
'পথিক পথ হারাইয়াছে' উপন্যাসে পথিক পথ হারায়। রাজনীতিতেও পথ হারানোর গল্প আছে। কখনো দল পথ হারায়, কখনো নেতা পথ হারায়। জনগণ পথ না হারালেও দল ও নেতার ফলোয়ার হয়ে মানুষও অসহায়ের মতো পথ হারায়। তাদের অধিকাংশ সময়েই পথ হারাতে হয়। করার কিছুই থাকে না। মাশুল দিতে হয় অনেক বেশি। কেননা কোনো দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে ক্ষমতাসীন, ক্ষমতাধর অনেকের যোগাযোগ থাকে। খারাপ সময়ে একে অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারেন। সাধারণ সদস্যদের উপরতলার মানুষের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ থাকে না। তাই তাদের মাশুল গুনতে হয় সব সময়।
আজ এখানে এসব কথা বলার একটা কারণ রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সংখ্যা ঠিকানার দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিবেদনের শিরোনাম: 'বিএনপি-কোথায় ছিল, তা বেশ বুঝতে পারা যায়।
পির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধানে'। প্রতিবেদনটির অর্থ এটাই দাঁড়ায়, বিএনপি এত দিন যে পথ ধরে আন্দোলন করে সাফল্যের আশা করে আসছিল, সে পথ যে ভুল ছিল, সেটা অনুধাবণ করতে পেরেই আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধান করছেন। তারা বেশ বুঝতে পারছেন, এত দিন তারা রাজ- নীতির ভুল পথে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। সে পথ ত্যাগ করে এখন তারা সঠিক একটি পথ খুঁজছেন, যে পথে দেশের মানুষের সমর্থন রাজ- নীতির মাঠে সফল হবে। সে কারণেই মিডিয়ায় বিএনপিকে নিয়ে প্রতিদিনই খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে। সব সংবাদই যে বিএনপির বিরুদ্ধে, তা নয়। দেশের সরকারি দল এবং বিরোধী দল, দুটি দলই যার যার বাউন্ডারির মধ্যে থেকে জাতীয় স্বার্থ মেনে কাজ করে যাবে, সেটাই যেকোনো লেখার উদ্দেশ্য।
ঠিকানার ২৪ জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত 'বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধানে' সংবাদটিতে যা বলা হয়েছে, রাজনীতির ইতিহাসে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, 'দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণ রাজ- নীতিবিদদের মূল্যায়ন না করে, তাদের বুদ্ধি- পরামর্শের তোয়াক্কা না করে অনভিজ্ঞ, অপরিপক্ক তরুণ নেতৃত্বের কাছে ধরাশায়ী হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী। পথহারা বিএনপির শীর্ষস্থানীয়, কেন্দ্রীয় বা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানেন না, কী তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য? কোথায় তাদের পথচলার শেষ ঠিকানা। অভ্যন্তরীণভাবে দেশের মানুষকে বিএনপি তার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মাঠে নামাতে পারেনি।' তাই ধরে নেওয়া যায়, বিএনপির আন্দোলনে দলমত এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা আমরা জানি, সব ভুলেরই মাশুল গুনতে হয় সংশ্লিষ্টদের। বিএনপিকেও সেই মাশুল গুনতে হচ্ছে। বেশিই গুনতে হচ্ছে, কেননা রাজ- নীতিতে ভুল হলে তার মাশুল অনেক বেশি করে গুনতে হয়। বিএনপি দল হিসেবে ভুগছে তা হলো নেতৃত্বের দুর্বলতা। একটি দলের প্রধান যে শক্তি, বিএনপিতে আজ সেই শক্তি দারুণভাবে অনুপস্থিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আজ বিএনপি দলের অভ্যন্তরে যে হযবরল অবস্থা, তার সবচেয়ে বড় কারণ নেতৃত্বের দুর্বলতা। নেতৃত্বে বিএনপির এমন দুর্বলতাই দলের কর্মসূচি বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ বলে মনে করা হয়। কোনো দুর্বলতা নিয়ে রাজনৈতিক দলের সফল হওয়ার সুযোগ খুব কমই থাকে। আমরা চাই বিএনপি তার ভুলত্রুটি কাটিয়ে উঠে সঠিক ভূমিকা রাখুক।
