অসহায়ত্বের নিরসন

প্রকাশ : ৩০ অগাস্ট ২০২৪, ২১:৪৮ , চলতি সংখ্যা
আমরা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরব অসহায় ও অসহায়ত্ব নিয়ে কিছু কথা। অসহায় মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে কথা, অসহায় নিয়ে অভিমত, অসহায় নিয়ে কবিতা। আপনারা যারা বাছাই করা কিছু কথা খোঁজ করে থাকেন, তারা এই লেখাটি পড়ে যাবেন। আশা করি, আজকের এই লেখা খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনাদের কাছে এই কথাগুলো ভালো লাগবে। কিছু সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পেরে বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নিজেকে অনেক অসহায় মনে হয়।
এ ছাড়া সমাজের নানা পরিস্থিতি এবং নানা ধরনের কিছু ঘটে যাওয়ার কিছু কারণ থাকে। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, নিজেকে যত অসহায় মনে করবেন, আপনি তত অসহায় হয়ে উঠবেন এবং অন্যদের কাছে অবহেলিত হয়ে উঠবেন। জীবনে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিন। আপনি যখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, তখন আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। আপনি যখন নিজেকে অসহায় মনে করবেন, তখন আপনার জীবনে নানা ধরনের বাধা আসবে এবং হতাশাগ্রস্ত হবেন।
যত সুন্দর করে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলবেন, তত শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। নিজেকে অসহায়ত্ব থেকে দূরে রাখুন, তাহলে নিজেকে শক্তিশালী রাখতে পারবেন এবং নিজের জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন। অবশ্যই সৎপথে থাকার চেষ্টা করুন, এতে করে জীবন সুন্দর হবে। সৎ মানুষের শান্তি বিরাজমান থাকে, যা সুখের চেয়েও অনেক বড়। তাই প্রকৃত জ্ঞানীরা সত্যিকারের সৎ হয়ে থাকেন।
আপনারা যারা বিখ্যাত মনীষীদের বলা অসহায়ত্বের নিরসনের খোঁজ করছেন, তারা এই লেখা থেকে নিজেকে সার্থক করে নিন। আমি অনেক পড়াশোনা করে বিখ্যাত মনীষীদের বলা অসহায়ত্ব নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরেছি। প্রায়ই আমরা আমাদের জীবনে অনেক পরিস্থিতিতে অসহায়ত্ব বোধ করি। রাগ যেভাবে আমাদের ওপর আঁকড়ে ধরে থাকে, তা হলো অসহায়ত্ব। এর থেকে নিজেদের বের করে আনার একটি উপায় হলো ধৈর্যধারণ।
অসহায়ত্বের অনুভূতি সত্যিই আমাকে খুব পীড়া দেয়। এই অনুভূতি আমার সমস্ত ইতিবাচকতাকে অবশ করে দেয়। আপনি সবাইকে সাহায্য করতে পারবেন না, তবে কিছু মানুষকে তো পারবেনই। এভাবেই কিছু কিছু করে সবাইকেই সাহায্য করার অভ্যাস করুন। একজনকে সাহায্য করলে হয়তো দুনিয়া বদলে যাবে না, তবে ওই একজনের দুনিয়া বদলে যেতে পারে।
আজ খুঁজে পেলাম কাউকে ভালোবাসতে হলে তাকে পরিবর্তন নয়, বরং তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে তার সেরা ভার্সনটি বের করে আনা যায়। গরিবদের সাহায্য করার সময় ক্যামেরাটা বাসায় রেখে যান, এতে করে যাকে সাহায্য করছেন, সে খোলা মনে তা নিতে পারবে। আপনি যদি নিজেকে একটা সফলতার আসনে অধিষ্ঠিত দেখতে চান, তবে অতীতের ব্যর্থতা মনে করে নিজেকে অসহায় মনে করাটা হবে আপনার বোকামি। কারণ এই মানসিকতা আপনার হতাশাকে বাড়িয়ে তোলে আর তার সাথে বাড়িয়ে তোলে আপনার ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাকে।
হতাশা, বিরক্তি, তিক্ততা, অসহায়ত্বÑএসব যদি আপনার মেজাজে বিরাজ করে, তবে আপনার দ্বারা কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। হৃদয় যখন এত দৃঢ়তার সাথে কিছু কামনা করে, তখন যুক্তি অসহায় পর্যবেক্ষক ছাড়া আর কিছুই হয়ে ওঠে না। যখন সামাজিকভাবে আক্রমণ করা হয়, তখন সমাজের সবাই একত্রেই আক্রমণ করে। সেই সম্মিলিত আক্রমণের সামনে একজন ব্যক্তি আসলেই অসহায় বোধ করে। অন্যকে সাহায্য করুন তার স্বপ্ন ছুঁতে, দেখবেন আপনি আপনার স্বপ্নের কত কাছে চলে গেছেন। সাহায্য চাইতে গিয়ে আমার এক দুঃসময় গিয়েছে, তবে মানুষকে আমি তা অনুভব করাতে চাই না।
