
জাতীয়করণের দাবি আদায় করতে গিয়ে সচিবালয় ঘেরাও এবং পরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এখন আলোচনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে আনসার বাহিনীকে বিলুপ্ত করার দাবিসহ তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনাও শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে আনসার সদস্যদের এই কর্মসূচি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দাবি মানার পরও তারা কেন এভাবে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, আনসারের সাবেক ডিজি বা কর্মকর্তাদের ইন্ধন থাকতে পারে এই আন্দোলনে। এ ছাড়া যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের অনেকে বিদায়ী সরকারের সময়ে দলীয় পরিচয়ে চাকরি নিয়েছিলেন বলে আলোচনা আছে। সূত্রের দাবি, বিগত ১৫ বছরে প্রায় ৪২ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্য নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই দলীয় সুবিধায় নিয়োগ পান। অনেকেরই ধারণা, এই আন্দোলনের নেপথ্যে পতিত আওয়ামী লীগের ইন্ধন ও ষড়যন্ত্র ছিল। চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আকস্মিক সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখার পেছনে আনসার সদস্যদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য বা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে ঘটনার নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর এবং শিক্ষার্থী ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর রমনা, শাহবাগ, পল্টন ও বিমানবন্দর থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চার মামলায় প্রায় ১০ হাজার অজ্ঞাত আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া চার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৩৯০ জনকে। গ্রেফতারের পর আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদলের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আনসারের উপমহাপরিচালক ও পরিচালক পদমর্যাদার ১৯ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া দপ্তর রদবদল হয়েছে ১০ পরিচালকের। ঘটনার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একে ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, সচিবালয়ে উপদেষ্টা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখে তাৎক্ষণিক দাবি আদায়ের পেছনে আনসার সদস্যদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, হঠাৎ বিপুলসংখ্যক আনসার সদস্যের রাজধানীতে জমায়েতের বিষয়টি সন্দেহজনক। এর পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে পতিত হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন পলাতক নেতার হাত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আনসারদের একটি অত্যুৎসাহী গোষ্ঠী দাবি আদায়ের নামে সচিবালয় দখল করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
জানা গেছে, আনসার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির নাম কাদের। তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ষাটঘর তেওতা (বিলপাড়া) এলাকার ফজলুল হকের ছেলে এবং তেওতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের বর্তমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনসারের পিসি হিসেবে কর্মরত। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়া আনসারদের নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন কাদের। সচিবালয়ের ভেতরে বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তি যে আনসার সদস্য কাদের, সেটি স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও প্রতিবেশী সফিউদ্দিন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। সফিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, কাদের দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আনসারে চাকরিও করছেন এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগেরও সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ভিডিও দেখার পর নিশ্চিত হয়েছেন জানিয়ে সফিউদ্দিন আরও বলেন, ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় ভিন্নমতের লোকজনকে নানাভাবে হয়রানিও করেছেন কাদের। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাদের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন। প্রায় ১০ বছর আগে তিনি আনসার বাহিনীতে চাকরিতে ঢুকেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের আচরণ করেছেন, এর দায় পুরো বাহিনীর নয়। যারা আন্দোলন করছেন, তারা পুরো বাহিনীরও প্রতিনিধিত্ব করেন না। আন্দোলনকারীরা আনসার বাহিনীর অস্থায়ী সদস্য, যারা বাহিনীতে ‘অঙ্গীভূত আনসার’ হিসেবে পরিচিত। গত ২৫ আগস্ট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশৃঙ্খল আন্দোলনকারীরা অঙ্গীভূত আনসার, যাদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নানা স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাহিনীতে এই অঙ্গীভূত আনসার সদস্য রয়েছে অন্তত ৭০ হাজার, যারা সবাই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। তবে প্রতি তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ছয় মাস করে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রয়োজনে তাদের আবার ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত তারা স্থায়ীভাবে নিয়োগ বা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা আন্দোলন করে আসছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার মনে করছে, সচিবালয়ে উপদেষ্টা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখে তাৎক্ষণিক দাবি আদায়ের পেছনে আনসার সদস্যদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, হঠাৎ বিপুলসংখ্যক আনসার সদস্যের রাজধানীতে জমায়েতের বিষয়টি সন্দেহজনক। এর পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে পতিত হাসিনা সরকারের বেশ কয়েকজন পলাতক নেতার হাত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আনসারদের একটি অত্যুৎসাহী গোষ্ঠী দাবি আদায়ের নামে সচিবালয় দখল করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে কুচক্রীদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
জানা গেছে, আনসার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির নাম কাদের। তিনি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ষাটঘর তেওতা (বিলপাড়া) এলাকার ফজলুল হকের ছেলে এবং তেওতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। কাদের বর্তমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনসারের পিসি হিসেবে কর্মরত। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়া আনসারদের নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন কাদের। সচিবালয়ের ভেতরে বক্তব্য দেওয়া ওই ব্যক্তি যে আনসার সদস্য কাদের, সেটি স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও প্রতিবেশী সফিউদ্দিন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন। সফিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, কাদের দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আনসারে চাকরিও করছেন এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগেরও সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ভিডিও দেখার পর নিশ্চিত হয়েছেন জানিয়ে সফিউদ্দিন আরও বলেন, ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় ভিন্নমতের লোকজনকে নানাভাবে হয়রানিও করেছেন কাদের। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাদের ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আনসার বাহিনীতে চাকরি করেন। প্রায় ১০ বছর আগে তিনি আনসার বাহিনীতে চাকরিতে ঢুকেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সচিবালয়ে আনসার বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের আচরণ করেছেন, এর দায় পুরো বাহিনীর নয়। যারা আন্দোলন করছেন, তারা পুরো বাহিনীরও প্রতিনিধিত্ব করেন না। আন্দোলনকারীরা আনসার বাহিনীর অস্থায়ী সদস্য, যারা বাহিনীতে ‘অঙ্গীভূত আনসার’ হিসেবে পরিচিত। গত ২৫ আগস্ট আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশৃঙ্খল আন্দোলনকারীরা অঙ্গীভূত আনসার, যাদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।’
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নানা স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাহিনীতে এই অঙ্গীভূত আনসার সদস্য রয়েছে অন্তত ৭০ হাজার, যারা সবাই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। তবে প্রতি তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ছয় মাস করে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রয়োজনে তাদের আবার ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত তারা স্থায়ীভাবে নিয়োগ বা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা আন্দোলন করে আসছিলেন।