
আমাদের প্রত্যেকেরই শেখার কিছু নিজস্ব শৈলী থাকে। তিনটি মূল শেখার শৈলী হলো অডিটরি, ভিজ্যুয়াল এবং ক্যানেস্থেটিক লার্নিং। অর্থাৎ ক্যানেস্থেটিক পদ্ধতি বা শৈলীতে শেখার জন্য আপনাকে উপাদানগুলোকে ম্যানিপুলেট বা স্পর্শ করতে হবে, যা ভিজ্যুয়াল এবং অডিটরি অধ্যয়ন কৌশলের সংমিশ্রণে ব্যবহৃত হয়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, মৌখিক নির্দেশনার সঙ্গে স্পর্শ করা বা শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার অভিজ্ঞতায় ক্যানেস্থেটিক শিক্ষা ঘটে। এগুলো ঠঅক লার্নিং মডেল ব্যবহার করে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি শিশু দোলনা ব্যবহার করতে বা সাইকেল চালানো শেখে কেবল নির্দেশাবলি পড়ে বা শুনে নয়, বরং এর সঙ্গে অভিভাবকের শারীরিকভাবে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখে। কীভাবে দোলনায় বা বাইকে বসতে হবে, কীভাবে কোথায় পা রাখতে হবে, কেথায় হাত রাখতে হবে এবং কীভাবে ব্যালেন্স ধরে রাখতে হবে, তা আপনি নিজে করে দেখানোর পরই শিশুটি করতে শেখে।
আমাদের অনেকের ঘরে শিশুসন্তান রয়েছে। তাদেরকেও আমাদের কোনো কিছু শেখাতে হলে কেবল মাস্টারের ওপর নির্ভর করলে বা নির্দেশনা দিলেই তারা অনেক সময় সবকিছু শিখতে সক্ষম হয় না। প্রয়োজনে কোনো কিছুতে নিজে শারীরিকভাবে যুক্ত হয়েই তাদের শেখাতে হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে গিয়ে অনেক সময় লক্ষণীয় হয়, অনেক পরিবারই এই বিষয়টা নিয়ে উদাসীন। কিংবা হয়তো সময় পায় না। আবার অনেক পরিবারই এসব বিষয়ে দুর্দান্ত সচেতন।
যা-ই হোক, বিষয়টা খুব সেন্সেটিভ। আপনার সন্তান কোনো কিছুতে দক্ষ হতে না পারলে আপনাকেই সচেতন হতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে সে কীভাবে শিখতে পারবে। কেবল নির্দেশনা দেওয়া উচিত হবে না। নিজেকে ইনভল্ভ করতে হবে তার শেখার শৈলী বা কৌশল খুঁজে পেতে।
পিতামাতা এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল জিনিসটি হলো, সময় ও সম্পর্কের অভাব। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পিতামাতার অভিভাবকত্বের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার বেশির ভাগ প্রভাব নেতিবাচক। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার দ্বারা পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগ বা সময় দেওয়ার বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারে। নেতিবাচক প্রভাবের দুটি প্রাথমিক কারণ আছে :
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার : এটি এমন নয় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকা খারাপ কিছু। বরং বাবা-মা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন, তখন পরবর্তী সময়ে শিশু-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে তারা অপূর্ণ থেকে যান।
সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনামূলক প্রকৃতি : বেশির ভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহারকারীরা মনে করেন যে ‘লাইক’, ‘ফলোয়ার’ ইত্যাদির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটার প্রতি মনোযোগী হতে দিনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়, যা পরিবারে সন্তানদের সময়টুকুকে ব্যাহত করে বা কাট করে।
মূলত, সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহারের তাৎক্ষণিক প্রভাবে মূল্যবান পারিবারিক সময় নষ্ট হচ্ছে। মূল বিষয়, আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে কী করছি তা নয়, মূল বিষয় হলো আমরা কী মিস করছি। যেমন আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা, গল্প করা, শেখানো, বাইরে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা শুধু শিশুদের সঙ্গে খেলা বা গল্প করার জন্য নয়, বরং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের একাকী সময়ে বিশ্রামে সহায়তা করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা, বিশ্রাম হিসেবে গণনা করা হয় না। কারণ, এখানে নিজেকে সতেজ রাখার পরিবর্তে বেশির ভাগ সময় নানা দ্বন্দ্ব, রেষারেষিতে ক্লান্ত, হতাশ বা উদ্বিগ্ন হতে হয়, যার প্রভাব পরিবারের ওপরও পড়ে।
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার অভিভাবকদের কখনো কখনো হতাশ করে তুলতে পারে। মানুষ সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন অভিভাবককে অনুসরণ করেন, যিনি তার সন্তানের দুর্দান্ত দক্ষতা বা সাফল্য নিয়ে ক্রমাগত পোস্ট করছেন, তাহলে এটি আপনার পক্ষ থেকে কম আত্মসম্মান সৃষ্টি করতে পারে। এবং আপনি অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে আপনার সন্তানের ‘দক্ষতা বা সাফল্য’ তুলনা করা শুরু করতে পারেন।
অন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে শেখার ক্ষেত্রে কোনো ভুল নেই, আসলে আমরা যদি ভালো কিছু খুঁজে পাই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের কৃতিত্বকে অতিরঞ্জিত করতে পারেন। এমনকি যদি কারও সন্তান এমন কিছু সাফল্যময় গল্প তৈরি না-ও করে থাকে, তবু কেউ কেউ এমন কিছু পোস্ট করতে পারেন, যা আপনাকে নিজ সন্তানের ঘাটতিগুলো নিয়ে বা অর্জন নিয়ে ভাবনায় ফেলতে পারে। এটা কখনো বিরাট এক মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।
তার পরও যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জড়িত, তারা এমন সব পিতামাতাদের অনুসরণ করতে পারেন, যাদের থেকে শেখার কিছু থাকতে পারে। আমরা অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি, বিশেষ করে একই জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পিতামাতাদের থেকে। এ ছাড়া শিশু মনোবিজ্ঞান, প্যারেন্টিং স্টাইল এবং আরও অনেক কিছুর ওপর ফোকাস করতে পারেন, যেখানে বৈচিত্র্যময় তথ্য পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট হলো দ্রুত শিক্ষার জায়গা।
একটি পরিবারের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভারসাম্য বজায় রাখা কোনো সহজ কাজ নয়। এর জন্য একটি আত্মবিশ্বাসী অভিভাবকত্বের শৈলীর প্রয়োজন।
আপনার সন্তানের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আপনি অভিভাবকত্বের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি দেখেন যে আপনার সন্তান বিরক্ত হচ্ছে, যদি দেখেন তারা আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছে, বা আপনার মনোযোগ চাচ্ছে, তাহলে ধরে নেবেন, এখনই ফোন থেকে আপনার বিরতি নেওয়া দরকার। আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন, তখন চিন্তা করে দেখুন, সে সময়টাতে যদি আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন বা বিশ্রাম নেন বা অন্য কিছু করেন, তবে আপনার সময় আরও ভালোভাবে কাটতে পারে কি না।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে থাকেন, তবে আপনার নিজের স্ক্রিন টাইম সীমিত করাও একটি ভালো ধারণা হতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার সন্তানের স্ক্রিন টাইম সীমিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। স্বভাবতই বাচ্চারা আজকাল স্ক্রিন বা প্রযুক্তিনির্ভর। পড়াশোনার বাইরেও অনেক বাচ্চা গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি সময় ব্যয় করে। তার ওপর যদি তারা আপনাকে সারাক্ষণ স্ক্রিনে থাকতে দেখে, তবে তারা আরও উৎসাহিত হবে। মনে রাখতে হবে, বাচ্চারা আমাদের স্বভাব ও অভ্যাসগুলো দত্তক নেয় দ্রুত, বিশেষ করে যা তাদের বিনোদন দেয়। তাই নিজেকেও সন্তানের সঠিক যত্নে মডেল হতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি শিশু দোলনা ব্যবহার করতে বা সাইকেল চালানো শেখে কেবল নির্দেশাবলি পড়ে বা শুনে নয়, বরং এর সঙ্গে অভিভাবকের শারীরিকভাবে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেখে। কীভাবে দোলনায় বা বাইকে বসতে হবে, কীভাবে কোথায় পা রাখতে হবে, কেথায় হাত রাখতে হবে এবং কীভাবে ব্যালেন্স ধরে রাখতে হবে, তা আপনি নিজে করে দেখানোর পরই শিশুটি করতে শেখে।
আমাদের অনেকের ঘরে শিশুসন্তান রয়েছে। তাদেরকেও আমাদের কোনো কিছু শেখাতে হলে কেবল মাস্টারের ওপর নির্ভর করলে বা নির্দেশনা দিলেই তারা অনেক সময় সবকিছু শিখতে সক্ষম হয় না। প্রয়োজনে কোনো কিছুতে নিজে শারীরিকভাবে যুক্ত হয়েই তাদের শেখাতে হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে গিয়ে অনেক সময় লক্ষণীয় হয়, অনেক পরিবারই এই বিষয়টা নিয়ে উদাসীন। কিংবা হয়তো সময় পায় না। আবার অনেক পরিবারই এসব বিষয়ে দুর্দান্ত সচেতন।
যা-ই হোক, বিষয়টা খুব সেন্সেটিভ। আপনার সন্তান কোনো কিছুতে দক্ষ হতে না পারলে আপনাকেই সচেতন হতে হবে, খুঁজে বের করতে হবে সে কীভাবে শিখতে পারবে। কেবল নির্দেশনা দেওয়া উচিত হবে না। নিজেকে ইনভল্ভ করতে হবে তার শেখার শৈলী বা কৌশল খুঁজে পেতে।
পিতামাতা এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল জিনিসটি হলো, সময় ও সম্পর্কের অভাব। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পিতামাতার অভিভাবকত্বের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার বেশির ভাগ প্রভাব নেতিবাচক। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার দ্বারা পিতামাতাদের তাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগ বা সময় দেওয়ার বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারে। নেতিবাচক প্রভাবের দুটি প্রাথমিক কারণ আছে :
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার : এটি এমন নয় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকা খারাপ কিছু। বরং বাবা-মা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন, তখন পরবর্তী সময়ে শিশু-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে তারা অপূর্ণ থেকে যান।
সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনামূলক প্রকৃতি : বেশির ভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যবহারকারীরা মনে করেন যে ‘লাইক’, ‘ফলোয়ার’ ইত্যাদির সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটার প্রতি মনোযোগী হতে দিনের অনেকটা সময় ব্যয় হয়, যা পরিবারে সন্তানদের সময়টুকুকে ব্যাহত করে বা কাট করে।
মূলত, সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহারের তাৎক্ষণিক প্রভাবে মূল্যবান পারিবারিক সময় নষ্ট হচ্ছে। মূল বিষয়, আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে কী করছি তা নয়, মূল বিষয় হলো আমরা কী মিস করছি। যেমন আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা, গল্প করা, শেখানো, বাইরে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা শুধু শিশুদের সঙ্গে খেলা বা গল্প করার জন্য নয়, বরং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের একাকী সময়ে বিশ্রামে সহায়তা করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা, বিশ্রাম হিসেবে গণনা করা হয় না। কারণ, এখানে নিজেকে সতেজ রাখার পরিবর্তে বেশির ভাগ সময় নানা দ্বন্দ্ব, রেষারেষিতে ক্লান্ত, হতাশ বা উদ্বিগ্ন হতে হয়, যার প্রভাব পরিবারের ওপরও পড়ে।
অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার অভিভাবকদের কখনো কখনো হতাশ করে তুলতে পারে। মানুষ সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন অভিভাবককে অনুসরণ করেন, যিনি তার সন্তানের দুর্দান্ত দক্ষতা বা সাফল্য নিয়ে ক্রমাগত পোস্ট করছেন, তাহলে এটি আপনার পক্ষ থেকে কম আত্মসম্মান সৃষ্টি করতে পারে। এবং আপনি অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে আপনার সন্তানের ‘দক্ষতা বা সাফল্য’ তুলনা করা শুরু করতে পারেন।
অন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে শেখার ক্ষেত্রে কোনো ভুল নেই, আসলে আমরা যদি ভালো কিছু খুঁজে পাই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের কৃতিত্বকে অতিরঞ্জিত করতে পারেন। এমনকি যদি কারও সন্তান এমন কিছু সাফল্যময় গল্প তৈরি না-ও করে থাকে, তবু কেউ কেউ এমন কিছু পোস্ট করতে পারেন, যা আপনাকে নিজ সন্তানের ঘাটতিগুলো নিয়ে বা অর্জন নিয়ে ভাবনায় ফেলতে পারে। এটা কখনো বিরাট এক মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।
তার পরও যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় জড়িত, তারা এমন সব পিতামাতাদের অনুসরণ করতে পারেন, যাদের থেকে শেখার কিছু থাকতে পারে। আমরা অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি, বিশেষ করে একই জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পিতামাতাদের থেকে। এ ছাড়া শিশু মনোবিজ্ঞান, প্যারেন্টিং স্টাইল এবং আরও অনেক কিছুর ওপর ফোকাস করতে পারেন, যেখানে বৈচিত্র্যময় তথ্য পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট হলো দ্রুত শিক্ষার জায়গা।
একটি পরিবারের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভারসাম্য বজায় রাখা কোনো সহজ কাজ নয়। এর জন্য একটি আত্মবিশ্বাসী অভিভাবকত্বের শৈলীর প্রয়োজন।
আপনার সন্তানের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আপনি অভিভাবকত্বের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি দেখেন যে আপনার সন্তান বিরক্ত হচ্ছে, যদি দেখেন তারা আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছে, বা আপনার মনোযোগ চাচ্ছে, তাহলে ধরে নেবেন, এখনই ফোন থেকে আপনার বিরতি নেওয়া দরকার। আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন, তখন চিন্তা করে দেখুন, সে সময়টাতে যদি আপনি আপনার সন্তানের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন বা বিশ্রাম নেন বা অন্য কিছু করেন, তবে আপনার সময় আরও ভালোভাবে কাটতে পারে কি না।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে থাকেন, তবে আপনার নিজের স্ক্রিন টাইম সীমিত করাও একটি ভালো ধারণা হতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার সন্তানের স্ক্রিন টাইম সীমিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। স্বভাবতই বাচ্চারা আজকাল স্ক্রিন বা প্রযুক্তিনির্ভর। পড়াশোনার বাইরেও অনেক বাচ্চা গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি সময় ব্যয় করে। তার ওপর যদি তারা আপনাকে সারাক্ষণ স্ক্রিনে থাকতে দেখে, তবে তারা আরও উৎসাহিত হবে। মনে রাখতে হবে, বাচ্চারা আমাদের স্বভাব ও অভ্যাসগুলো দত্তক নেয় দ্রুত, বিশেষ করে যা তাদের বিনোদন দেয়। তাই নিজেকেও সন্তানের সঠিক যত্নে মডেল হতে হবে।