ঢাকাকে হারিয়ে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারী ২০২৪, ২২:০৭ , অনলাইন ভার্সন
রানের ফুলঝুরি নেই বললেই চলে। এবারের বিপিএলে এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচের ৪টিতে রান দেড় শ ছড়ায়নি। বিদেশি ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা টি-টোয়েন্টি আমেজ পাওয়া গেলেও স্ট্রাইক রেট বাড়াতে পারছেন না স্থানীয় ক্রিকেটাররা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত ঢাকার ম্যাচেও বড় স্কোর হয়নি। কেউ খেলতে পারেননি বড় ইনিংসও। এমন ম্যাচে ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রান করে ঢাকা। ১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। শুভাগত হোমের দল ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে করে ১৩৭ রান। মাঝে একটি ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হেরেছে তারা। ঢাকাও উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে পেয়েছিল দারুণ জয়।

লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য সুবিধার ছিল না। ২৮ রানে হারায় দুটি উইকেট। ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো (১২) এই ম্যাচেও হয়েছেন ব্যর্থ। তিন নম্বরে নামা ইমরানুজ্জামানও ফেরেন ১ রানে। দুটি উইকেটই নিয়েছেন ঢাকার পেসার শরীফুল ইসলাম।

তৃতীয় উইকেটে শাহাদাত হোসেন দিপু ও তানজিদ হাসান তামিমের ৫৩ রানের জুটিতে বিপর্যয়ে সামলে ওঠে চট্টগ্রাম। যদিও পরে ফিফটি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ৪৯ রানে ফিরেছেন তামিম। এর জন্য খেলেছেন তিনি ৪০ বল। দিপু ৩১ বলে করেন ২২ রান। শেষ দিকে আফগান ব্যাটার নাজিবউল্লাহ ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩২ রানের ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করেন।

উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লাকে হারিয়ে চমক জাগিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল ঢাকা। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের ব্যাটিং মোটেই দুর্দান্ত ছিল না। প্রথম ৪ ব্যাটারই ফিরেছেন এক অঙ্কের ঘরে। পাওয়ার প্লেতে করতে পারে ২ উইকেটে ২৫ রান। তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে তেমন বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারছে না ঢাকা।

এর পরও ঢাকা ১৩৬ রান সংগ্রহ করেছে কেবল ‘কনকাশন’ বিকল্প হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা লাসিত ক্রসপুলের কল্যাণে। টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত। বিপিএলের আগের চারটি ম্যাচের ফল ছিল এমন—যারা পরে ব্যাটিং করেছে তারাই ম্যাচ জিতেছে। তাই শুভাগতও সেই পথে হাঁটলেন।

প্রথম ম্যাচ জিতে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ঢাকার ব্যাটাররা। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে বিপত্তি। পেসার আল আমিন হোসেনের একটা বল ইনসাইড এজ হয়ে ঢাকার ওপেনার দানুশকা গুনাতিলাকার (১) হেলমেটে এসে লাগে, লঙ্কান ব্যাটারের চোয়াল থেকে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে অবসর নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

এরপর আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ৮, সাইফ হাসান ৯, অ্যালেক্স রস ১১ রান করেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই। ষষ্ঠ উইকেটজুটিতে মূলত লড়াইয়ের পুঁজিটা পায় ঢাকা। ৪৯ বলে ৭৩ রানের কার্যকর এক জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর এবং গুনাতিলাকার বিকল্প হিসেবে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ক্রসপুলে।

এই বিপিএলে ক্রসপুলেই প্রথম কনকাশন খেলোয়াড়, যদিও বিপিএলের ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে ২০২২ সালের বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচারের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সিকান্দার রাজা।

ফিফটির পথে হাঁটলেও কার্টিস ক্যাম্ফারের শিকার হন ক্রসপুলে। ৩১ বলে ৪৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন এই শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। ২৬ বলে ২৭ রান করেছেন শুক্কুর। শেষ দিকে তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১৫ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানের সংগ্রহ পায় দুর্দান্ত ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে বিলাল খান ও আল আমিন ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078