সবচেয়ে ভালো তো সেটাই, যেটা অন্যকে সাহায্য করার জন্য করা হয়। আপনার দুটো হাত রয়েছে। একটা নিজেকে সাহায্য করার জন্য এবং অপরটা অন্যদের সাহায্য করার জন্য। মানুষ অন্যের দ্বারা অবহেলিত হয় আবার অন্যের দ্বারা অসহায়ও হয়। তবে বাস্তবমুখী জীবনে যা-ই হোক না কেন, নিজেকে অসহায় করবেন না। আপনি নিজেকে যত অসহায় করবেন, অন্যরা আপনাকে আরও দুর্বল করার চেষ্টা করবে। তাই নিজেকে শক্ত করুন এবং নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যান। আমরা এই পোস্টে কিছু অসহায় মানুষকে নিয়ে উক্তি তুলে ধরেছি। আশা করি, এই উক্তিগুলো পড়লে আপনারা নিজের প্রতি অনুপ্রাণিত হতে পারবেন।
মানুষ খুব অসহায়। মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলেও কী হবে, মানুষ খুব মূল্যহীন। এগুলো নিয়ে খুব আস্ফালন করার কিচ্ছু নেই। মানুষ পৃথিবী থেকে অনেক কিছু শেখে। কিন্তু মানুষ আরেকটা জিনিস শেখে না, বিনীত হওয়া শেখে না। মানুষ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না জেনেও তাকে সাহায্য করার নামই হচ্ছে মানবতা।
অন্যকে সাহায্য করার আগে নিজেকে সাহায্য করুন এবং সাহায্য করার জন্য সক্ষম করে গড়ে তুলুন। আপনার আত্মার মৃত্যুর মানে হলো বাইরে থেকে কোনো প্রকার সাহায্যই আপনাকে আর বাঁচিয়ে তুলতে পারবে না। নিজেকে সাহায্য ব্যতীত অন্যকে সাহায্য করার কথা মাথায় আনাও বোকামি। বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি খুব স্থায়ী। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণির আসল রূপ দেখতে পায়। পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলো মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়, আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়।
আমাদের জন্মের সাথে সাথেই আমাদের ভয়ও জন্মগ্রহণ করে থাকে, আমরা শারীরিক অসহায় অবস্থায় জন্মগ্রহণ করি। কখনো কখনো যখন আমি একটি বড় সংবাদ অনুষ্ঠানের ছবি তুলছি, তখনো আমি হঠাৎ অসহায়তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারি। বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। মনের অনেক দরজা আছে, সেখান দিয়ে অসংখ্যজন প্রবেশ করে এবং বের হয়ে যায়। তাই সবাইকে মনে রাখা সম্ভব হয় না।
তোমাকে ছাড়া থাকার কোনো সাধ্য আমার নেই। কারণ তোমাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তোমাকে ধরে রাখার কোনো উপায় আমার কাছে জানা নেই, কারণ বাস্তবতার কাছে আমি বড় অসহায়। পৃথিবীতে কেউ কারও নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়। এই তো জীবন পাওয়া আর হারানোর। তবু হাত বাড়ানোর ভুল আশা নিরাশা কাটার দহন। অসহায়ত্বও শক্তির রূপান্তর হতে পারে, যদি আপনি সেই অসহায়ত্বটি সৃষ্টিকর্তার সামনে প্রকাশ করেন। আপনি যা-ই করুন না কেন, তার জন্য সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করুন। আমাদের জাতীয় ইতিহাস প্রায়ই আমাদের তিক্ততা এবং অসহায়ত্বের অনুভূতিতে পূর্ণ করেছে।
স্বপ্ন শুধু হাসায় না, বেশির ভাগ সময় কাঁদায়ও। জীবন মানেই সাফল্য এবং সাফল্য মানেই দুর্ভোগ। অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। জীবনকে যেমন মৃত্যুকেও তেমনি স্বাভবিক বলে মেনে নিতে হবে। কিছু কিছু মানুষের জন্য এ পৃথিবীটা কোনো উপযুক্ত স্থান নয়, তাদের জন্য এ পৃথিবীটা যেন একসমুদ্র জল। জীবন তৃপ্তি দেয় যতটুকু, অতৃপ্তি দেয় তার চেয়ে বেশি।
দারিদ্র্য হলো অসহায়ত্বের একটি শর্ত। আমাদের জটিল সমাজে অস্তিত্বের অবস্থার সাথে মানিয়ে নেওয়ার অক্ষমতা। বেঁচে থাকি, আশা করি, কষ্ট পাই, কাঁদি, লড়ি আর সবশেষে ভুলে যাওয়া...যেন কোনো দিন ছিলামই না। এ পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে, যাদের ভালোবাসা শুধু স্বপ্নেই ধরা দেয়, বাস্তবে না পাওয়ার বেদনাই শুধু তাড়িয়ে বেড়ায়। যে মানুষ ভুল করে না, বাস্তবে সে কিছুই করে না। নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই।
অনেক কিছু ফিরে আসে, ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না। ভাগ্য হচ্ছে এমন একটা চিরন্তন সত্য, যা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। যেটা যার কপালে লেখা নেই, সেটার জন্য হাজার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ নেই। আবার অনেকে আছেন, যারা যেটা কোনো দিন কল্পনাও করেননি, সেটাও পেয়ে যাচ্ছেন।
এই সমাজে বাস্তবতা এতই কঠিন যে কোনো কোনো সময় বুকের ভেতর গড়ে ওঠা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। আপনি জীবনে যা-ই করুন না কেন, তার জন্য আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078