প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪

ইমিগ্র্যান্টরা আমেরিকার রক্তকে বিষাক্ত করছে : ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫২ , চলতি সংখ্যা
বিশ্ব অভিবাসী বা ইমিগ্র্যান্টদের শ্রম-ঘামে গড়ে ওঠা আধুনিক বিশ্বের তিলোত্তমা হিসেবে স্বীকৃত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের স্থলে তাদের প্রতি কৃতঘ্ন আচরণ ও প্রকাশ্য বিষোদগার করেছেন। আফ্রিকা, এশিয়া এবং সারা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ইমিগ্র্যান্ট বা অভিবাসীদের অবদানের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনকালে রিপাবলিকান দলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ইমিগ্র্যান্টরা আমেরিকার রক্তকে বিষাক্ত করেছে। রিপাবলিকান দলীয় ফ্রন্ট রানার ট্রাম্প ১৬ ডিসেম্বর শনিবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডারহামে  অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, হাঙ্গেরির ভিক্টর অর্বান, চীনের শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের প্রশংসা করলেও ইমিগ্র্যান্টদের নিষ্ঠুর ভাষায় গালমন্দ করেন।
বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগত অভিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি ট্রাম্পের বিষোদগারপূর্ণ বক্তব্যে অ্যাডলফ হিটলারের অভিবাসীবিরোধী মনোবৃত্তি প্রতিধ্বনিত হয়েছে বলে দাবি করেন সমালোচকেরা। ট্রাম্পের বারবার উচ্চারিত ‘poisoning the blood’ প্রসঙ্গে সমালোচকেরা আরও বলেন, শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী এবং হিটলার এ ধরনের শব্দাবলি চয়ন করতেন। তারা বলেন, হিটলার নিজের ‘Mein Kampf’ বইয়ে ব্লাড পয়জনিং বা রক্ত বিষাক্তকরণ সম্পর্কে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
স্মর্তব্য, ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্প ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী অনেক কঠোর ও অমানবিক আইন-কানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারে ভেটারনস ডে র‌্যালিতে উগ্রবাদী ট্রাম্প তার সকল বিরোধীর সমূল উৎপাটনেরও শপথ উচ্চারণ করেন। ট্রাম্পের বর্ণবাদী এবং অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন রিপাবলিকান দলীয় সম্ভাব্য অন্য প্রার্থীরা। এদিকে ক্ষমতাসীন ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। অবশ্য তিনটি স্টেট এবং ওয়াশিংটন স্টেটে রুজুকৃত ৯১ মামলায় ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

ট্রাম্পের বিরূপ মন্তব্যে অস্বস্তিতে অভিবাসীরা
বিদেশিদের প্রতি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরূপ মনোভাবের কারণে অস্বস্তিতে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসীরা। জেনোফোবিক (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) মতাদর্শের ট্রাম্প এখন পর্যন্ত অভিবাসীদের প্রতি বর্ণবাদী এবং ঘৃণ্য মনোভাবই পোষণ করেন। তার দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসাটা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য মোটেও সুখবর বয়ে আনবে না। 
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অভিবাসনবিরোধী একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যেতে পারলে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ এবং বৈধ অভিবাসন নীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের ধারণা অবৈধ বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ত খারাপ করছে। গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডারহাম শহরে এক প্রচারণা সমাবেশে বিদেশিদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে তিনি মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এ সময় তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিষিদ্ধ ও বৈধ অভিবাসনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘ওরা (অনিবন্ধিত অভিবাসী) আমাদের দেশের রক্ত বিষাক্ত করে তুলছে। দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও এশিয়া, আফ্রিকাসহ সারা বিশ্ব থেকে তারা আমাদের দেশে আসছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে জেতার পর কী হবে-আপনারা তা জানেনই। দলে দলে মানুষ দেশ ছেড়ে পালাতে থাকবে। আমরা কিছু করার আগেই বন্যার পানির মতো চলতে থাকবে এরা। তারা দেশ ছেড়ে পালাবে কারণ তারা বুঝতে পারবে ট্রাম্প আবার আগের মতো নীতিতে ফিরে যাবেন। সন্ত্রাসী দেশ থেকে ভ্রমণ ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আমি অবৈধদের জন্য কঠোর হবো। আপনি যদি আমেরিকাকে ঘৃণা করেন, আপনি যদি ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চান, যদি জিহাদিদের প্রতি সমবেদনা জানান, তাহলে আমরা আপনাকে আর এ দেশে দেখতে চাই না। আমরা আপনাকে চাই না।’ 
