পিঁয়াজ বাজার থেকে শেয়ার বাজার; কোথায় নেই সিন্ডিকেট? কাকের কণ্ঠে বসন্তের গীত তুলে দিলে যা হয়! বিড়ালকে শুটকি বাজারের পাহারাদার করে দিলে যা হয়। তা-ই হচ্ছে। সব বাজার ব্যবস্থাপনার সারা শরীরে দগদগে ঘা। মলম লাগানোর জায়গা কই? বলা হয়ে থাকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের প্রাণশক্তি। এই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কারা? বিশ্বব্যাপী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বলতে মনে করা হয় মিউচুয়াল ফান্ড, ইউনিট ফান্ড, পেনশন ফান্ডকে। বাংলাদেশে?
বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক। যাদের টার্গেট, শেয়ার কিনে দু’য়েকদিনেই বাজিমাত করা। এর জেরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো পড়ে আছে অনেকটা অচলায়তনে। ভালো বা নামিদামি কোম্পানির শেয়ারও পড়ে আছে ফ্লোরে। এ দশা থেকে কি বাঁচার উপায় নেই?
এক শব্দে হ্যাঁ বা না বলার অবস্থা নেই। তবে, ফ্লোর থেকে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ছুটে গেলে অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতেও পারে। বিনিয়োগ পুঁজির ৪০ থেকে ৬০ ভাগ সিন্ডিকেটের থাবায় হাওয়া হয়ে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পথে বসে আবার নেশার মতো ফিরে আসার চেষ্টা করে। তাদের চোখের পানি শুকিয়ে গেলেও গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদতে হয়। নইলে চোখ দিয়ে রক্ত ঝরে। যার বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে যত বেশী বিনিয়োগ- সে ততো বড় হতভাগা। নিজের বা পরিবারের কারো বিপদ, অসুখ কিংবা মৃত্যু হলেও তারা নিজ পোর্টফোলিও থেকে একটি টাকাও বের করতে পারছেন না। গণমাধ্যমেও এসব খবরের নিউজ ভ্যালু কদ্দুর?
তবে, বাজার ব্যবস্থাপকরা তেল তেলে। তাদের সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপকদের বেশ খায়খাতির। তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিওদের দিনকালও রমরমা। তাদের কেউ কেউ যে বিদেশি ব্যাংক একাউন্টে প্রচুর অর্থ রপ্তানি করছেন, তা রুখবে কে? পাচার বা পাচারকারি বললে তারা মাইন্ড করেন। তাই রপ্তানিকারক বা ইমপোর্টার বললে তাদের শান-মান বাড়ে। তাদের মহামানব বলতেই বা দোষ কী?
শেয়ার বাজার শেষ হয়ে গেছে আওয়াজটা বেশ জমেছে। ‘চোরেও চোর দৌড়ায়’ বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। এর উদাহরণ আছে শেয়ার বাজারে। ‘নাই-নাই’ অবস্থার মাঝেও যে এক শ্রেণির বাজার ব্যবস্থাপক কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি কিনছেন- তা বুঝি একেবারে গোপনে? এসব করে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজারকে আদমজীর দশায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাও বোঝার বাইরে?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।
বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক। যাদের টার্গেট, শেয়ার কিনে দু’য়েকদিনেই বাজিমাত করা। এর জেরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদ্যমান মিউচুয়াল ফান্ডগুলো পড়ে আছে অনেকটা অচলায়তনে। ভালো বা নামিদামি কোম্পানির শেয়ারও পড়ে আছে ফ্লোরে। এ দশা থেকে কি বাঁচার উপায় নেই?
এক শব্দে হ্যাঁ বা না বলার অবস্থা নেই। তবে, ফ্লোর থেকে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ছুটে গেলে অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতেও পারে। বিনিয়োগ পুঁজির ৪০ থেকে ৬০ ভাগ সিন্ডিকেটের থাবায় হাওয়া হয়ে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পথে বসে আবার নেশার মতো ফিরে আসার চেষ্টা করে। তাদের চোখের পানি শুকিয়ে গেলেও গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদতে হয়। নইলে চোখ দিয়ে রক্ত ঝরে। যার বিনিয়োগ পোর্টফোলিওতে যত বেশী বিনিয়োগ- সে ততো বড় হতভাগা। নিজের বা পরিবারের কারো বিপদ, অসুখ কিংবা মৃত্যু হলেও তারা নিজ পোর্টফোলিও থেকে একটি টাকাও বের করতে পারছেন না। গণমাধ্যমেও এসব খবরের নিউজ ভ্যালু কদ্দুর?
তবে, বাজার ব্যবস্থাপকরা তেল তেলে। তাদের সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপকদের বেশ খায়খাতির। তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিওদের দিনকালও রমরমা। তাদের কেউ কেউ যে বিদেশি ব্যাংক একাউন্টে প্রচুর অর্থ রপ্তানি করছেন, তা রুখবে কে? পাচার বা পাচারকারি বললে তারা মাইন্ড করেন। তাই রপ্তানিকারক বা ইমপোর্টার বললে তাদের শান-মান বাড়ে। তাদের মহামানব বলতেই বা দোষ কী?
শেয়ার বাজার শেষ হয়ে গেছে আওয়াজটা বেশ জমেছে। ‘চোরেও চোর দৌড়ায়’ বলে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। এর উদাহরণ আছে শেয়ার বাজারে। ‘নাই-নাই’ অবস্থার মাঝেও যে এক শ্রেণির বাজার ব্যবস্থাপক কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি কিনছেন- তা বুঝি একেবারে গোপনে? এসব করে সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজারকে আদমজীর দশায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাও বোঝার বাইরে?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।