
মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে গত ২৯ জুলাই সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ঢাকায় ছুটে যান হাবিবা আক্তার শাওন। দেশে গিয়ে তাকে পড়তে হয়েছে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায়। দেশের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন, পরবর্তীতে কারফিউ এবং সরকার পতনের কারণে একপ্রকার ঘরবন্দি ছিলেন তিনি। ১২ আগস্ট সোমবার তার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তার ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। পরবর্তী ফ্লাইটের তারিখ ১৮ আগস্ট রোববার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষিকা শাওনের মত এমন হাজারো প্রবাসী দেশে গিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত ফিরতে চাইলেও পারছেন না ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে। কারফিউর সময় শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আর এখন হচ্ছে ১৫ আগস্টকে ঘিরে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির কারণে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে তাদের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। ফলে স্বল্প সময়ের ছুটিতে দেশে যাওয়া প্রবাসীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিমানবন্দরে ভিড় করছেন শত শত প্রবাসী। গত দুদিন ধরেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট শিডিউল পেতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গত শুক্র, শনি ও রোববার তিনটি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুটে ১৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা।
অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে বিমানবন্দর পৌঁছার পর জানতে পারছেন তাদের ফ্লাইট শিডিউলে পরিবর্তন হয়েছে। এরপর তারা বিমানবন্দরের আশপাশেই ঘোরাফেরা করে সময় পার করছেন। অনেকে রাস্তায় ঝামেলা হওয়ার ভয়ে একদিন আগেই বিমানবন্দরে এসেছেন। এসে আটকে গেছেন। এছাড়া দেশে চলমান অস্থিরতার জন্য দু-একদিন পর ফ্লাইট থাকার পরও অনেকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। সেখানেও গুনতে হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া।
নিউইয়র্ক প্রবাসী শরিফুল ইসলাম সুজন ঠিকানাকে জানান, সামারের ছুটিতে তার স্ত্রী ও দুই পুত্র দেশে অবস্থান করছেন। গত ১০ আগস্ট শনিবার তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু এয়ারলাইন্স থেকে তাদের জানানো হয়েছে যে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তাদের আরো ১০ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো টালমাটাল। কখন কী হয় বলা মুশকিল। এ কারণে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি টেনশনে আছেন।
জানা গেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারা পাল্টে গেছে। যারাই দেশের বাইরে যাচ্ছেন তাদের ইমিগ্রেশনে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে প্রবাসীরা বিব্রত হচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিড়ম্বনার শেষ নেই। অনেক ঢাকায় পৌঁছতে পারলেও গ্রামে যেতে নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাচ্ছেন। নিউইয়র্ক প্রবাসী শরিয়তপুরের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন মনু জানান, তার পরিবারের সদস্যরা এক মাসের জন্য দেশে বেড়াতে গেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছে না। তারা ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এতে সবার ভোগান্তি বেড়েছে। কবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে কে জানে?
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষিকা শাওনের মত এমন হাজারো প্রবাসী দেশে গিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। দ্রুত ফিরতে চাইলেও পারছেন না ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে। কারফিউর সময় শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আর এখন হচ্ছে ১৫ আগস্টকে ঘিরে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির কারণে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে তাদের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। ফলে স্বল্প সময়ের ছুটিতে দেশে যাওয়া প্রবাসীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিমানবন্দরে ভিড় করছেন শত শত প্রবাসী। গত দুদিন ধরেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের ফ্লাইট শিডিউল পেতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গত শুক্র, শনি ও রোববার তিনটি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক রুটে ১৭টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা।
অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করে বিমানবন্দর পৌঁছার পর জানতে পারছেন তাদের ফ্লাইট শিডিউলে পরিবর্তন হয়েছে। এরপর তারা বিমানবন্দরের আশপাশেই ঘোরাফেরা করে সময় পার করছেন। অনেকে রাস্তায় ঝামেলা হওয়ার ভয়ে একদিন আগেই বিমানবন্দরে এসেছেন। এসে আটকে গেছেন। এছাড়া দেশে চলমান অস্থিরতার জন্য দু-একদিন পর ফ্লাইট থাকার পরও অনেকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। সেখানেও গুনতে হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া।
নিউইয়র্ক প্রবাসী শরিফুল ইসলাম সুজন ঠিকানাকে জানান, সামারের ছুটিতে তার স্ত্রী ও দুই পুত্র দেশে অবস্থান করছেন। গত ১০ আগস্ট শনিবার তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু এয়ারলাইন্স থেকে তাদের জানানো হয়েছে যে ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এটি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তাদের আরো ১০ দিন বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনো টালমাটাল। কখন কী হয় বলা মুশকিল। এ কারণে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি টেনশনে আছেন।
জানা গেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারা পাল্টে গেছে। যারাই দেশের বাইরে যাচ্ছেন তাদের ইমিগ্রেশনে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে প্রবাসীরা বিব্রত হচ্ছেন।
এদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিড়ম্বনার শেষ নেই। অনেক ঢাকায় পৌঁছতে পারলেও গ্রামে যেতে নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাচ্ছেন। নিউইয়র্ক প্রবাসী শরিয়তপুরের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন মনু জানান, তার পরিবারের সদস্যরা এক মাসের জন্য দেশে বেড়াতে গেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারছে না। তারা ঢাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এতে সবার ভোগান্তি বেড়েছে। কবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে কে জানে?