গ্রেসি ম্যানসন হয়ে উঠেছিল  একখণ্ড বাংলাদেশ 

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:২০ , চলতি সংখ্যা
নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসায় দ্বিতীয় বারের মত উদযাপিত হলো বাংলাদেশ হেরিটেজ মাস। এ উপলক্ষে গত ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। সবার সরব উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী গ্রেসি ম্যানশন হয়ে উঠেছিল একখণ্ড বাংলাদেশ। 
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে চার বাংলাদেশিকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন- তরুণ ব্যবসায়ী ও আমেরিকায় প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ও সিইও রুহিন হোসেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও গেটওয়েল মেডিকেয়ারের কর্ণধার শামীম আহমেদ এমডি, শিল্পকলা একাডেমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনিকা রায় চৌধুরী এবং ডাইনামিক ট্যাক্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আব্দুল চৌধুরী। 
অনুষ্ঠানে মেয়র অ্যাডামস বলেন, এর আগে কখনোই সিটি মেয়রের বাসায় ‘বাংলাদেশ ডে’ অথবা ‘বাংলাদেশ হেরিটেজ মাস’ উদযাপিত হয়নি। ঐতিহাসিক বউলিং গ্রিন পার্কেও ঘটা করে উড্ডীন হয়নি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হালাল খাবার এবং মসজিদের মাইকে আযান প্রচারের ব্যবস্থাও ছিল না। এখন সবকিছু ঘটছে সগৌরবে বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের আলোকে। 
মেয়র তার বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন, আমরা কাউকে বলিনা যে তারা ‘আমেরিকান বাংলাদেশি’ অথবা ‘আমেরিকান আফ্রিকান’ কিংবা ‘আমেরিকান জুইশ’, সে স্থলে বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশি আমেরিকান’, ‘আফ্রিকান  আমেরিকান’, ‘জুইশ আমেরিকান’, ‘ভারতীয় আমেরিকান’ ইত্যাদি। অর্থাৎ নিজ নিজ মাতৃভূমিকে স্বীকৃতি দিয়েই এই সিটি তথা সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীগণের রক্ত-ঘামকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। মেয়র এই সিটির উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাঙালিদের মেধা আর শ্রম বিনিয়োগেরও প্রশংসা করেছেন। 
মেয়র এরিক অ্যাডামসের উদ্যোগে শুরু হওয়া বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যের মাস উদযাপনের এটি ছিল দ্বিতীয় বার্ষিক অনুষ্ঠান। কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী আড়াই শতাধিক প্রবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে। আড়াই ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে ছিল মজাদার বাঙালি খাবার। এসব খাবারের মধ্যে ছিল বাংলাদেশি মালিকানাধীন আমানি হসপিটালিটি গ্রুপের চিকেন বিরিয়ানি, ললিপপ চিকেন, গোবি মানচুরিয়ান ও ভেজিটেবল সিঙ্গারা এবং জাফরান গ্রিল-এর নানান ধরনের পিঠা ও পায়েশ। 
সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তার বক্তব্যে বহুজাতিক এই সমাজকে আরো বৈচিত্রমণ্ডিত করতে অন্যান্য কমিউনিটির মত বাংলাদেশিরাও অপরিসীম অবদান রাখছেন বলে উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়রের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশারের নির্দেশনা ও সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য জেনিফার রাজকুমার, মেয়রের চিফ অ্যাডভাইজার ইংগ্রিড লুইস মারটিন বক্তব্য দেন। নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট জুমানি উইলিয়ামস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
অ্যাসেম্বলি সদস্য জেনিফার রাজকুমার তার বক্তব্যে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। তিনি নিজেকে বাঙালি জনগোষ্ঠির বিশ্বস্ত একজন প্রতিনিধি হিসাবেও উল্লেখ করেন। একইসাথে মেয়র এরিক এডামসের ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটির জন্য দরদী মনোভাবেরও প্রশংসা করেছেন জেনিফার রাজকুমার।
বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার বক্তব্য শুরু করেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে। একইসাথে তিনি স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রম হারানো দুলাখের অধিক নারীকে। কন্সাল জেনারেল জাতীয় চারনেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের কথাও স্মরণ করেন। কারণ তাদের চরম আত্মত্যাগের মধ্যদিয়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এই সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা তাদের আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে আমেরিকাকে আরো সমৃদ্ধশালী করতেও অবদান রেখে চলেছেন। নাজমুল হুদা সিটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান বাঙালি ঐতিহ্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করায়।
অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক, লোকসঙ্গীত ও বাংলা ব্যান্ডের গান শোনান রিভারটেল সিইও রুহিন হোসেন ও রুদ্রনীল। এর আগে নতুন প্রজন্মের শিশুরা নৃত্য পরিবেশন করে। 
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মূলধারার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ,  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রানো নেওয়াজ, মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ আলী, আমিন মেহেদী, জামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মেয়রের সাউথ এশিয়ান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফাহাদ সোলায়মান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভালো’র প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার রহমান, ঠিকানার সিওও মুশরাত শাহীন, খলিল গ্রুপসের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, আশা হোমকেয়ারের সিইও আকাশ রহমান ও চেয়ারম্যান এশা রহমান, লায়ন রকি আলিয়ান, মোহাম্মদ কাশেম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট এম এ ইসলাম মামুন, বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ও ডিটেক্টিভ স্কোয়াডের সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্যাপ্টেন একেএম আলম প্রিন্স, মিডিয়া লিয়াজোঁ ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি, ডিটেকটিভ মাসুদুর রহমান, কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সার্জেন্ট আব্দুল লতিফ, টাইম টিভির সিইও আবু তাহের, টিবিএন টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সিইও আহমদুল বারোভূঁইয়া পুলক, মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ সংবাদদাতা মুজিব মাসুদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট খবির উদ্দিন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, ইব্রাহিম বারো ভূঁইয়া, ফরিদা ইয়াসমীন ও আব্দুস সামাদ জাকারিয়া। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078