বিভিন্ন সমস্যার কারণে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক অশান্তি ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণে অনেকেই এখন চাইছেন ডিভোর্স নিতে। ভুক্তভোগীরা একটু সময়ও নিতে চায় না। পরিস্থিতি এমন যে এক বাসায় একই ছাদের নিচে তাদের আর বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। তারা সেখান থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে চাচ্ছেন। বিচ্ছেদের মাধ্যমে মুক্তি চান। ভুক্তভোগীরা আইনজীবীর কাছে যাচ্ছেন ও পরামর্শ নিচ্ছেন। বলছেন, ‘আমি এখন আর সংসার জীবন চাই না। ডিভোর্স চাই। মুক্তি চাই। আমার জীবন শেষ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরাধীনতা আর ভালো লাগছে না। ডিভোর্সই মুক্তি।’ সম্প্রতি এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যারা এ ধরনের শিকার, তারা কেউ কেউ নীরবে সব সহ্য করে যাচ্ছেন আবার কেউ কেউ মুখ খুলতে পারছেন না ভয়ে। যারা নেহাত পারছেন না তারা স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ নিতে চাইছেন। তাদের কষ্টের সীমা এতটাই বেড়েছে যে তারা মনে করছেন, বিচ্ছেদ হলেই তাদের মুক্তি মিলবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ। আলাদা সত্ত্বা। দুজন মানুষ দুই রকম হবেন- এটাই স্বাভাবিক। সবারই স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে। আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এই ঝগড়া থেকে তারা আলাদা থাকতেন কিংবা সাময়িক সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যেতেন। রাগ কমে গেলে কিংবা সমঝোতা হলে আবার ফিরে আসতেন। তার পরও না পারলে তারা একপর্যায়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতেন।
সূত্র জানায়, কিছু পরিবারে এমন ঘটনাও ঘটেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী স্বামীকে পুলিশে দেওয়ার জন্য কল করেছে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি আক্রোশের বশে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসছে একটি পরিবারে।
বিশেষজ্ঞরা সব সময় পরামর্শ দেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে, পারিবারিক বিরোধ দেখা দিলে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবেই এর সমাধান করতে হবে। কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় চলে যান, সেই অবস্থায় বিকল্প ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিচ্ছেদ চাইলেও দুই পক্ষ সুন্দরভাবে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের দিকে যেতে পারেন। কারণ বিচ্ছেদ খুব তিক্ততার সঙ্গে হলে পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জান্নাতুল রুমা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কিংবা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সতর্ক হয়ে চেষ্টা করতে হবে, যাতে পারিবারিক সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। নিজের শান্তি, পরিবারের শান্তি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা দরকার। কিন্তু কেউ যদি নেহাতই মনে করেন তাদের পক্ষে একসঙ্গে থাকা আর সম্ভব নয়, তখন তারা আলাদা হতে পারেন। ডিভোর্স নিতে পারেন। এ জন্য তারা সব আনুষ্ঠানিকতা করতে পারেন। এর জন্য যে সময় লাগবে সেটি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে অস্থিরতা বেড়েছে। এ কারণে মানুষ ধৈর্য ধরতে চাইছে না। তারা অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক কলহের কারণে ডিভোর্স চাইছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মহিলারা ডিভোর্স চাইছেন। কিন্তু ডিভোর্স চাইতে এসে তারা বলেন, আপা, বেশি সময় নেবেন না, যত দ্রুত পারেন বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেন। বলেন, আমার কোনো সম্পত্তির দরকার নেই। আমি কেবল মুক্তি চাই। তিনি বলেন, এই মুক্তি চান তারা স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কী হবে, সেটা তারা চিন্তা করছেন না।
সাম্প্রতিক ঘটা কয়েকটি ঘটনা এমন, স্বামী এ দেশে এনেছেন স্ত্রীকে। তাকে বাইরে কাজ করতে দেন না। স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কিছু বলতেও পারছেন না। উল্টো স্বামী দিনের পর দিন অত্যাচার করছেন। এখন সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স চাইছেন।
দুটি ঘটনা এমনও পেয়েছি, এখানে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছেন আবার বাংলাদেশেও একটি করে বিয়ে করেছেন। একসঙ্গে দুজন স্ত্রী রাখছেন। আমেরিকান কোনো নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা, যারা ইমিগ্র্যান্ট সুবিধা পেয়েছেন, তারা এখানে কোনোভাবেই একসঙ্গে দুই স্ত্রী রাখতে পারবেন না। এটা হচ্ছে পলিগামী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা এখানে একজন স্ত্রী রাখছেন এবং দেশেও আবার বিয়ে করছেন, তারা বেআইনি কাজ করছেন। এখানে থাকা স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তার স্বামীটি স্ট্যাটাস হারাতে পারেন। এক নারী বলছেন, তার কোনো উপায় নেই। কোনো কাজ করতে দেয় না। বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আবার বলে, এখানে যত সম্পত্তি আছে সব বিক্রি করে বাংলাদেশে নিয়ে যাবে। এখানে যে অর্থ আয় করেছে, তাও বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে।
অ্যাটর্নি রুমা বলেন, ডিভোর্স নেওয়ার জন্য সময় লাগে। কেউ যদি স্বামীর কোনো সম্পত্তিতে অধিকার না চান কিংবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ না থাকে, তাহলে ডিভোর্স ফাইল করলেও প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। যদি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ থাকে, তাহলে সময় আরও বেশি লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন-চার বছর লেগে যায়। কারণ আদালত আদেশ দেবেন কে কতটুকু সম্পত্তি পাবেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যে সম্পত্তিই করুক না কেন, তা দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। আর সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীর যদি চাকরি থাকে, তাহলে এক ধরনের হবে আর চাকরি না থাকলে আরেক ধরনের হবে। চাইল্ড সাপোর্ট, চাইল্ড কাস্টডিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। বিচ্ছেদ চাইলেই হবে না। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীদের মধ্যে যে প্রবণতা তৈরি হচ্ছে ডিভোর্স নিলেই মুক্তি পাবেন, বিষয়টি এমন নয়। পরবর্তী আরো অনেক রকম সমস্যা আছে। সন্তান থাকলে বিভিন্ন বিষয় সামনে আসবে, সেগুলোও আলোচনার দরকার আছে। আমি বলব, যারা স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নিতে চান, তাড়াহুড়ো করবেন না। মনে রাখতে হবে, স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের সময় কোনো সম্পত্তি দাবি না করলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু অধিকার আছে। তাই বিচ্ছেদের সময় সেই অধিকারগুলো আদায় করে নিতে হবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজন মানুষ। আলাদা সত্ত্বা। দুজন মানুষ দুই রকম হবেন- এটাই স্বাভাবিক। সবারই স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে। আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এই ঝগড়া থেকে তারা আলাদা থাকতেন কিংবা সাময়িক সময়ের জন্য আলাদা হয়ে যেতেন। রাগ কমে গেলে কিংবা সমঝোতা হলে আবার ফিরে আসতেন। তার পরও না পারলে তারা একপর্যায়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতেন।
সূত্র জানায়, কিছু পরিবারে এমন ঘটনাও ঘটেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে স্ত্রী স্বামীকে পুলিশে দেওয়ার জন্য কল করেছে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। তিনি আক্রোশের বশে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিচ্ছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসছে একটি পরিবারে।
বিশেষজ্ঞরা সব সময় পরামর্শ দেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে, পারিবারিক বিরোধ দেখা দিলে অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবেই এর সমাধান করতে হবে। কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত অবস্থায় চলে যান, সেই অবস্থায় বিকল্প ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বিচ্ছেদ চাইলেও দুই পক্ষ সুন্দরভাবে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের দিকে যেতে পারেন। কারণ বিচ্ছেদ খুব তিক্ততার সঙ্গে হলে পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জান্নাতুল রুমা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কিংবা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সতর্ক হয়ে চেষ্টা করতে হবে, যাতে পারিবারিক সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। নিজের শান্তি, পরিবারের শান্তি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা দরকার। কিন্তু কেউ যদি নেহাতই মনে করেন তাদের পক্ষে একসঙ্গে থাকা আর সম্ভব নয়, তখন তারা আলাদা হতে পারেন। ডিভোর্স নিতে পারেন। এ জন্য তারা সব আনুষ্ঠানিকতা করতে পারেন। এর জন্য যে সময় লাগবে সেটি দিতে হবে। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে অস্থিরতা বেড়েছে। এ কারণে মানুষ ধৈর্য ধরতে চাইছে না। তারা অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক কলহের কারণে ডিভোর্স চাইছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মহিলারা ডিভোর্স চাইছেন। কিন্তু ডিভোর্স চাইতে এসে তারা বলেন, আপা, বেশি সময় নেবেন না, যত দ্রুত পারেন বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেন। বলেন, আমার কোনো সম্পত্তির দরকার নেই। আমি কেবল মুক্তি চাই। তিনি বলেন, এই মুক্তি চান তারা স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কী হবে, সেটা তারা চিন্তা করছেন না।
সাম্প্রতিক ঘটা কয়েকটি ঘটনা এমন, স্বামী এ দেশে এনেছেন স্ত্রীকে। তাকে বাইরে কাজ করতে দেন না। স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কিছু বলতেও পারছেন না। উল্টো স্বামী দিনের পর দিন অত্যাচার করছেন। এখন সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স চাইছেন।
দুটি ঘটনা এমনও পেয়েছি, এখানে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছেন আবার বাংলাদেশেও একটি করে বিয়ে করেছেন। একসঙ্গে দুজন স্ত্রী রাখছেন। আমেরিকান কোনো নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা, যারা ইমিগ্র্যান্ট সুবিধা পেয়েছেন, তারা এখানে কোনোভাবেই একসঙ্গে দুই স্ত্রী রাখতে পারবেন না। এটা হচ্ছে পলিগামী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা এখানে একজন স্ত্রী রাখছেন এবং দেশেও আবার বিয়ে করছেন, তারা বেআইনি কাজ করছেন। এখানে থাকা স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তার স্বামীটি স্ট্যাটাস হারাতে পারেন। এক নারী বলছেন, তার কোনো উপায় নেই। কোনো কাজ করতে দেয় না। বাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আবার বলে, এখানে যত সম্পত্তি আছে সব বিক্রি করে বাংলাদেশে নিয়ে যাবে। এখানে যে অর্থ আয় করেছে, তাও বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে।
অ্যাটর্নি রুমা বলেন, ডিভোর্স নেওয়ার জন্য সময় লাগে। কেউ যদি স্বামীর কোনো সম্পত্তিতে অধিকার না চান কিংবা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ না থাকে, তাহলে ডিভোর্স ফাইল করলেও প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। যদি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ থাকে, তাহলে সময় আরও বেশি লাগে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন-চার বছর লেগে যায়। কারণ আদালত আদেশ দেবেন কে কতটুকু সম্পত্তি পাবেন। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী যে সম্পত্তিই করুক না কেন, তা দুজনের মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। আর সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীর যদি চাকরি থাকে, তাহলে এক ধরনের হবে আর চাকরি না থাকলে আরেক ধরনের হবে। চাইল্ড সাপোর্ট, চাইল্ড কাস্টডিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। বিচ্ছেদ চাইলেই হবে না। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, নারীদের মধ্যে যে প্রবণতা তৈরি হচ্ছে ডিভোর্স নিলেই মুক্তি পাবেন, বিষয়টি এমন নয়। পরবর্তী আরো অনেক রকম সমস্যা আছে। সন্তান থাকলে বিভিন্ন বিষয় সামনে আসবে, সেগুলোও আলোচনার দরকার আছে। আমি বলব, যারা স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নিতে চান, তাড়াহুড়ো করবেন না। মনে রাখতে হবে, স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছেদের সময় কোনো সম্পত্তি দাবি না করলে নিজেদেরই ক্ষতি হবে। স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু অধিকার আছে। তাই বিচ্ছেদের সময় সেই অধিকারগুলো আদায় করে নিতে হবে।