আছেন বাংলাদেশিরাও

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর পদযাত্রা

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১৮ , অনলাইন ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ মেক্সিকো থেকে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী হেঁটে মার্কিন সীমান্ত অভিমুখে রওনা দিয়েছেন। প্রায় সাত হাজার মানুষের একটি দল এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে যেমন নারী-পুরুষ রয়েছেন, তেমনি কয়েক হাজার শিশুও রয়েছে। খবর বিবিসির।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী এমন সময়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মেক্সিকো সফরের কথা চলছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) তিনি দেশটি সফর করবেন। সফরকালে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীর ঢল ঠেকাতে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা নাটকীয় হারে বেড়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে দুই দেশের বেশ কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে প্রতিবছরই লাখ লাখ মানুষ গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালে মার্কিন দক্ষিণ সীমান্তে গ্রেপ্তার হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে।

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকালে ২ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এই পদযাত্রা শুরু করেন। ভোরে যাত্রা শুরু করে সকালের মধ্যে তারা ১৫ কিলোমিটার সামনে এগিয়ে গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সর্বশেষ দলটি দক্ষিণ মেক্সিকান শহর তাপাচুলা যাত্রা করেছে। মেক্সিকোর এই শহরটি লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার সীমান্তবর্তী একটি শহর। বড়দিনের আগে তারা এই শহর থেকে মার্কিন সীমান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশির ভাগ কিউবা, হাইতি ও হন্ডুরাসের নাগরিক। তবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকও রয়েছেন।

অনেকে বলছেন, মাসের পর মাস মার্কিন ট্রানজিট পারমিটের জন্য তারা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু ট্রানজিট পারমিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন।

অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন লুইস গার্সিয়া ভিলাগ্রান। তিনিও এই পদযাত্রার সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন, অনেকের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য এটাই সর্বশেষ পথ।

লুইস গার্সিয়া বলেন, সমস্যাটা হলো গুয়াতেমালার সঙ্গে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্ত খোলা। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার মানুষ ঢুকছে। আমরা যদি তাপাচুলা শহর থেকে বেরিয়ে না যাই, তাহলে শহরটি ধসে পড়বে।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041