পৃথিবীর সবচেয়ে মিষ্টি আর ভরসার নাম হচ্ছে বাবা। আমার ৮৫ বছর বয়সী বাবা তার নাম-পদবি একেবারেই ভুলে গেছেন। সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চাকরি থেকে আমার বাবা মঈন উদ্দিন আহমদ অবসর গ্রহণ করার ২৪ বছর পার হলো। গত দুই বছর আগে সবকিছু খুব ঠিকঠাক ছিল। স্কুলের চাকরির কারণে বাবা ছিলেন খুব রুটিন মেনে চলা জীবনের অধিকারী। বাবার আরেকটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য, বাবা সারা জীবন সাদা রঙের পাজামা-পাঞ্জাবি পরতেন।
তিন বছর আগে স্ট্রোক করে বাবা শয্যাশায়ী হলেন। তার পরও আমাদের কাছে সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিল। বিপত্তি হলো গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাবার ডিমনেশিয়া হয়ে গেলে। তিনি এখন আর কাউকে চিনতে পারেন না। এমনকি অনেক সময় নিজেকেও চিনতে পারেন না। বাবা আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনার নাম কী, বাড়ি কই! বেশির ভাগ সময় আমাদের বাবার প্রশ্ন থাকেÑএইটা কার বাড়ি, এত সুন্দর। সেই বাবা কখনো আমাকে ভোলেন না। সকাল হোক কিংবা দুপুর অথবা বিকাল, বাবা আমাকে দেখলেই বলেন, কিছু খাইছ, মুখটা শুকনো লাগতেছে, একটু ভাত খেয়ে নাও। কখনো যদি বুঝতে পারেন আমি বাইরে বের হচ্ছি, বাবা স্পষ্ট করে বলেন, পাঞ্জাবির পকেট থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে যাও, রোদের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করিয়ো না। আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত ভালো। এখানে আমরা বাবার কোলে জন্মের পর থেকে বাবা যত দিন বেঁচে থাকেন রাজকন্যা হয়ে থাকি। আমাদের দেশে দু-একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া, সব বয়সী মানুষের কাছে বাবার বয়সী মানুষ সম্মানের, শ্রদ্ধার, ভালবাসার। বাবারা সন্তানের ভবিষ্যৎ আর সংসার সুন্দর রাখতে হয়তো অনেক সময় ছেলেমেয়ের কাছে থাকার সময় কম পান। কিন্তু তাদের স্বপ্ন, ধ্যান-ধারণা শুধু আপন সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো করা, উজ্জ্বল করা। তাই আমাদের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে বাবা দিবস হোক প্রতিদিন। আমার বাবাসহ পৃথিবীর সকল বাবা সুখে থাকুন। শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রম নয়, বাবাদের ঠিকানা হোক সন্তানের বুক। আমি আমার নিজের উপলব্ধি থেকে বলছি, আমার বাবা শারীরিকভাবে এতটা অসুস্থ যে নিজে কোনো প্রকার নড়াচড়া করতে পারেন না, তার পরও বাবা মানে সাহস, বাবা মানে ভরসা। বাবা মানে যত সমস্যা আসুক আমার জীবনে ভয় পাই না, বাবা আছেন। বাবা, আমি তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।
তিন বছর আগে স্ট্রোক করে বাবা শয্যাশায়ী হলেন। তার পরও আমাদের কাছে সবকিছু আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিল। বিপত্তি হলো গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাবার ডিমনেশিয়া হয়ে গেলে। তিনি এখন আর কাউকে চিনতে পারেন না। এমনকি অনেক সময় নিজেকেও চিনতে পারেন না। বাবা আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আপনার নাম কী, বাড়ি কই! বেশির ভাগ সময় আমাদের বাবার প্রশ্ন থাকেÑএইটা কার বাড়ি, এত সুন্দর। সেই বাবা কখনো আমাকে ভোলেন না। সকাল হোক কিংবা দুপুর অথবা বিকাল, বাবা আমাকে দেখলেই বলেন, কিছু খাইছ, মুখটা শুকনো লাগতেছে, একটু ভাত খেয়ে নাও। কখনো যদি বুঝতে পারেন আমি বাইরে বের হচ্ছি, বাবা স্পষ্ট করে বলেন, পাঞ্জাবির পকেট থেকে রিকশা ভাড়া নিয়ে যাও, রোদের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করিয়ো না। আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা অত্যন্ত ভালো। এখানে আমরা বাবার কোলে জন্মের পর থেকে বাবা যত দিন বেঁচে থাকেন রাজকন্যা হয়ে থাকি। আমাদের দেশে দু-একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া, সব বয়সী মানুষের কাছে বাবার বয়সী মানুষ সম্মানের, শ্রদ্ধার, ভালবাসার। বাবারা সন্তানের ভবিষ্যৎ আর সংসার সুন্দর রাখতে হয়তো অনেক সময় ছেলেমেয়ের কাছে থাকার সময় কম পান। কিন্তু তাদের স্বপ্ন, ধ্যান-ধারণা শুধু আপন সন্তানের ভবিষ্যৎ ভালো করা, উজ্জ্বল করা। তাই আমাদের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে বাবা দিবস হোক প্রতিদিন। আমার বাবাসহ পৃথিবীর সকল বাবা সুখে থাকুন। শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রম নয়, বাবাদের ঠিকানা হোক সন্তানের বুক। আমি আমার নিজের উপলব্ধি থেকে বলছি, আমার বাবা শারীরিকভাবে এতটা অসুস্থ যে নিজে কোনো প্রকার নড়াচড়া করতে পারেন না, তার পরও বাবা মানে সাহস, বাবা মানে ভরসা। বাবা মানে যত সমস্যা আসুক আমার জীবনে ভয় পাই না, বাবা আছেন। বাবা, আমি তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।