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ডানপন্থী ওয়েবসাইট দ্য ন্যাশনাল পালসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প একই বক্তব্য দিয়েছেন। তখন অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ তার এ মন্তব্যের তিরস্কার করে। লিগের নেতা জনাথান গ্রিনব্ল্যাট এ ভাষাকে ‘বর্ণবাদী, জেনোফোবিক এবং অত্যন্ত ঘৃণ্য’ বলে আখ্যা দেন। 
অভিবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের এহেন বিরূপ মনোভাব ও বক্তব্যের জেরে অনেকের মনেই আবারও নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে আতঙ্ক।
এ বিষয়ে ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং ফ্যাসিবাদের ওপর একটি বইয়ের লেখক জেসন স্ট্যানলি বলেন, ‘ট্রাম্প এ ধরনের ভাষা বারবার ব্যবহার করছে, যা বিপজ্জনক। তার মতে, ট্রাম্পের কথায় নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের বক্তব্যের বেশ মিল রয়েছে।’
স্ট্যানলি আরও বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এই শব্দগুলোকে সমাবেশে বারবার ব্যবহার করছেন। বিপজ্জনক বক্তৃতার পুনরাবৃত্তি করার মাধ্যমে তিনি ব্যাপারটিকে স্বাভাবিককরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা উল্লেখিত বিষয় বাস্তবায়নের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক।’

চার কারণে ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন ট্রাম্প
আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসতে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অসাধারণ প্রত্যাবর্তন সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের মনোনয়ন ও ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তার জয়ের চারটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হারার পর নানা টালবাহানার কারণে সমালোচকরা ভেবেছিলেন ট্রাম্প আর কোনোদিন রাজনীতিতে ফিরবেন না, তিনি গ্রহণযোগ্যতাও হারিয়েছেন। এরপরও ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কফিনে একের পর এক পেরেক হিসেবে আসে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা, যৌন কেলেঙ্কারি, গোপন নথি, ভোট জালিয়াতিসহ কয়েকটি বড় বড় অভিযোগ। কিন্তু রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই তা-ই যেন প্রমাণ করছেন ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প। ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে ফের লড়ছেন তিনি, এমনকি সাম্প্রতিক জরিপগুলোর প্রায় সবকটিতেই এগিয়ে আছেন তিনি। বেশ কিছু জরিপে দেখা গেছে, সুইং অঙ্গরাজ্যগুলোতেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প বেশ এগিয়ে রয়েছেন।
এবার জাতীয় পর্যায়ের এক জরিপে ট্রাম্প তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতার মনোনয়ন দৌড়ে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ৫০ শতাংশ জনমত রয়েছে তার পক্ষে।
এই জরিপের পর বলা হচ্ছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ফিরতে পারেন ট্রাম্প। তিন বছর আগে, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক ট্রাম্পের পরাজয় ও নানামুখী অপমানের ফলে চিরতরে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তার অসাধারণ প্রত্যাবর্তন সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের মনোনয়ন ও তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে জয়ের চারটি প্রধান কারণ: 
ভোটার অসন্তোষ : জো বাইডেন সরকার জানায়, ট্রাম্প আমলের চেয়ে বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো। যুক্তি হিসেবে বেকারত্বের হার ও মুদ্রাস্ফীতিতে দেশটির উন্নয়ন তুলে ধরা হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশে বেকারত্বের হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থাকলেও তা ঐতিহাসিক সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৯ এ নেমে এসেছে। এছাড়া ২০২২ সালের জুনে দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে পৌঁছালেও অক্টোবর পর্যন্ত তা ৩ দশমিক ২ ছিল।
কিন্তু দেশটির অনেকেই বলছে, তরুণ ভোটারসহ জনগণের বড় একটি অংশ জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এক্ষেত্রে আয়ের সঙ্গে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির তুলনামূলক অস্বাভাবিক পার্থক্যকে এক্ষেত্রে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়।
বাইডেন যখন দেশটির অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেন, তখন মার্কিনিরা অর্থনৈতিক সূচক নয় বরং তাদের সামর্থ-সক্ষমতার কথা ভাবেন। মতামত জরিপগুলোতে দেখা যায়, ভোটাররা বরং রিপাবলিকান আমলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বেশি ভালো হিসেবে দেখছেন। 
মার্কিনিদের ভীতি : অর্থনীতির বাইরেও দেশটির ভোটারদের মনে নানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেমন শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব সংকট। ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সচেতন ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন ক্রমবর্ধমান বৈচিত্র্য আর সাংস্কৃতিক প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী। তাছাড়া জরিপে দেখা যায়, ভোটাররা দেশটিতে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে তারা মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক প্রবেশ নিয়েও বিচলিত।
কারণ মার্কিনিদের জীবনের মূল ভিত্তি- বাড়ির মালিকানা, মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্মানজনক মজুরি এবং কলেজ শিক্ষা বর্তমানে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্প এসব ভীতি দূর করতে বেশ পারদর্শী। যদিও তিনি নিজেকে মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার বাইরে থেকে আসা একজন হিসেবে উপস্থাপন করছেন। কিন্তু ট্রাম্প খুব ভালো ভাবেই সমস্যা তৈরি করে আবার সহজেই তা সমাধানও করতে পারেন। ট্রাম্প তার এক নির্বাচনী প্রচারণায় উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনের বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্তির একমাত্র ত্রাণকর্তা শুধু তিনি।
ট্রাম্পের ভাবমূর্তি ও সমর্থন : নিজ দলের মধ্যে থাকা অনেক সমালোচক, ডেমোক্র্যাট এবং কিছু গণমাধ্যম বিশেষ করে প্রভাবশালী সিএনএন ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের জন্য অযোগ্য মনে করে। কিন্তু দেশটির লাখ লাখ ভোটার আবার এই বিষয়ে একমত নন। তারা মনে করেন ট্রাম্প রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। চলতি বছরের শুরুর দিকে রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে অংশ নেওয়া রিপাবলিকানদের অন্তত অর্ধেকই বলেছেন, ট্রাম্পকে যেকোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তাকেই ভোট দিবেন তারা।
বাইডেনের ত্রুটি ট্রাম্পের সুযোগ : জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ-সংঘাত, বাইডেনের তৈরি করা চাকরি সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা, অবকাঠামো, ক্লিন এনার্জি এবং চিপ উৎপাদনে সরকারি বিপুল বিনিয়োগ করেও সরকারের ব্যর্থতা ট্রাম্পকে নির্বাচনী দৌঁড়ে এগিয়ে রাখবে। বিশেষ করে, জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ব দুটি (ইউক্রেন ও গাজা) বড় বড় যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে যা দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।  তবে ট্রাম্পের নিজেকে সবসময় ‘হস্তক্ষেপবিরোধী’, ‘আমেরিকা ফার্র্স্ট’ নীতিতে বিশ্বাসী হিসেবে দাবি করেন। তার এই বার্তা ইউক্রেন বা ইসরায়েলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার ভয়ে ভীত ভোটারদের রিপাবলিকান শিবিরে টানতে পারে। বিপরীতে জো বাইডেন ঐতিহ্যগতভাবে হস্তক্ষেপবাদী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারা বজায় রেখে চলেছেন।
নির্বাচনের বাকী আছে ১১ মাস। এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে হোয়াইট হাউসে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078