
মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশে চলে গেলেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ, শোটাইম মিউজিক-এর কর্ণধার আলমগীর খান আলম। একটানা ৩০ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের পর কাউকে কিছু না বলেই ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেন। তার দেশে যাওয়ার খবরটি চাউর হওয়ার সাথে বিষয়টি নিউইয়র্কে ‘টক অব দ্য কমিউনিটি’তে পরিণত হয়।
এদিকে তার এই হঠাৎ চলে যাওয়ার ঘটনা কমিউনিটির অনেকই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, আলমগীর খান আলম ছিলেন ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ও এনআরবি অ্যাওয়ার্ড-এর প্রবর্তক, প্রবাসে বাংলা সাংস্কৃতির প্রমোটার। কমিউনিটি তাকে ভুলবে না। বরং গর্ব করে বলতে পারবে- ‘আমাদের একজন আলমগীর খান আলম ছিলেন।’
আলমগীর খান আলমের ঘনিষ্ট বন্ধু, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নূরুল আজিম আলমের দেশে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলমগীর খান আলমের মা সম্প্রতি অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে তিনি দেশে ফিরে গেছেন। দেশে ফিরে আলম তার ফেসবুক পেজে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন মায়ের একাংশের ছবি সহ একটি পোস্টও দিয়েছেন।
অপরদিকে কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সন্ধীপ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র সভাপতি সস্ত্রীক দেশ থেকে নিউইয়র্ক ফেরার পথে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার তার ফেসবুক পেজে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার দেখা হওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- ‘প্রিয় আলম ভাই ৩০ বছর পর স্বদেশের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন এটা সবাই জানেন। মজার ব্যাপার হলো- এমিরেটস-এর যে ফ্লাইট এ উনি ঢাকা এসেছেন তার ফিরতি ফ্লাইট এ আমরা নিউইয়র্ক যাচ্ছি। গ্লাসের এর এপার থেকে ওনাকে দেখে হাত তুলতেই উনিও আবেগ আপ্লুত হয়ে সাড়া দেন। গ্ল্যাসের দুই পারে থেকে কুশল বিনিময় ও সেলফি। ভালো থাকবেন আলম ভাই স্বদেশে। আপনাকে অনেক মিস করবো।’
জানা যায়, তরুণ বয়সে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আলমগীর খান আলম। স্থানীয় একটি কমিউনিটি কলেজেও পড়াশুনা করেছেন। তার ফেসবুক পেজে দেখা যায় তিনি সিটি কলেজ, ঢাকা ও দ্য সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে পড়াশুনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘এনআরবি অ্যাওয়ার্ড’র অনুষ্ঠান চালু করে আলমগীর খান আলম কমিউনিটিতে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। আর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে বাংলাদেশর সিনেমা ও নাট্যজগতের বহু অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা তার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বলিউড ও কলকাতার নায়ক-নায়িকা ও গায়ক-গায়কীরাও। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের দুই জীবন্ত কিংবদন্তী ও জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে একত্রে এক মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান আয়োজন ছিলো একজন প্রমোটার হিসেবে তার জীবনের সেরা আয়োজন।
প্রায় তিন দশক ধরে আলমের প্রবাস জীবনের সময়ে অসংখ্য মানুষের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তার অকস্মিক চলে যাওয়ায় তারা সবাই আলমের জন্য মনোকষ্টে ভূগছেন। কিছুদিন আগে তিনি মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবার কথা ভাবছিলেন বলে তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান।
আলমগীর খান আলমের ঘনিষ্ঠজন ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী তার ফেসবুকে লিখেছেন: মায়ের অসুস্থতার জন্য চার ঘণ্টার নোটিশে বাংলাদেশে চলে গেলেন বহির্বিশ্বে জনপ্রিয় প্রোমোটর আলমগীর খান আলম। প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ জন শিল্পী এনে বহির্বিশ্বের এই স্বনামধন্য প্রোমোটর আমাদের প্রবাসীদের বিশেষ করে নিউইয়র্ক এবং অন্যান্য স্টেটে তিনি তার এই প্রোগ্রাম করতেন, তার পর্যায়ে কোন প্রোমোটার এখনও আসতে পারেননি, তার এই চলে যাওয়া বন্ধু মহল এবং শিল্পীদের মনে বেদনার সৃষ্টি করেছে।
এদিকে তার এই হঠাৎ চলে যাওয়ার ঘটনা কমিউনিটির অনেকই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, আলমগীর খান আলম ছিলেন ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ও এনআরবি অ্যাওয়ার্ড-এর প্রবর্তক, প্রবাসে বাংলা সাংস্কৃতির প্রমোটার। কমিউনিটি তাকে ভুলবে না। বরং গর্ব করে বলতে পারবে- ‘আমাদের একজন আলমগীর খান আলম ছিলেন।’
আলমগীর খান আলমের ঘনিষ্ট বন্ধু, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নূরুল আজিম আলমের দেশে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলমগীর খান আলমের মা সম্প্রতি অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে তিনি দেশে ফিরে গেছেন। দেশে ফিরে আলম তার ফেসবুক পেজে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন মায়ের একাংশের ছবি সহ একটি পোস্টও দিয়েছেন।
অপরদিকে কমিউনিটির আরেক পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সন্ধীপ এসোসিয়েশন অব ইউএসএ’র সভাপতি সস্ত্রীক দেশ থেকে নিউইয়র্ক ফেরার পথে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার তার ফেসবুক পেজে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার দেখা হওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- ‘প্রিয় আলম ভাই ৩০ বছর পর স্বদেশের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ছেড়েছেন এটা সবাই জানেন। মজার ব্যাপার হলো- এমিরেটস-এর যে ফ্লাইট এ উনি ঢাকা এসেছেন তার ফিরতি ফ্লাইট এ আমরা নিউইয়র্ক যাচ্ছি। গ্লাসের এর এপার থেকে ওনাকে দেখে হাত তুলতেই উনিও আবেগ আপ্লুত হয়ে সাড়া দেন। গ্ল্যাসের দুই পারে থেকে কুশল বিনিময় ও সেলফি। ভালো থাকবেন আলম ভাই স্বদেশে। আপনাকে অনেক মিস করবো।’
জানা যায়, তরুণ বয়সে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আলমগীর খান আলম। স্থানীয় একটি কমিউনিটি কলেজেও পড়াশুনা করেছেন। তার ফেসবুক পেজে দেখা যায় তিনি সিটি কলেজ, ঢাকা ও দ্য সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে পড়াশুনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘এনআরবি অ্যাওয়ার্ড’র অনুষ্ঠান চালু করে আলমগীর খান আলম কমিউনিটিতে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। আর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে বাংলাদেশর সিনেমা ও নাট্যজগতের বহু অভিনেতা, অভিনেত্রী, গায়ক, গায়িকা তার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বলিউড ও কলকাতার নায়ক-নায়িকা ও গায়ক-গায়কীরাও। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের দুই জীবন্ত কিংবদন্তী ও জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে একত্রে এক মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান আয়োজন ছিলো একজন প্রমোটার হিসেবে তার জীবনের সেরা আয়োজন।
প্রায় তিন দশক ধরে আলমের প্রবাস জীবনের সময়ে অসংখ্য মানুষের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তার অকস্মিক চলে যাওয়ায় তারা সবাই আলমের জন্য মনোকষ্টে ভূগছেন। কিছুদিন আগে তিনি মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবার কথা ভাবছিলেন বলে তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান।
আলমগীর খান আলমের ঘনিষ্ঠজন ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী তার ফেসবুকে লিখেছেন: মায়ের অসুস্থতার জন্য চার ঘণ্টার নোটিশে বাংলাদেশে চলে গেলেন বহির্বিশ্বে জনপ্রিয় প্রোমোটর আলমগীর খান আলম। প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ জন শিল্পী এনে বহির্বিশ্বের এই স্বনামধন্য প্রোমোটর আমাদের প্রবাসীদের বিশেষ করে নিউইয়র্ক এবং অন্যান্য স্টেটে তিনি তার এই প্রোগ্রাম করতেন, তার পর্যায়ে কোন প্রোমোটার এখনও আসতে পারেননি, তার এই চলে যাওয়া বন্ধু মহল এবং শিল্পীদের মনে বেদনার সৃষ্টি করেছে।