
নিউইয়র্ক সিটি করপোরেশনের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন আমাদের স্পষ্ট মিশন ছিল : জননিরাপত্তা রক্ষা, যত দ্রুত সম্ভব অর্থনীতি পুনর্নির্মাণ এবং শহরকে নিউইয়র্কবাসীর জন্য আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা। আর বাসযোগ্যতার চাবিকাঠি হলো সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন। নিউইয়র্কবাসী যেনো খুব সহজেই একটি সুখী পরিবার ও জীবন গড়ে তুলতে পারেন- এটিই আমাদের মৌলিক নীতি। সাধারণভাবে বলতে গেলেÑ মানুষ যেনো তাদের পছন্দের শহরে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই শহরে মানুষের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ব্যবস্থা নেই।’
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অফ হাউজিং প্রিজারভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ২০২৩ হাউজিং অ্যান্ড ভ্যাকেন্সি সার্ভে অনুযায়ী, শহরে খোলা জায়গার হার মাত্র ১.৪ শতাংশ, যা ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন। আরও আবাসন নির্মাণ করাই বাড়ি সহজপ্রাপ্য ও ভাড়া কমানোর একমাত্র উপায়। আরও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরি করতে অবশ্যই সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে এবং প্রতিটি অংশীদারকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শুরু করে আশ্রয়প্রার্থী সংকট পর্যন্ত প্রতিটি প্রয়োজনে সামনের সারিতে রয়েছে তারা। সবচেয়ে বেশি অভাবীদের জন্য উপাসনালয়গুলো সর্বদা তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। এখন তারা অতি প্রয়োজনীয় সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। যাইহোক, পুরোনো এবং প্রাচীন জোনিং আইন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসায় উপাসনালয়গুলোকে ‘না’ বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দিন শেষ।
আমাদের শহরকে অবশ্যই ‘না’ বলা বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে ‘হ্যাঁ’: গডস ব্যাকইয়ার্ডে হাউজিংয়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হাউজিং-সমর্থক পরিকল্পনা ‘সিটি অফ ইয়েস’ প্ল্যানের অধীনে আমরা প্রতিটি মহল্লায়/পাড়ায় একটু বেশি আবাসন তৈরি করার জন্য প্রাচীন জোনিং নিয়মগুলো দূর করাসহ আমাদের প্রতিটি টুল ব্যবহার করছি। এর অর্থ হলোÑ আমাদের উপাসনালয়গুলোকে তাদের ক্যাম্পাসে বাড়ি তৈরি করার নমনীয়তা, ধর্মীয় সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন বড় লটে অতি-প্রয়োজনীয় তিন থেকে পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরির অনুমতি এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয়গুলোকে তাদের সাইটে অব্যবহৃত জমি উন্নয়নের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
আমাদের জোনিং নিয়মের এই পরিবর্তনগুলো ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে রাজস্ব উৎপাদন, পাঁচটি ব্যরোজুড়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন বাড়াতে এবং সভাসমাবেশের জন্য নতুন স্থাপনা তৈরি করতে সাহায্য করবে। আসছে এপ্রিলে আমাদের ‘সিটি অফ ইয়েস ফর হাউজিং অপরচুনিটি’ পরিকল্পনা জনসাধারণের পর্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং সিটি কাউন্সিল এ বছরের শেষ নাগাদ এতে ভোট দেবে।
যদিও ‘সিটি অফ ইয়েস’ পরিকল্পনার সাথে শহর পর্যায়ে আমরা যা করতে পারি তা করছি, আমাদের অঙ্গরাজ্যকেও এজন্য কাজ করতে হবে। এই মুহুর্তে অঙ্গরাজ্য নেতারা আলবেনিতে একটি বাজেট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণের জন্য একটি নতুন প্রণোদনা এবং অফিস থেকে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য একটি ট্যাক্স ইনসেনটিভ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমাদের সঙ্গে তাদের চুক্তির প্রয়োজন। এছাড়াও আমাদের অঙ্গরাজ্যকে প্রাচীন এফএআর ক্যাপ বাতিল করতে হবে, যা আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে আরও আবাসন তৈরি করার অনুমতি দেবে। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটিকে বিদ্যমান বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টগুলো বৈধ করার ক্ষমতা দেবে, যাতে তারা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মান পূরণ করতে পারে। অবশেষে ‘ধর্মভিত্তিক সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন আইন’ পাস করার জন্য আমাদের আলবানির প্রয়োজন, যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলে।
এই লড়াইটা আমার ব্যক্তিগত। আমি জানি আবাসনের নিরাপত্তা ছাড়া বাঁচতে কেমন লাগে, কারণ আমি গৃহহীণতার প্রান্তে বড় হয়েছি। আমার ভাইবোন এবং আমাকে জামাকাপড় ভর্তি ট্র্যাশ ব্যাগ স্কুলে নিয়ে যেতে হয়েছিল কারণ আমরা জানতাম না পরের রাতে কোথায় ঘুমাবো। এটা বাঁচার উপায় না।
অনেক নিউইয়র্কবাসী আছেন যারা খুব পছন্দের এই শহরে বসবাস করতে চান অথচ তাদের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। ডক্টর মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র জানতেন সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজ জানি, এটি আমাদের শহরের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডক্টর লুথার কিং-ই বাড়িওয়ালা ও রিয়েলটরদের বৈষম্যমূলক আচরণ পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের এই আচরণের কারণে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের নির্দিষ্ট কিছু বসতির বাইরে রেখেছিল। ডক্টর লুথার কিং-ই ‘ফেয়ার হাউজিং অ্যাক্টের’ পক্ষে ওকালতি করেছিলেন। অবশেষে তার হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর কংগ্রেস যুগান্তকারী আইনটি পাস করেছিল।
