বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি এনটিভি’র চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ফালু বলেছেন, মিডিয়ার যারা অন্যায় করেছে, অপরাধ করেছেম অবশ্যই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ না করতে পারে। গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এনটিভি পরিবারের আয়োজনে নিউইয়র্কে কর্মরত ও জাতিসংঘ অধিবেশন কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এখন সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ড. ইউনূস সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজে সহায়তা করতে সব মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোসাদ্দেক আলী ফালু বলেন, দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-জনতার অসীম ত্যাগে এ অর্জন কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
সাপ্তাহিক খবর ও মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় মোসাদ্দেক আলী প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বাদল বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় তারা কীভাবে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন সেসব কথা তুলে ধরেন মোসাদ্দেক আলী ও লুৎফর রহমান বাদল।
মোসাদ্দেক আলী বলেন, দেশের নাগরিক হয়েও দীর্ঘদিন আমাদের দেশে থাকতে দেওয়া হয়নি। দেশের বাইরে থাকা কতটা কষ্টকর তা টের পেয়েছি। শুধু ভিন্নমত পোষণের কারণে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে দেশের বাইরে থাকতে।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সকল সাংবাদিক অন্যায় করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা যাচাই-বাছাই করে যেন হয়। আমরা আর কোনো অবিচার চাই না।
সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছর দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। সত্য লিখা ও বলা ছিল অপরাধ। এসময় ৬৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। অসংখ্য সাংবাদিককে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। শত শত সাংবাদিক বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেন।
তিনি বলেন, দেশ এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আমরা চাই দেশে যেন আর গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা না হয়। আমরা ভোটাধিকার চাই। জনগণকে দেশের মালিকানা ফেরত দেওয়া হোক। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হোক। লুটেরাদের বিচার করা হোক।
এ সভায় নিউইয়র্ক ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বহু সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এনটিভি’র বর্তমান ও সাবেক সহকর্মীরা মোসাদ্দেক আলীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতাদের সাথে মতবিনিময় : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও এনটিভির
চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মোসাদ্দেক আলী ফালু সবাইকে মুক্ত বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর আমি দেশে গিয়েছি। এর অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। আমার মতো আপনারাও প্রবাসে থেকে দেশের জন্য কাজ করেছেন। বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকারও হয়েছেন। এখন বাংলাদেশ মুক্ত, আমরা সবাই মিলে এই দেশকে আবারো গড়ে তুলবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাট, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেএফকে এয়ারপোর্টে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে স্বাগত জানান বিএনপি নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, গিয়াসউদ্দিন প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এখন সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ড. ইউনূস সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজে সহায়তা করতে সব মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোসাদ্দেক আলী ফালু বলেন, দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-জনতার অসীম ত্যাগে এ অর্জন কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
সাপ্তাহিক খবর ও মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় মোসাদ্দেক আলী প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বাদল বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় তারা কীভাবে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন সেসব কথা তুলে ধরেন মোসাদ্দেক আলী ও লুৎফর রহমান বাদল।
মোসাদ্দেক আলী বলেন, দেশের নাগরিক হয়েও দীর্ঘদিন আমাদের দেশে থাকতে দেওয়া হয়নি। দেশের বাইরে থাকা কতটা কষ্টকর তা টের পেয়েছি। শুধু ভিন্নমত পোষণের কারণে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে দেশের বাইরে থাকতে।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সকল সাংবাদিক অন্যায় করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা যাচাই-বাছাই করে যেন হয়। আমরা আর কোনো অবিচার চাই না।
সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছর দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। সত্য লিখা ও বলা ছিল অপরাধ। এসময় ৬৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। অসংখ্য সাংবাদিককে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। শত শত সাংবাদিক বাধ্য হয়ে পেশা বদল করেন।
তিনি বলেন, দেশ এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আমরা চাই দেশে যেন আর গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা না হয়। আমরা ভোটাধিকার চাই। জনগণকে দেশের মালিকানা ফেরত দেওয়া হোক। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হোক। লুটেরাদের বিচার করা হোক।
এ সভায় নিউইয়র্ক ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বহু সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এনটিভি’র বর্তমান ও সাবেক সহকর্মীরা মোসাদ্দেক আলীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকেও তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতাদের সাথে মতবিনিময় : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও এনটিভির
চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু। গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মোসাদ্দেক আলী ফালু সবাইকে মুক্ত বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর আমি দেশে গিয়েছি। এর অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। আমার মতো আপনারাও প্রবাসে থেকে দেশের জন্য কাজ করেছেন। বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকারও হয়েছেন। এখন বাংলাদেশ মুক্ত, আমরা সবাই মিলে এই দেশকে আবারো গড়ে তুলবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাট, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেএফকে এয়ারপোর্টে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে স্বাগত জানান বিএনপি নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, গিয়াসউদ্দিন প্রমুখ।