এক বছরের মধ্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায় বিএনপি ও ইসলামি দল

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ১০:৪৬ , চলতি সংখ্যা
১৪ দল মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চিন্তাচেতনা-বিরোধী শক্তির দিক থেকে বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করছে। এ পর্যায়ে তারা শক্তি সঞ্চয় করছে এবং সুসংগঠিত, পরিকল্পিত হামলা পরিচালনায় তারা দীর্ঘ সময় নেবে না। দেশি একশ্রেণির শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, অর্থ পাচারকারী তাদের গোপনে অর্থায়ন করছে। যাদের পেছনে পশ্চিমা আধিপত্যবাদী শক্তির মদদ রয়েছে বলে দেখানোর পরিকল্পিত প্রয়াসও চালানো হচ্ছে।
নির্বাচন-পরবর্তী ১৪ দলের শরিকদের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা বিএনপি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দেশে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ করেন। এ পর্যায়ে তারা ছোট ছোট অহিংস শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ব্যাপক জনগণকে সম্পৃক্ত করবে। জনমত সংগঠিত করা ও তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং পরবর্তী ধাপেই তারা আসল রূপে নিজেদের প্রকাশ ঘটাবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দলের পক্ষ থেকেও স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন চাওয়া হয়। ১৪ দলের বৈঠকে এবং পরবর্তীতে শরিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতারা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। যেখানে বিএনপি ও তার সহযোগীদের মোকাবিলায় সম্ভাব্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। জোট, দলগতভাবে নিজেদের পাল্টা কর্মসূচি নেওয়ার চেয়েও অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয় বিএনপির সঙ্গে তার সহযোগীদের, বিশেষ করে বামপন্থী ও ইসলামি দলগুলোর দূরত্ব সৃষ্টি করার ওপর। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যেসব মহল থেকে তারা আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা পাচ্ছে, তা চিহ্নিত করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রায় অর্ধশত আমদানি-রফতানিকারক, শিল্পপতি, ব্যবসায়ীর তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। আন্ডার এনভয়েজিং ও ওভার এনভয়েজিংয়ের মাধ্যমে পাচার করা অর্থ রাজনৈতিক অসদুদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমেও তারা লন্ডনে এবং বাংলাদেশে সংশ্লিষ্টদের কাছে অর্থ পাঠায়। ওয়েস রেকর্ড ও অন্য মাধ্যমে অর্থ প্রেরক ও প্রাপকদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। জার্মানি, ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান থেকেই অধিকাংশ অর্থ আসে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে ব্রিটেন সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মহল যোগাযোগ রাখছে এবং তথ্য বিনিময় করছে। এদিকে বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রম সফলভাবেই এগোচ্ছে। বামপন্থীরা আদর্শিক কারণে বিএনপি-জামায়াতসহ দক্ষিণপন্থী, ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করছে। জামায়াত ও বিএনপির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রক্ষাকারী কোনো কোনো ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনের সম্পর্কের ব্যাপারে তারা বিএনপিকে সতর্ক করেছে। কিন্তু বিএনপির নির্লিপ্ততা তাদেরকে হতাশ ও উদ্বিগ্ন করছে। যে কারণে বামপন্থীরা তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যেতেই আগ্রহী নয়। যদিও ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সংগঠিত করে জোরালো আন্দোলনে আগ্রহী। বিএনপি ও উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সমঝোতা এবং আগামী এক বছরের মধ্যে তাদের সরকার পতন ঘটানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়ে বামপন্থীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041