কিন্তু সেই বুলেটেই তার জীবনের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। সমস্ত নিউইয়র্কবাসী যাতে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা, নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তির সাথে বাঁচতে পারে, আমরা আজও এর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি ।
নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অফ হাউজিং প্রিজারভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ২০২৩ হাউজিং অ্যান্ড ভ্যাকেন্সি সার্ভে অনুযায়ী, শহরে খোলা জায়গার হার মাত্র ১.৪ শতাংশ, যা ১৯৬৮ সালের পর সর্বনিম্ন। আরও আবাসন নির্মাণ করাই বাড়ি সহজপ্রাপ্য ও ভাড়া কমানোর একমাত্র উপায়। আরও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরি করতে অবশ্যই সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে এবং প্রতিটি অংশীদারকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শুরু করে আশ্রয়প্রার্থী সংকট পর্যন্ত প্রতিটি প্রয়োজনে সামনের সারিতে রয়েছে তারা। সবচেয়ে বেশি অভাবীদের জন্য উপাসনালয়গুলো সর্বদা তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। এখন তারা অতি প্রয়োজনীয় সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন তৈরিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়। যাইহোক, পুরোনো এবং প্রাচীন জোনিং আইন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে চলে আসায় উপাসনালয়গুলোকে ‘না’ বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দিন শেষ।
আমাদের শহরকে অবশ্যই ‘না’ বলা বন্ধ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে ‘হ্যাঁ’: গডস ব্যাকইয়ার্ডে হাউজিংয়ে ‘হ্যাঁ’ বলতে হবে। শহরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হাউজিং-সমর্থক পরিকল্পনা ‘সিটি অফ ইয়েস’ প্ল্যানের অধীনে আমরা প্রতিটি মহল্লায়/পাড়ায় একটু বেশি আবাসন তৈরি করার জন্য প্রাচীন জোনিং নিয়মগুলো দূর করাসহ আমাদের প্রতিটি টুল ব্যবহার করছি। এর অর্থ হলোÑ আমাদের উপাসনালয়গুলোকে তাদের ক্যাম্পাসে বাড়ি তৈরি করার নমনীয়তা, ধর্মীয় সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন বড় লটে অতি-প্রয়োজনীয় তিন থেকে পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরির অনুমতি এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাসনালয়গুলোকে তাদের সাইটে অব্যবহৃত জমি উন্নয়নের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
আমাদের জোনিং নিয়মের এই পরিবর্তনগুলো ধর্মীয় গ্রুপগুলোকে রাজস্ব উৎপাদন, পাঁচটি ব্যরোজুড়ে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন বাড়াতে এবং সভাসমাবেশের জন্য নতুন স্থাপনা তৈরি করতে সাহায্য করবে। আসছে এপ্রিলে আমাদের ‘সিটি অফ ইয়েস ফর হাউজিং অপরচুনিটি’ পরিকল্পনা জনসাধারণের পর্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং সিটি কাউন্সিল এ বছরের শেষ নাগাদ এতে ভোট দেবে।
যদিও ‘সিটি অফ ইয়েস’ পরিকল্পনার সাথে শহর পর্যায়ে আমরা যা করতে পারি তা করছি, আমাদের অঙ্গরাজ্যকেও এজন্য কাজ করতে হবে। এই মুহুর্তে অঙ্গরাজ্য নেতারা আলবেনিতে একটি বাজেট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণের জন্য একটি নতুন প্রণোদনা এবং অফিস থেকে আবাসিকে রূপান্তরের জন্য একটি ট্যাক্স ইনসেনটিভ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমাদের সঙ্গে তাদের চুক্তির প্রয়োজন। এছাড়াও আমাদের অঙ্গরাজ্যকে প্রাচীন এফএআর ক্যাপ বাতিল করতে হবে, যা আমাদের আবাসিক এলাকাগুলোতে আরও আবাসন তৈরি করার অনুমতি দেবে। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটিকে বিদ্যমান বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টগুলো বৈধ করার ক্ষমতা দেবে, যাতে তারা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মান পূরণ করতে পারে। অবশেষে ‘ধর্মভিত্তিক সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন আইন’ পাস করার জন্য আমাদের আলবানির প্রয়োজন, যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নির্মাণের জন্য ‘হ্যাঁ’ বলে।
এই লড়াইটা আমার ব্যক্তিগত। আমি জানি আবাসনের নিরাপত্তা ছাড়া বাঁচতে কেমন লাগে, কারণ আমি গৃহহীণতার প্রান্তে বড় হয়েছি। আমার ভাইবোন এবং আমাকে জামাকাপড় ভর্তি ট্র্যাশ ব্যাগ স্কুলে নিয়ে যেতে হয়েছিল কারণ আমরা জানতাম না পরের রাতে কোথায় ঘুমাবো। এটা বাঁচার উপায় না।
অনেক নিউইয়র্কবাসী আছেন যারা খুব পছন্দের এই শহরে বসবাস করতে চান অথচ তাদের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। ডক্টর মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র জানতেন সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজ জানি, এটি আমাদের শহরের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডক্টর লুথার কিং-ই বাড়িওয়ালা ও রিয়েলটরদের বৈষম্যমূলক আচরণ পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের এই আচরণের কারণে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের নির্দিষ্ট কিছু বসতির বাইরে রেখেছিল। ডক্টর লুথার কিং-ই ‘ফেয়ার হাউজিং অ্যাক্টের’ পক্ষে ওকালতি করেছিলেন। অবশেষে তার হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর কংগ্রেস যুগান্তকারী আইনটি পাস করেছিল।
কিন্তু সেই বুলেটেই তার জীবনের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। সমস্ত নিউইয়র্কবাসী যাতে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা, নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তির সাথে বাঁচতে পারে, আমরা আজও এর জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি ।