
রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘শ্রীভূমি’ সিলেট রূপের পসরা সাজিয়ে এখন ডাকছে পর্যটকদের, ডাকছে সৌন্দর্য্য পিপাসুদের। সিলেট মানেই চা-বাগান, পাহাড়, টিলা, ঝরনা, জলার বন আর নদী-হাওর। সিলেট মানেই আউল-বাউলের দেশ। ‘পুণ্যভূমি’ হিসেবেও রয়েছে সিলেটের আলাদা খ্যাতি। ফলে সারাদেশ তথা বিদেশি পর্যটকদের কাছেও সিলেট এখন পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
সিলেটের সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, শ্রীপুর, লালাখাল তো আছেই। বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং উপজেলাগুলোও ভ্রমণ পিয়াসুদের টার্গেট এখন। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের আকর্ষণে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন মানুষ। কিন্তু যোগাযোগ অবকাঠামোসহ অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধার অভাবে পর্যটকদের ভোগান্তিও কম হচ্ছে না। ফলে কাক্সিক্ষত অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিলেট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটের পর্যটন খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এটি অর্থনৈতিক বিকাশে আজও সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর কিংবা বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের যে ভীড় হয় বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনে- তা অবিশ্বাস্য। কিন্তু ঐ স্পটগুলোতে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়নি সেভাবে। যোগাযোগ, খাবার, নিরাপত্তা- প্রত্যেকটি ব্যাপারই হতাশাজনক।
প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে একইভাবে পর্যটকদের সমাগম ঘটে। ছুটির দিন বিজিবি ক্যাম্পের পাশের রাস্তা পার হওয়া যায় না। পাহাড়ের দুপাশের ঢালুতে টং দোকান থাকায় এ পথটি সরু হয়ে গেছে। দোকানিরা জানান, তারা নিরুপায়। বালি-পাথর আহরণ বন্ধ। তাই তারা দোকান দিয়ে বসে আছেন। মূলত এসব স্পটে তেমন শৃঙ্খলা নেই। আর শৃঙ্খলার উদ্যোগ নিলে শৃঙ্খলার নামে শুরু হয় চাঁদাবাজি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জোরালো হয়ে ওঠেছে। এক সময় জাফলংয়ে হোটেল মোটেলের তীব্র অভাব ছিল। তবে সে অভাব এখন পূরণ হতে চলেছে।
ইদানিং বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগে সিলেটে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ গড়ে উঠায় এলাকার রূপ পাল্টাতে শুরু করেছে। এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশে কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। একটি সড়কের আওতায় অন্তত ২৪টি পর্যটন স্পটকে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। অবশ্য এ উদ্যোগ কবে বাস্তবায়িত হবে তা বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিলেটের পর্যটন বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুজিবুর রহমান। তিনি সিলেট-জাফলং-সাদাপাথর-ওসমানী বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করা হলে অনেক বেসরকারি বিনিয়োগকারী পর্যটন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন বলে প্রস্তাব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার, হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লাক্কাতুড়া চা-বাগান, বাইশটিলা, খাদিম রিসোর্ট, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, উতমাছড়া, দমদমছড়া, লক্ষণছড়া, পান্থুমাই, খাসিকম, জাফলং, তামাবিল, নলিউরি ফলস, ডিবিরহাওর, জৈন্তাপুর, লালাখাল ও জলার বন রাতারগুল, খাসিয়া পানপুঞ্জিসহ ২৩টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখতে অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলছে। সড়কটি তৈরি হলে দু’দিনেই সিলেটের এসব স্পট ঘুরে দেখা যাবে। এতে পর্যটকদের সময়, ভোগান্তি ও ব্যয় কমে আসবে। স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সিলেট জেলার প্রায় সবকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায়। কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে একটি পর্যটন স্পট থেকে অন্য স্পটে যেতে নানা ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় হয়। অনুন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সম্ভাবনাময় অনেক পর্যটনকেন্দ্রে পৌঁছাতেই পারেন না পর্যটকরা।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত সিলেট-ওসমানী বিমানবন্দর-সাদাপাথর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো। অন্যদিকে সিলেট শহর থেকে জাফলং ও তামাবিল পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চলনসই। ঢাকা-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হলে যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। কিন্তু সাদাপাথর-জাফলং অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাটি অত্যন্ত বিরক্তিকর ও ব্যয়সাপেক্ষ। এজন্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্ত করতে হবে।
তবে পর্যটনখাতের সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে সিলেটের পর্যটনশিল্পে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।
সিলেটের সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, শ্রীপুর, লালাখাল তো আছেই। বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং উপজেলাগুলোও ভ্রমণ পিয়াসুদের টার্গেট এখন। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, বড়লেখার মাধবকুণ্ড, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের আকর্ষণে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন মানুষ। কিন্তু যোগাযোগ অবকাঠামোসহ অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধার অভাবে পর্যটকদের ভোগান্তিও কম হচ্ছে না। ফলে কাক্সিক্ষত অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিলেট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটের পর্যটন খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এটি অর্থনৈতিক বিকাশে আজও সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং ও কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর কিংবা বিছনাকান্দিতে পর্যটকদের যে ভীড় হয় বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনে- তা অবিশ্বাস্য। কিন্তু ঐ স্পটগুলোতে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়নি সেভাবে। যোগাযোগ, খাবার, নিরাপত্তা- প্রত্যেকটি ব্যাপারই হতাশাজনক।
প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ে একইভাবে পর্যটকদের সমাগম ঘটে। ছুটির দিন বিজিবি ক্যাম্পের পাশের রাস্তা পার হওয়া যায় না। পাহাড়ের দুপাশের ঢালুতে টং দোকান থাকায় এ পথটি সরু হয়ে গেছে। দোকানিরা জানান, তারা নিরুপায়। বালি-পাথর আহরণ বন্ধ। তাই তারা দোকান দিয়ে বসে আছেন। মূলত এসব স্পটে তেমন শৃঙ্খলা নেই। আর শৃঙ্খলার উদ্যোগ নিলে শৃঙ্খলার নামে শুরু হয় চাঁদাবাজি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জোরালো হয়ে ওঠেছে। এক সময় জাফলংয়ে হোটেল মোটেলের তীব্র অভাব ছিল। তবে সে অভাব এখন পূরণ হতে চলেছে।
ইদানিং বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগে সিলেটে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ গড়ে উঠায় এলাকার রূপ পাল্টাতে শুরু করেছে। এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সিলেটের পর্যটন খাতের বিকাশে কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। একটি সড়কের আওতায় অন্তত ২৪টি পর্যটন স্পটকে সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। অবশ্য এ উদ্যোগ কবে বাস্তবায়িত হবে তা বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিলেটের পর্যটন বিকাশের বিষয়টি তুলে ধরেন সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মুজিবুর রহমান। তিনি সিলেট-জাফলং-সাদাপাথর-ওসমানী বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করা হলে অনেক বেসরকারি বিনিয়োগকারী পর্যটন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন বলে প্রস্তাব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার, হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লাক্কাতুড়া চা-বাগান, বাইশটিলা, খাদিম রিসোর্ট, সাদা পাথর, বিছনাকান্দি, উতমাছড়া, দমদমছড়া, লক্ষণছড়া, পান্থুমাই, খাসিকম, জাফলং, তামাবিল, নলিউরি ফলস, ডিবিরহাওর, জৈন্তাপুর, লালাখাল ও জলার বন রাতারগুল, খাসিয়া পানপুঞ্জিসহ ২৩টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখতে অভ্যন্তরীণ সড়ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চলছে। সড়কটি তৈরি হলে দু’দিনেই সিলেটের এসব স্পট ঘুরে দেখা যাবে। এতে পর্যটকদের সময়, ভোগান্তি ও ব্যয় কমে আসবে। স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সিলেট জেলার প্রায় সবকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায়। কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে একটি পর্যটন স্পট থেকে অন্য স্পটে যেতে নানা ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় হয়। অনুন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সম্ভাবনাময় অনেক পর্যটনকেন্দ্রে পৌঁছাতেই পারেন না পর্যটকরা।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত সিলেট-ওসমানী বিমানবন্দর-সাদাপাথর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো। অন্যদিকে সিলেট শহর থেকে জাফলং ও তামাবিল পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা চলনসই। ঢাকা-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ হলে যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। কিন্তু সাদাপাথর-জাফলং অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাটি অত্যন্ত বিরক্তিকর ও ব্যয়সাপেক্ষ। এজন্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্ত করতে হবে।
তবে পর্যটনখাতের সমস্যাগুলো নিরসনকল্পে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে সিলেটের পর্যটনশিল্পে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে পারে বলে ধারণা অনেকের।