
চরম দুঃসময়েও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার বিরোধ-দ্বন্দ্বের ন্যূনতম অবসান হয়নি। বরং তা আরও অসুস্থ ও হিংসাত্মক জিঘাংসায় রূপ নিয়েছে। নির্বাচিত সরকারের স্থলে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই বিরোধ আরও বেড়েছে, অনেকাংশে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এই সরকারের প্রধান মিত্র। অনেকের মতে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে বিতাড়িত করতে প্রকাশ্যে, নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা রাখে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের প্রধান অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ স্বভাবতই অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে পারেনি। তারা এখনো প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নামেনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে তারা বৈরী এমনকি হিংস্র ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতে পারে। সময়-সুযোগের অপেক্ষায় আছে তারা।
ঢাকাসহ দেশের কোথাও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান দুই অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এখনো তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়নি। গা ঢাকা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সরকার পতনের পরই নীরবে, নিভৃতে আত্মগোপনে চলে যান তারা। দেশের কোথাও তাদের অস্তিত্বের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা ও অপরাপর মহানগর, জেলা, উপজেলার কোথাও একটি স্লোগান বা প্রতিবাদ মিছিল হয়নি। তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখছে ভারতীয় বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম। বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সুযোগে সেসব প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ঘিরে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে সেখানে তারা দাঁড়াতেই পারেনি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, কোনোভাবে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ালে তাদের মোকাবিলা করা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে পারে। তবে আওয়ামী লীগকে খুব বেশি বাড়াবাড়ি, অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ দেবে না সরকার। বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে বিরাট ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতাপ্রত্যাশী। জামায়াত আর বিএনপিকে ক্ষমতা গ্রহণের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীর ভূমিকায় থাকছে না। নিজেরাই আগামীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা তাদের। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে কোনো রকম সমন্বয় সাধনের চিন্তা করছে না। বিএনপি তার মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, নির্বাচনে কোনো রকম সমঝোতার পক্ষে নয় তারা। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এলে তাদের ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি শেষ পর্যন্ত জোটবদ্ধ হয় কি না, এ পর্যায়ে তা বলা যায় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল আরও মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকে, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, নির্বাচন নির্ভর করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যাপারে দেশের সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট নন বলেই সাধারণভাবে ধারণা করা যায়। উভয়ের শাসনই দেখেছে মানুষ। দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহার, আর্থিক ফায়দা লোটা, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ঠ জনজীবন- অভিন্ন চিত্র দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ হয়েছে। এদের নিয়ে দেশের মানুষের কতটা আগ্রহ অবশিষ্ট আছে, আদৌ আছে কি না, সে প্রশ্ন রয়েছে। এরই সুযোগ নিতে চায় জামায়াতে ইসলামী। মাত্র দুটি মন্ত্রণালয় নিয়ে তারা বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতার অংশীদার ছিল, এককভাবে কখনো ক্ষমতায় যায়নি। আগামীতে তারা দলীয় সরকার গঠন করে দেশবাসীকে নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ, দায়িত্ববোধ, জবাবদিহির নজিরবিহীন নজির প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আদর্শভিত্তিক দল এবং দেশব্যাপী প্রশিক্ষিত, উন্নত মানবিক নৈতিক গুণাবলিসম্পন্ন কর্মীবাহিনী থাকায় জামায়াতের পক্ষে তা কঠিন হবে না বলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
জামায়াত দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে নয়। সরকারকে যাবতীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে আড়াই-তিন বছর কমপক্ষে দুই বছর পর নির্বাচনের পক্ষে। এই সময়ের মধ্যে তারা দলকে দেশব্যাপী পুরোপুরি গুছিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক সংগঠন ও প্রার্থী প্রস্তুত করে নিতে চায়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত ১২ আগস্টের বৈঠকে তারা সংস্কারকাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করার ওপর জোর দেয়।
বিএনপিও অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সংস্কারকাজগুলো সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সময় নেওয়ার কথাও বলে। তবে এই সময়টা দীর্ঘ না করার জন্যও বলে। এ ব্যাপারে তারা ছয় মাস কি এক বছর সময়ও বেঁধে দেয়নি। বিএনপির একাধিক নেতৃস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাধিক এক বছর সময় দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু এই সময়ে যাবতীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না দিলে বিএনপির ভূমিকা কী হবে? তারা কি অন্তর্বর্তী সরকারের বিপক্ষে মাঠে নামবে-এমন প্রশ্ন জনমনে।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণকারীরা মনে করছেন, সেনবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বেন। আওয়ামী লীগও তখন মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে ছাত্রদের পেছনের বড় শক্তি দৃশ্যত অবর্তমান থাকলেও বিএনপি আওয়ামী লীগকে মোকাবিলায় ছাত্রদের পাশে থাকবে। তখন ফের সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যার পরিণামে সেনাবাহিনীর দৃশ্যমান শক্তি হিসেবে অবতীর্ণ হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। সে ধরনের অবস্থায় দেশের মানুষও তাদের বুকে টেনে নেবে, কারণ সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক ভূমিকার তারা গভীর প্রশংসা করেছে।
