রদের অগ্রগামী অংশের নেতারা চলতি মাসে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজোটের নতুন দল মাঠে আসতে পারে। ছাত্রদের নতুন দল নিয়ে বিএনপিতে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির নেতারা দলটিকে ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় কিংস পার্টি হিসেবে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। এ নিয়ে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম।
জানা গেছে, প্রথম দিকে ছাত্রদের দল গঠন নিয়ে বিএনপি তেমন কোনো আগ্রহ বা ভয়ের কারণ দেখছে না। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রশ্নে জামায়াত ও ছাত্রজোটের একক অবস্থানের কারণে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে বিএনপিতে। বিশেষ করে কিছু ইসলামি দলের বিএনপিবিরোধী অবস্থানের সঙ্গে নতুন দলের অবস্থান যদি সমপর্যায়ে চলে যায়, তাহলে বিএনপির জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন হবে। যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। নেতারা মনে করছেন, ৫ আগস্টের পরপর মাঠপর্যায় এবং প্রশাসনে বিএনপি ক্ষমতার প্রভাব ভোগ করলেও দিনে দিনে তা কমে আসছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে যদি আরও দেরি হয়, তাহলে বিএনপিকে রীতিমতো বিরোধী দলের পর্যায়ে চলে যেতে হতে পারে। এ ছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির যে সংঘবদ্ধ প্রচার-প্রচারণা মাঠে আছে, নতুন দল মাঠে এলে তা আরও বাড়বে। বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে দলটিকে বহুমুখী প্রচার বা অপ্রচারের সম্মুখীন হতে হবে, যেটি মোকাবিলা করা বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, এদের (সরকার) মূল লক্ষ্য নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে ছাত্রদের সমন্বয়ে যে দল হচ্ছে তাদের সময় দেওয়া; যাতে তারা গুছিয়ে নিতে পারে। তাদের তো কোনো ক্যাডার নেই। তারা ভাবছে, একবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে দিলে চেয়ারম্যান, মেম্বার এরাই তাদের ক্যাডার হবে। এরাই তাদের দলকে ধরে রাখবে। এই উদ্দেশ্যেই তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলে। এর বাইরে কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই। ক্ষমতা যত দিন পারা যায় বিলম্বিত রাখা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন কথা বলছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। একটি নির্বাচন করতে তিন-চার মাস সময় লাগে। উপজেলা, পৌসভা বা সিটি করপোরেশনে আরও সময় লাগে। এ ক্ষেত্রে এই নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘ সময় তো নেই।
বিএনপি জোটের শরিক নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এরশাদ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করাই ছিল পার্টি বানানোর ধান্দা। এ রকম সন্দেহ তো সবার ভেতরে ভেতরে। সরকারকে এই প্রশ্নে পড়তে হবে কেন? যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করা যায়, তাহলে সেটি (স্থানীয় নির্বাচন) পরে হবে। এই বিবেচনায় আমি মনে করি, এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার নেই।