'আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রাজা নন'

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫০ , চলতি সংখ্যা
'নানাবাড়ির আবদার' বলে বাংলায় একটি প্রবাদ আছে। কেউ যদি অন্যায়, অযৌক্তিক অতিরিক্ত দাবি করে বসে, তখন তাকে সংশ্লিষ্ট অনেকে সঙ্গে সঙ্গে বলে বসবেন, 'নানাবাড়ির আবদার আর কি।' বাড়িঘর থেকে শুরু করে রাজনীতির অঙ্গন পর্যন্ত 'নানাবাড়ির আবদার' প্রবাদটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রবাদটি এই পরিসরে ব্যবহার করা হচ্ছে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প 'কমপ্লিট অ্যান্ড টোটাল প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটি' দাবি করে বসেছেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বিজয় দাবি করেন।
বিভিন্ন স্টেটে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষকে তাকে বিজয়ী ঘোষণার দাবিতে চাপ প্রয়োগ করা, ক্যাপিটল হিলে ৬ জানুয়ারির দাঙ্গার পেছনে উসকানি দেওয়া, সাম্প্রদায়িক উসকানি দান ইত্যাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যেসব ভয়ংকর ভয়ংকর মামলা হয়েছে, সেসব অভিযোগ ও মামলা থেকে তিনি 'কমপ্লিট অ্যান্ড টোটাল ইমিউনিটি' দাবি করে বসেছেন। ট্রাম্পের দাবি শুনে একজন অধ্যাপক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে হাসতে না পারলেও তিনি গম্ভীর কণ্ঠে যা বলেছেন সকলের বিবেচনার জন্য, সেটা এখানে তুলে ধরা হচ্ছে। সেই অধ্যাপক ও বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন মাইকেল গারহাউট। তিনি বলেছেন, 'আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রাজা নন।' এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, 'আপিল কোর্টের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে নির্বাচনী হস্তক্ষেপ ফেডারেল মামলা খারিজপ্রত্যাশী ট্রাম্প ফক্স নিউজ হোস্ট সিয়ান হ্যানিটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে 'কমপ্লিট অ্যান্ড টোটাল প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটি' দাবি করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দপ্তর ত্যাগের পর তাদের টোটাল ইমিউনিটি না থাকলে তারা বলিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, দপ্তর ত্যাগের পর অভিযুক্ত হওয়ার ভয় না থাকলে আমেরিকার
প্রেসিডেন্টগণ বলিষ্ঠতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রাম্পের আশাবাদ হচ্ছে, আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টও তার প্রত্যাশামতোই রুলিং প্রদান করবেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ইমিউনিটি না থাকলে প্রেসিডেন্টগণ সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে কেবল তারা নিজ নিজ দপ্তর পাহারা দেবেন। তার বাইরে তারা কিছু করতে সর্বদা ভীত থাকবেন। কিন্তু অধ্যাপক গারহার্ডট বলেন, প্রেসিডেন্টগণ ইমিউনিটিপ্রাপ্ত হলে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে। গণতন্ত্রের দাবি করা কোনো রাষ্ট্রই কারও 'টোটাল ও কমপ্লিট ইমিউনি-টি' দাবি করতে পারে না। সে রকম কোনো রাষ্ট্র হলে সে রাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছুই থাকবে না। নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলায় ভরে উঠবে। গারহার্ডট সে কারণেই মনে করেন, প্রেসিডেন্টদের টোটাল এবং কমপ্লিট ইমিউনিটি দেওয়া যায় না। তাহলে সেই রাষ্ট্রে শান্তি বলে আর কিছু থাকবে না। 'টোটাল ও কমি প্লট ইমিউনিটি' না থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা নিয়ে যা দেখিয়েছেন, তাতে তিনি যে এবার ইমিউনিটির দাবি তুলেছেন, সে দাবি পূরণ হলে এবং ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমেরিকানদের কপালে ও বিশ্বের ললাটে কী লেখা আছে, কে জানে?
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078