
শীতকাল বাঙালির নানা রকম উৎসব পার্বণের ঋতু। বিয়ে শাদি থেকে শুরু করে গ্রামীণ ঐতিহ্যের বিভিন্ন উৎসব তখন আয়োজন করা হয়। তেমনি একটি উৎসব পলো বাওয়া। সাধারণত মাঘ মাসের প্রথম দিনে এ উৎসব আয়োজিত হয়। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি বড় বিলকে ঘিরে প্রতি বছর এ উৎসব উদযাপিত হয়। প্রায় ২০০ বছর ধরে চলা এ উৎসবের এ বছরেও কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। গত ১৫ জানুয়ারি এবারের উৎসব অনুষ্ঠিত হয় পুরনো রীতি অনুযায়ীই।
জানা গেছে, গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা মাছ ধরার আনন্দকে উদযাপন করতেই এ পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর এতে যোগ দেন গোয়াহরি ও আশপাশের গ্রামবাসীসহ দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে অবস্থান করা বাসিন্দা ও স্বজনরা। এ দিনটিতে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধরা একযোগে ‘পলো’ দিয়ে বিলে মাছ ধরতে নামেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিলটিতে প্রতি বছর উৎসবের আমেজে মাছ ধরা হয়। প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম দিন এ মাছ ধরা হয় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সদস্য ও গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম হোসেন জানান, এ বছর গত বছরের চেয়ে বিলে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। এলাকাবাসীর মতে, পলো বাওয়া আয়োজনকে ঘিরে গ্রামে একধরনের পুনর্মিলনী হয়। ঘরে ঘরে স্বজনেরা বেড়াতে আসেন। বিলে মাছ ধরায় অংশ নিতে গ্রামের অনেক বাসিন্দা দেশ ও প্রবাস থেকে আসেন। এটিই গ্রামবাসীদের কাছে অনেক আনন্দের দিন।
জানা যায়, ‘পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এ পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন যাচ্ছেন বংশধরেরা। প্রথা অনুযায়ী বিলে আগামী ১৫ দিন পর আবার পলো নিয়ে একযোগে মাছ ধরতে নামবেন সবাই।
পলো বাওয়া উৎসবের সময় আনন্দ-উত্তেজনা, হৈহুল্লোড় ও হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে বিলের আশপাশ। বিলে মাছ ধরতে নামা অনেকের হাতে পলোর পাশাপাশি থাকে হাতাজাল ও ছুলফি। ধরা পড়ে বোয়াল, শোল, গজার, রুই, কাতলা, কার্পুসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ।
উৎসব নিয়ে সিলেটের লামাকাজি এলাকার বাসিন্দা সৌদি আরবপ্রবাসী আবুল লেইছের (৪৫) সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁর স্ত্রী গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় তিনিই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। এর আগেও তিনি শ্বশুরবাড়ির হয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন। আবুল লেইছ বলেন, মাছ ধরা তাঁর শখ। মাছ ধরায় অংশ নিতে প্রায় প্রতি বছরই সময় মিলিয়ে দেশে আসার চেষ্টা করেন।
একইভাবে গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. আবদুল্লাহ জানান, পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতেই তিনি প্রায় ২০ দিন আগে দেশে এসেছেন। তিনি তিনটি মাছ পেয়েছেন। তাঁর বাবা-দাদাও এ বিলটিতে উৎসবে মাছ ধরে আসছেন। আগামী দিনে তাঁর ছেলে ও নাতিরাও উৎসবে অংশ নিয়ে মাছ ধরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আবদুল্লাহ বলেন, ‘চাইলেই বাজার থেকে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে খাওয়া যায়; কিন্তু অনেকেই পলো বাওয়ার যে আনন্দ কিংবা মাছ ধরার একধরনের ভালো লাগা, সে বিষয়টি বুঝবেন না।’
এভাবেই নানা বয়সী মানুষের আনন্দ, উদ্বেলতায় পালিত হয়ে আসছে পলো বাওয়া উৎসব। মিডিয়ার কল্যাণে বিশ্বনাথের এ উৎসবের কথা এখন পুরো দেশের মানুষের জানা। মূলত পলো একটি মাছ ধরার মাধ্যম। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিচিত হলেও কালের আবর্তে পলো এখন হারিয়ে যাচ্ছে। এ উৎসব সেই হুমকির মুখে থাকা মাছ ধরার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখারও একটি তাগিদ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই।
জানা গেছে, গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা মাছ ধরার আনন্দকে উদযাপন করতেই এ পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন করা হয়। আর এতে যোগ দেন গোয়াহরি ও আশপাশের গ্রামবাসীসহ দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তে অবস্থান করা বাসিন্দা ও স্বজনরা। এ দিনটিতে এলাকার শিশু থেকে বৃদ্ধরা একযোগে ‘পলো’ দিয়ে বিলে মাছ ধরতে নামেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে বিলটিতে প্রতি বছর উৎসবের আমেজে মাছ ধরা হয়। প্রতি বছর মাঘ মাসের প্রথম দিন এ মাছ ধরা হয় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সদস্য ও গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা মো. গোলাম হোসেন জানান, এ বছর গত বছরের চেয়ে বিলে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। এলাকাবাসীর মতে, পলো বাওয়া আয়োজনকে ঘিরে গ্রামে একধরনের পুনর্মিলনী হয়। ঘরে ঘরে স্বজনেরা বেড়াতে আসেন। বিলে মাছ ধরায় অংশ নিতে গ্রামের অনেক বাসিন্দা দেশ ও প্রবাস থেকে আসেন। এটিই গ্রামবাসীদের কাছে অনেক আনন্দের দিন।
জানা যায়, ‘পূর্বপুরুষের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এ পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন যাচ্ছেন বংশধরেরা। প্রথা অনুযায়ী বিলে আগামী ১৫ দিন পর আবার পলো নিয়ে একযোগে মাছ ধরতে নামবেন সবাই।
পলো বাওয়া উৎসবের সময় আনন্দ-উত্তেজনা, হৈহুল্লোড় ও হাঁকডাকে সরব হয়ে ওঠে বিলের আশপাশ। বিলে মাছ ধরতে নামা অনেকের হাতে পলোর পাশাপাশি থাকে হাতাজাল ও ছুলফি। ধরা পড়ে বোয়াল, শোল, গজার, রুই, কাতলা, কার্পুসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ।
উৎসব নিয়ে সিলেটের লামাকাজি এলাকার বাসিন্দা সৌদি আরবপ্রবাসী আবুল লেইছের (৪৫) সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁর স্ত্রী গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় তিনিই উৎসবে অংশ নিয়েছেন। এর আগেও তিনি শ্বশুরবাড়ির হয়ে মাছ ধরতে নেমেছেন। আবুল লেইছ বলেন, মাছ ধরা তাঁর শখ। মাছ ধরায় অংশ নিতে প্রায় প্রতি বছরই সময় মিলিয়ে দেশে আসার চেষ্টা করেন।
একইভাবে গোয়াহরি গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. আবদুল্লাহ জানান, পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতেই তিনি প্রায় ২০ দিন আগে দেশে এসেছেন। তিনি তিনটি মাছ পেয়েছেন। তাঁর বাবা-দাদাও এ বিলটিতে উৎসবে মাছ ধরে আসছেন। আগামী দিনে তাঁর ছেলে ও নাতিরাও উৎসবে অংশ নিয়ে মাছ ধরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আবদুল্লাহ বলেন, ‘চাইলেই বাজার থেকে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে খাওয়া যায়; কিন্তু অনেকেই পলো বাওয়ার যে আনন্দ কিংবা মাছ ধরার একধরনের ভালো লাগা, সে বিষয়টি বুঝবেন না।’
এভাবেই নানা বয়সী মানুষের আনন্দ, উদ্বেলতায় পালিত হয়ে আসছে পলো বাওয়া উৎসব। মিডিয়ার কল্যাণে বিশ্বনাথের এ উৎসবের কথা এখন পুরো দেশের মানুষের জানা। মূলত পলো একটি মাছ ধরার মাধ্যম। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিচিত হলেও কালের আবর্তে পলো এখন হারিয়ে যাচ্ছে। এ উৎসব সেই হুমকির মুখে থাকা মাছ ধরার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখারও একটি তাগিদ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই।