আর্থ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন সরকারের পথচলা

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৬:৪৫ , অনলাইন ভার্সন
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভের পরও ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও দল বড় রকমের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংকটের সম্মুখীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রশাসনিক দক্ষতা, যোগ্যতা, আদর্শিক দৃঢ়তাগুণে এসব সমস্যা সংকটের সুরাহা হয়তো করতে পারবেন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে ব্যক্তিগত জনসমর্থন, গণমানুষের আস্থা ও  বিশ্বাস এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী শক্তির উল্লেখযোগ্য অংশের সক্রিয় সমর্থন এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু বিদেশি মুরব্বিদের প্রকাশ্য, নেপথ্যের নানামুখী সহায়তায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক অপশক্তিকে অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রয়াস থেকে দমিত করা সহজসাধ্য হবে না। বিএনপির কথিত সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত নন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। চিন্তিত দলের সুবিধাভোগী ও অধিকতর সুযোগ-সুবিধাপ্রত্যাশী ব্যক্তি, গোষ্ঠী স্বার্থগত তৎপরতায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের উপরিউক্ত পর্যবেক্ষণ ও মতামত ছাপিয়েও যা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়, তা হলো ক্ষমতাসীনদের মধ্যে উচ্চতর গুরুত্বপূর্ণ হতে তৃণমূল পর্যন্ত জনসাধারণের প্রতি সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করা, মানুষকে হয়রানির শিকার না করা। টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের উল্লেখযোগ্য অংশের দুর্বিনীত আচার-আচরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় অতিষ্ঠ শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ। তাদের আশঙ্কা, নতুন করে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে ক্ষমতাসীনদের এই অংশ। নিরীহ মানুষ এদের কবল থেকে পরিত্রাণের প্রত্যাশা করে। নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারদলীয় নেতৃবৃন্দ এদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা না নিলে একটা পর্যায়ে এমনকি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্য রূপ নিলে বিস্ময়ের হবে না।
সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে উচ্চতর পর্যায়ে যারা জনসাধারণের প্রতি অন্যায়ভাবে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি সাধন করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংগঠনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে দলীয় ও প্রশাসনিক অলিখিত নির্দেশনা জারির সম্ভাবনা রয়েছে। মানবিক, সামাজিক অনাচার, অবৈধ কার্যকলাপের অবসান ঘটিয়ে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ওপর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রশাসনিক, রাজনৈতিক নির্দেশনাও আসতে পারে।
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি, অনিয়ম দূর করতে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অযৌক্তিক, অন্যায়ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দমন, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে সরকারের সামনে। এ ব্যাপারে সরকার কঠোর কিছু পদক্ষেপ ও কর্মপন্থা নিতে যাচ্ছে। তবে তার কতটার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, সে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দুর্নীতি রোধ, জবাবদিহি নিশ্চিত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, একশ্রেণির নেতাকর্মীর দুরাচার, প্রশাসন ব্যবহার করে নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন কঠোর হস্তে দমনের নীতি নিতে যাচ্ছে নতুন সরকার। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান সংকটজনক অবস্থা কাটিয়ে ওঠার সুকঠিন কাজে হাত দিতে যাচ্ছেন নতুন অর্থমন্ত্রী। তবে অর্থপাচার রোধ ও পাচার করে বিদেশে পাঠানো বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনা অসম্ভবই থেকে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। সরকারি দল নিরঙ্কুশ বিজয় পেলেও দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে কি না, সে সংশয়-শঙ্কা নিয়েই নতুন সরকারের পথচলা শুরু হলো। কূটনৈতিক, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা সরকারের জন্য কঠিন হতে পারে। যদি সরকারি দল ও সরকার দৃঢ়, কঠোর কর্মপন্থা নিতে কুণ্ঠা করে, তবে দুর্নীতি-অনিয়মমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা সুদূরেই থেকে যায় কি না, তা-ই দেখার বিষয়।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078