আজ এখানে এসব কথা বলার একটা কারণ রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সংখ্যা ঠিকানার দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিবেদনের শিরোনাম: 'বিএনপি-কোথায় ছিল, তা বেশ বুঝতে পারা যায়।
পির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধানে'। প্রতিবেদনটির অর্থ এটাই দাঁড়ায়, বিএনপি এত দিন যে পথ ধরে আন্দোলন করে সাফল্যের আশা করে আসছিল, সে পথ যে ভুল ছিল, সেটা অনুধাবণ করতে পেরেই আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধান করছেন। তারা বেশ বুঝতে পারছেন, এত দিন তারা রাজ- নীতির ভুল পথে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। সে পথ ত্যাগ করে এখন তারা সঠিক একটি পথ খুঁজছেন, যে পথে দেশের মানুষের সমর্থন রাজ- নীতির মাঠে সফল হবে। সে কারণেই মিডিয়ায় বিএনপিকে নিয়ে প্রতিদিনই খবরাখবর প্রকাশিত হচ্ছে। সব সংবাদই যে বিএনপির বিরুদ্ধে, তা নয়। দেশের সরকারি দল এবং বিরোধী দল, দুটি দলই যার যার বাউন্ডারির মধ্যে থেকে জাতীয় স্বার্থ মেনে কাজ করে যাবে, সেটাই যেকোনো লেখার উদ্দেশ্য।
ঠিকানার ২৪ জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত 'বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন পথের সন্ধানে' সংবাদটিতে যা বলা হয়েছে, রাজনীতির ইতিহাসে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, 'দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণ রাজ- নীতিবিদদের মূল্যায়ন না করে, তাদের বুদ্ধি- পরামর্শের তোয়াক্কা না করে অনভিজ্ঞ, অপরিপক্ক তরুণ নেতৃত্বের কাছে ধরাশায়ী হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী। পথহারা বিএনপির শীর্ষস্থানীয়, কেন্দ্রীয় বা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানেন না, কী তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য? কোথায় তাদের পথচলার শেষ ঠিকানা। অভ্যন্তরীণভাবে দেশের মানুষকে বিএনপি তার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মাঠে নামাতে পারেনি।' তাই ধরে নেওয়া যায়, বিএনপির আন্দোলনে দলমত এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা আমরা জানি, সব ভুলেরই মাশুল গুনতে হয় সংশ্লিষ্টদের। বিএনপিকেও সেই মাশুল গুনতে হচ্ছে। বেশিই গুনতে হচ্ছে, কেননা রাজ- নীতিতে ভুল হলে তার মাশুল অনেক বেশি করে গুনতে হয়। বিএনপি দল হিসেবে ভুগছে তা হলো নেতৃত্বের দুর্বলতা। একটি দলের প্রধান যে শক্তি, বিএনপিতে আজ সেই শক্তি দারুণভাবে অনুপস্থিত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আজ বিএনপি দলের অভ্যন্তরে যে হযবরল অবস্থা, তার সবচেয়ে বড় কারণ নেতৃত্বের দুর্বলতা। নেতৃত্বে বিএনপির এমন দুর্বলতাই দলের কর্মসূচি বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ বলে মনে করা হয়। কোনো দুর্বলতা নিয়ে রাজনৈতিক দলের সফল হওয়ার সুযোগ খুব কমই থাকে। আমরা চাই বিএনপি তার ভুলত্রুটি কাটিয়ে উঠে সঠিক ভূমিকা রাখুক।