রেমিট্যান্স পাঠানো স্বাভাবিক হয়নি 

প্রকাশ : ১৫ অগাস্ট ২০২৪, ১১:৩৯ , চলতি সংখ্যা
প্রবাসীদের মধ্যে এখনো স্বস্তি না ফেরায় তারা পুরোপুরি রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেননি। রেমিট্যান্স পাঠানোর গতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দেশের অর্থনীতি সচল হতেও সময় লাগছে। সবাই মনে করেছিলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে খুব দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তখন সবাই আবার রেমিট্যান্স পাঠানো শুরু করবে। সরকার গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত পুরোপুরি স্বস্তি আসেনি, বিভিন্ন দিক থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই অস্থিরতা দূর করতে হলে অবশ্যই সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, সেই সঙ্গে প্রবাসীদের মনেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সব মিলিয়ে জনগণের মনে স্বস্তি এলেই মানুষ আবার আগের মতো রেমিট্যান্স প্রেরণ করতে পারবে।
মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ব্যবসা এখনো পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেনি। মানি এক্সচেঞ্জগুলো নিয়মিত খোলা রয়েছে কিন্তু মানুষ তেমন আসছে না। যারা প্রতি মাসের শুরুতে পরিবারের সদস্যদের সংসার খরচের জন্য অর্থ পাঠান, তারা কেবল অর্থ পাঠাচ্ছেন। বড় ধরনের প্রয়োজন না হলে মানুষ তেমন অর্থ পাঠাচ্ছেন না। এদিকে দেশে টাকা কম পাঠানোর আরও কারণ হলো ব্যাংকে টাকা রাখাও অনেকেই নিরাপদ মনে করছেন না। আবার এখন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে একসঙ্গে দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না। দেশে কোনো ধরনের অস্থিরতা তৈরিতে যাতে কোনো অর্থ লেনদেন না হয় এবং কেউ যাতে দেশ থেকে অর্থ সরিয়ে নিতে না পারে, সে জন্যই এটি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডেও কেউ যাতে অর্থ জোগান দিতে না পারে, সে ব্যাপারেও সরকার লক্ষ রাখছে। পাশাপাশি তারল্য সংকট যাতে দেখা না দেয়, সেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে চেকের মাধ্যমে যেসব লেনদেন হচ্ছে, সেটি ব্যাংক হিসাবে গেলে সেটাও দেখা যাচ্ছে কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে। তবে নগদ চেকে বেশি অর্থ লেনদেন হচ্ছে কি না বা সন্দেহজনক লেনদেন হচ্ছে কি না তাও সংশ্লিষ্টরা নজরদারি করছেন। ফলে দেশের ব্যাংকে বেশি টাকা পাঠিয়ে রাখতে চাইছেন না প্রবাসীরা। আবার ব্যাংকে পাঠানো টাকা তুলে ঘরে রাখবেন, সেই সাহসও পাচ্ছেন না। কারণ চুরি কিংবা ডাকাতি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ডাকাত প্রতিরোধে এলাকাবাসী সজাগ রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশও কর্মস্থলে ফিরে কাজ শুরু করেছে। 
একটি খ্যাতনামা মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ও সিইও বলেন, আমরা আশা করছি, দেশের পরিস্থিতি যত দ্রুত স্বাভাবিক হবে, দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণও তত বাড়তে থাকবে। ১৭ জুলাইয়ের পর দেশে যে অবস্থা হয়েছিল, এখন সে অবস্থা নেই। সরকার পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগছে। প্রবাসীরা আপাতত যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু রেমিট্যান্সই পাঠাচ্ছেন।
সাবেক কংগ্রেসম্যান পদপ্রার্থী ও কমিউনিটি লিডার মিজান চৌধুরী বলেন, দেশে একটি এতিমখানায় আমরা টাকা পাঠাই। যেহেতু এখন নগদ টাকা বেশি তোলা যাচ্ছে না, তাই যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই পাঠাব। আশা করছি পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে।
ডা. আল আমিন রাসেল বলেন, আন্দোলন চলার সময়ের চেয়ে এখন অর্থ পাঠানো বেড়েছে। তবে এটা আরও বাড়বে। মানুষ এখন অপেক্ষা করছে কী হয় তা দেখার জন্য। আমরা যতটুকু প্রয়োজন, সেটাই আপাতত পাঠাব।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078