ভারতের লোকসভা ভবনের চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুই ব্যক্তি তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দর্শক গ্যালারি থেকে হঠাৎ তারা অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাদের লাফিয়ে লাফিয়ে একের পর এক আসন পার হতে দেখা যায়। তারা ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাদের হাতের টিনের কৌটা থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারা তখন স্লোগানও দিচ্ছিলেন। দুজনের মধ্যে একজন গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা, আটক এড়াতে তিনি এক আসন লাফিয়ে অন্য আসনে যাচ্ছেন। আরেকজন দর্শক গ্যালারি থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন। দুজনকেই নিরাপত্তাকর্মীরা আটক করেছেন। তাদেরকে সাগর শর্মা ও ড. মনোরঞ্জন হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, লোকসভায় ‘জিরো আওয়ারে’ এ ঘটনা ঘটে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্যদের নোটিশ উত্থাপনের সময়ই ভারতের লোকসভায় জিরো আওয়ার হিসেবে পরিচিত। প্রশ্নোত্তর পর্ব ও দিনের কার্যসূচির মধ্যবর্তী সময় এটি।
বিঘ্ন ঘটার কারণে তৎক্ষণাৎ লোকসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে বেলা দুইটা থেকে আবার কার্যক্রম শুরু করা হয়। স্পিকার ওম বিরলা ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, দিল্লি পুলিশকেও তদন্তে যোগ দিতে বলেছি।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এই দুজনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে লোকসভা ভবনের বাইরে আটক করা হয়। এদের একজন নারী।
লোকসভায় প্রবেশকারী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ভিজিটর পাস উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ পাসগুলো মাইসুরুর বিজেপি সংসদ সদস্য প্রতাপ সিমহার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছে। সংসদে কেউ প্রবেশ করতে হলে তাকে চার স্তরের নিরাপত্তার ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদাম্বারাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম কেউ ভিজিটরস গ্যালারি থেকে পড়ে গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছি কেউ নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। গ্যাসটি বিষাক্ত হতে পারত। একজন অনুপ্রবেশকারী স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। আজকের দিনে এটা গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন।’
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজকের এই দিনেই ভারতের লোকসভায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
লোকসভার বাইরে থেকে আটক দুজনের কাছেও রঙের টিনের কৌটা পাওয়া গেছে। কৌটাগুলোতে লাল ও হলুদ ধোঁয়া ছিল। তারা ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। আটককৃতরা হলেন আমোল শিন্দে (২৫) ও নিলাম (৪২)।
ঠিকানা/এনআই
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাদের হাতের টিনের কৌটা থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। তারা তখন স্লোগানও দিচ্ছিলেন। দুজনের মধ্যে একজন গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা, আটক এড়াতে তিনি এক আসন লাফিয়ে অন্য আসনে যাচ্ছেন। আরেকজন দর্শক গ্যালারি থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন। দুজনকেই নিরাপত্তাকর্মীরা আটক করেছেন। তাদেরকে সাগর শর্মা ও ড. মনোরঞ্জন হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, লোকসভায় ‘জিরো আওয়ারে’ এ ঘটনা ঘটে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্যদের নোটিশ উত্থাপনের সময়ই ভারতের লোকসভায় জিরো আওয়ার হিসেবে পরিচিত। প্রশ্নোত্তর পর্ব ও দিনের কার্যসূচির মধ্যবর্তী সময় এটি।
বিঘ্ন ঘটার কারণে তৎক্ষণাৎ লোকসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে বেলা দুইটা থেকে আবার কার্যক্রম শুরু করা হয়। স্পিকার ওম বিরলা ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, দিল্লি পুলিশকেও তদন্তে যোগ দিতে বলেছি।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এই দুজনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে লোকসভা ভবনের বাইরে আটক করা হয়। এদের একজন নারী।
লোকসভায় প্রবেশকারী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ভিজিটর পাস উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ পাসগুলো মাইসুরুর বিজেপি সংসদ সদস্য প্রতাপ সিমহার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছে। সংসদে কেউ প্রবেশ করতে হলে তাকে চার স্তরের নিরাপত্তার ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদাম্বারাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম কেউ ভিজিটরস গ্যালারি থেকে পড়ে গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছি কেউ নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। গ্যাসটি বিষাক্ত হতে পারত। একজন অনুপ্রবেশকারী স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। আজকের দিনে এটা গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন।’
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজকের এই দিনেই ভারতের লোকসভায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
লোকসভার বাইরে থেকে আটক দুজনের কাছেও রঙের টিনের কৌটা পাওয়া গেছে। কৌটাগুলোতে লাল ও হলুদ ধোঁয়া ছিল। তারা ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। আটককৃতরা হলেন আমোল শিন্দে (২৫) ও নিলাম (৪২)।
ঠিকানা/এনআই