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এই সরকারের প্রধান মিত্র। অনেকের মতে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে বিতাড়িত করতে প্রকাশ্যে, নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা রাখে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের প্রধান অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ স্বভাবতই অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে পারেনি। তারা এখনো প্রকাশ্যে বিরোধিতায় নামেনি। তবে অদূর ভবিষ্যতে তারা বৈরী এমনকি হিংস্র ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হতে পারে। সময়-সুযোগের অপেক্ষায় আছে তারা।
ঢাকাসহ দেশের কোথাও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার প্রধান দুই অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এখনো তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়নি। গা ঢাকা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সরকার পতনের পরই নীরবে, নিভৃতে আত্মগোপনে চলে যান তারা। দেশের কোথাও তাদের অস্তিত্বের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা ও অপরাপর মহানগর, জেলা, উপজেলার কোথাও একটি স্লোগান বা প্রতিবাদ মিছিল হয়নি। তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখছে ভারতীয় বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম। বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সুযোগে সেসব প্রচার করছে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্র।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ঘিরে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে সেখানে তারা দাঁড়াতেই পারেনি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, কোনোভাবে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ালে তাদের মোকাবিলা করা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে আসতে পারে। তবে আওয়ামী লীগকে খুব বেশি বাড়াবাড়ি, অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ দেবে না সরকার। বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে বিরাট ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতাপ্রত্যাশী। জামায়াত আর বিএনপিকে ক্ষমতা গ্রহণের ক্ষেত্র প্রস্তুতকারীর ভূমিকায় থাকছে না। নিজেরাই আগামীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পরিকল্পনা তাদের। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে কোনো রকম সমন্বয় সাধনের চিন্তা করছে না। বিএনপি তার মতো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, নির্বাচনে কোনো রকম সমঝোতার পক্ষে নয় তারা। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে এলে তাদের ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি শেষ পর্যন্ত জোটবদ্ধ হয় কি না, এ পর্যায়ে তা বলা যায় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল আরও মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকে, তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, নির্বাচন নির্ভর করছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ব্যাপারে দেশের সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট নন বলেই সাধারণভাবে ধারণা করা যায়। উভয়ের শাসনই দেখেছে মানুষ। দুর্নীতি, অনিয়ম, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহার, আর্থিক ফায়দা লোটা, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্যে অতিষ্ঠ জনজীবন- অভিন্ন চিত্র দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ হয়েছে। এদের নিয়ে দেশের মানুষের কতটা আগ্রহ অবশিষ্ট আছে, আদৌ আছে কি না, সে প্রশ্ন রয়েছে। এরই সুযোগ নিতে চায় জামায়াতে ইসলামী। মাত্র দুটি মন্ত্রণালয় নিয়ে তারা বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতার অংশীদার ছিল, এককভাবে কখনো ক্ষমতায় যায়নি। আগামীতে তারা দলীয় সরকার গঠন করে দেশবাসীকে নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ, দায়িত্ববোধ, জবাবদিহির নজিরবিহীন নজির প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আদর্শভিত্তিক দল এবং দেশব্যাপী প্রশিক্ষিত, উন্নত মানবিক নৈতিক গুণাবলিসম্পন্ন কর্মীবাহিনী থাকায় জামায়াতের পক্ষে তা কঠিন হবে না বলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
জামায়াত দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে নয়। সরকারকে যাবতীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে আড়াই-তিন বছর কমপক্ষে দুই বছর পর নির্বাচনের পক্ষে। এই সময়ের মধ্যে তারা দলকে দেশব্যাপী পুরোপুরি গুছিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক সংগঠন ও প্রার্থী প্রস্তুত করে নিতে চায়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গত ১২ আগস্টের বৈঠকে তারা সংস্কারকাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করার ওপর জোর দেয়।
বিএনপিও অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে সংস্কারকাজগুলো সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সময় নেওয়ার কথাও বলে। তবে এই সময়টা দীর্ঘ না করার জন্যও বলে। এ ব্যাপারে তারা ছয় মাস কি এক বছর সময়ও বেঁধে দেয়নি। বিএনপির একাধিক নেতৃস্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাধিক এক বছর সময় দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু এই সময়ে যাবতীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না দিলে বিএনপির ভূমিকা কী হবে? তারা কি অন্তর্বর্তী সরকারের বিপক্ষে মাঠে নামবে-এমন প্রশ্ন জনমনে।
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণকারীরা মনে করছেন, সেনবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার পর ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কার্যত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বেন। আওয়ামী লীগও তখন মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে ছাত্রদের পেছনের বড় শক্তি দৃশ্যত অবর্তমান থাকলেও বিএনপি আওয়ামী লীগকে মোকাবিলায় ছাত্রদের পাশে থাকবে। তখন ফের সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যার পরিণামে সেনাবাহিনীর দৃশ্যমান শক্তি হিসেবে অবতীর্ণ হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। সে ধরনের অবস্থায় দেশের মানুষও তাদের বুকে টেনে নেবে, কারণ সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক ভূমিকার তারা গভীর প্রশংসা করেছে।