
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় দারুণ খুশী সমর্থকেরা। সরকার বিরোধীরা এ নির্বাচনকে ডামি আখ্যায়িত করছেন। তারা বলছেন, জনগণ এই নির্বাচন বর্জন করেছে।
অন্যদিকে সাধারণ প্রবাসীরা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাননি। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের কেউ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো ম্যান্ডেট দিয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম বলেন, বিএনপি ভোটে না এলেও ভোটের মাঠে কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ বলেন, সরকার ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরকারের উচিত এই নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। সরকার থেকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার।
প্রবাসী রেজাউল আলম সেন্টু বলেন, কে ক্ষমতায় থাকলো বা চলে গেল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা বাংলাদেশটা ভালো দেখতে চাই। দেশে আমাদের স্বজনদের নিরাপদে রাখতে চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই জনবান্ধব রাজনীতি করছে না।
বাংলাদেশি ক্যাবি সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও বিতর্ক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন অধিক প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন মানেই সহিংসতা। সাধারণ নাগরিকদের জানমালের ক্ষতিসাধন হয়। কোনো সরকারই এই দায় নিতে চায় না।
নিউইয়র্কে রেস্টুরেন্ট কর্মী বাংলাদেশি জাহানারা বেগম বলেন, নির্বাচন বুঝি না। কে ক্ষমতায় থাকলো আর গেল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই, যেখানে থাকবে না সংঘাত ও হানাহানি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে কোনো সরকারই আমাদের সেই শান্তি দিতে পারেনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলাদেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশে থাকা স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়।
বাংলাদেশি উবার চালক মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সরকার একশো বছর ক্ষমতায় থাকুক। কিন্তু দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকা নিশ্চিত করুক। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তিনি বলেন, রাজনীতি তো জনগণের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি ক্ষমতার। এ অবস্থার অবসান কবে হবে জানি না।
অন্যদিকে সাধারণ প্রবাসীরা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখাননি। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। তাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবের কেউ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো ম্যান্ডেট দিয়েছে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম বলেন, বিএনপি ভোটে না এলেও ভোটের মাঠে কোনো সমস্যা হয়নি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। চীন, রাশিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ বলেন, সরকার ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরকারের উচিত এই নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। সরকার থেকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার।
প্রবাসী রেজাউল আলম সেন্টু বলেন, কে ক্ষমতায় থাকলো বা চলে গেল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা বাংলাদেশটা ভালো দেখতে চাই। দেশে আমাদের স্বজনদের নিরাপদে রাখতে চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই জনবান্ধব রাজনীতি করছে না।
বাংলাদেশি ক্যাবি সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেও বিতর্ক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন অধিক প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন মানেই সহিংসতা। সাধারণ নাগরিকদের জানমালের ক্ষতিসাধন হয়। কোনো সরকারই এই দায় নিতে চায় না।
নিউইয়র্কে রেস্টুরেন্ট কর্মী বাংলাদেশি জাহানারা বেগম বলেন, নির্বাচন বুঝি না। কে ক্ষমতায় থাকলো আর গেল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই, যেখানে থাকবে না সংঘাত ও হানাহানি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরে কোনো সরকারই আমাদের সেই শান্তি দিতে পারেনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে বাংলাদেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশে থাকা স্বজনদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়।
বাংলাদেশি উবার চালক মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমান সরকার একশো বছর ক্ষমতায় থাকুক। কিন্তু দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকা নিশ্চিত করুক। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তিনি বলেন, রাজনীতি তো জনগণের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি ক্ষমতার। এ অবস্থার অবসান কবে হবে জানি না।